আকাশচুম্বি দ্রব্যমূল্যঃ ধকলে ঈদযাত্রাঃ বিপন্ন অর্থনীতি
আকাশচুম্বি দ্রব্যমূল্যঃ ধকলে ঈদযাত্রাঃ বিপন্ন অর্থনীতি
রণেশ মৈত্র
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।
বাংলাদেশের দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি একটি দৈনন্দিন ব্যাপারে পরিণত হয়েছে। আর এই বৃদ্ধির অজুহাত হাজারো। বন্যায় ফসল হানি, হাওড়ে বিপর্য্যয়, পাহাড়ে পাহাড় ধস, পরিবহন ধর্মঘট, খরাজনিত কারণে ফসলহানি, সরকারী গুদামে শস্য ঘটতি, রমজান-ঈদ প্রভৃতি। চোখ বুঁজে যদি একটু ভাবা যায় দেখা যাবে যে পূর্ববর্ণিত কারণ বা অজুহাতগুলি ঘুরে ফিরে সারাবছরই থেকে যায়।
উদাহরণ দিয়ে বলা যায় এ বছর মে মাসে রমজান মাস শুরু হলো। কিন্তু তাকে সামনে রেখে এক দেড় মাস আগে থেকেই সকল নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি ঘটতে শুরু হলো। কিন্তু হাজারে কোন পণ্যেরই স্বল্পতা আদৌ দেখা যায় নি। সংবাদপত্রগুলিতে পণ্য মূল্য বৃদ্ধির খবর প্রকাশিত হতেই বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বরাবরের মতই বলে উঠলেন, বাজার কঠোরভাবে পর্য্যবেক্ষণ করা হবে। এবার রমজানে কোন প্রকার মূল্যবৃদ্ধি ঘটবে না কারণ সরকারের গুদামে বিস্তর পণ্য মজুদ আছে। কিন্তু তিনি বললেন না রমজানের এক দেড় মাস আগে থেকেই যে পন্যমূল্য হু হু করে বাড়তে থাকলো-তা কেন? সরকারের পর্য্যবেক্ষণই বা কোথায়? যদি তা থেকেই থাকে তবে তাতে মূল্য বৃদ্ধি ধরা পড়লো না কেন? সরকারী গুদামে “যথেষ্ট” পণ্য মওজুদ থাকা সত্বেও যারা দ্রব্যমূল্য বাড়ালো তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হলো না কেন? না কি রমজানের আগে বাড়ালে কোন অপরাধ হয় না? অপরাধ হয় শুধুমাত্র রমজান শুরু হওয়ার পরে বাড়ালে?
যা হোক মে মাস রমজান শুরু হলেও ঈদ কিন্তু জুন মাসে। তাই এপ্রিল থেকে জুন পর্য্যন্ত মূল্য বৃদ্ধি রমজান ও ঈদের দোহাই দিয়েই ঘটে চলেছে। সরকারের হুঁশিয়ারী? তাকে ব্যবসায়ীরা থোড়াই পরোয়া করে। কারণ শতকরা ৭০ ভাগ সাংসদ মন্ত্রীই তো ব্যবসায়ী পরিবার থেকে আসা। রাজনৈতিক পরিবার থেকে বা রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য থেকে সংসদে নির্বাচিত হয়ে আসার সংখ্যা শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ মাত্র। বাদ বাকীরা আমলা পরিবার থেকে আসা। তাই, সঙ্গত কারণেই ব্যবসায়ীরা নিত্যনিয়ত সাধারণ মানুষের পকেট কাটা অব্যাহত গতিতে চালালেও বিষয়টি কদাপি সংসদের আলোচনায় আসে না। যেন কোথাও কিছু ঘটে নি বা ঘটছে না। মাননীয় সাংসদরা দিব্যি খোসমেজাজে আছেন-মন্ত্রী সভাও তাই।
এর আগে ঘটে গেল হাওরে প্রবল বর্ষন জানিত ভয়াবহ বিপর্য্যয়। সেখানে লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে হঠাৎই যেন মারাত্মক বিপদ নেমে এল। ফসল হানি ঘটলো বৃহত্তর সিলেটের সুনামগঞ্জ সহ চার পাঁচটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। আর যায় কোথায়? সেই ফেব্রুয়ারীর মধ্যেই হাওরের ঘটনার অজুহাতে ঘটে গেল আর এক দফা বিপর্য্যায়। মোট কথা বছরের প্রথম ছয় মাস ধরেই দফায় দফায় মূল্যবৃদ্ধি ঘটে গেল ঐ অজুহাতগুলিকে কেন্দ্র করেই। সরকার বরাবরের মত দিব্যি নির্বিকার।
না। সরকার পূরোপূরি নির্বিকার থাকলেন ঢালাওভাবে এমন অভিযোগ আনতে চাই না কারণ অন্তত: ১০ ভাগ ব্যবস্থা তো সরকার নিয়েছেনই তা স্বীকার করাই তো উচিত।
রমজানের কারণে টি সি বি তাদের নির্ধারিত মূল্যে সীমিত পরিমাণ পণ্য বিক্রী করলো বাজার নিয়ন্ত্রনের কথিত উদ্দেশ্যে। উদ্দেশ্য কি পূরণ হলো তাতে? দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির গতি কি হ্রাস পেলো? না পায় নি। বরং টি সি বির বিক্রীত ঐ পণ্যের একাংশ ঘুরে ফিরে বেসরকারী ব্যবসায়ীদের দোকানেই বর্ধিত মূল্যে দিব্যি বিক্রী হলো কারণ যে দরিদ্রদের জন্য এগুলি টি সি বি বিক্রী করলো কম দামে তা প্রকৃত গরিবদের ঘরে খুব একটা যায় নি শুধুমাত্র পণ্যের পরিমাণ অত্যাধিক সীমিত হওয়ায় এবং বিতরণ পদ্ধতির ত্রুটিগত কারণে।
এছাড়াও দুর্গত এলাকাগুলিতে সরকার স্বল্পমূল্যে ও বিনামূল্যে কিছু ত্রানবিতরণ করলেন মওজুতদারদের বিরুদ্ধে কিছু হুঁশিয়ারীও কর্তাব্যক্তিরা বিতরণ করতে ভোলেন নি। এতে যা হবার তাই হলো। নগদ যে ত্রান ক্ষতিগ্রস্তরা পেলেন সেটুকুই লাভ। কিন্তু মূল্যবৃদ্ধি? তা ঘটতেই থাকলো বেপরোয়াভাবে।
গেল এভাবে বছরের প্রথম ছয় মাস। অত:পর সামনের দিকে তাকানো যাক।
আসছে জুলাই-আগষ্ট বর্ষাকাল। হয়তো তা আরও দু একমাস চলতে পারে। অন্তত: আবহাওয়া বিদদের ইঈিত তেমনই। আর তা না হলেই বা কি? বর্ষায় মূল্য বৃদ্ধি যে পুনরায় ঘটবে তা আর অস্বাভাবিক কি? সে তো প্রতি বছরই ঘটে থাকে। তদুপরি আগষ্টের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে পুনরায় আর একটি ঈদ উৎসব চলে আসবে। আবার সৃষ্টি হবে আরেক দফা মূল্যবৃদ্ধির চমৎকার অজুহাত। তাহলে এভাবেই কাটবে সেপ্টেম্বর অবধি। বাদ বাকী বছরের শেষ প্রান্তের দু’তিনটি মাস। কৃষকের ঘরে তখন বিস্তর ফসল থাকার কথা। তাই ঔ সময়টা (মাত্র তিন মাস) দ্রব্যমূল্য নিজ তাগিদেই কম থেকে থাকে। ফলে কৃষকের কপাল নতুন করে পুড়তে থাকে। নতুন বলছি এ জন্য যে দ্রব্যমূল্য নয় মাস ধরে যে বাড়লো তাতে তারা নয়-মওজুদদারেরা লাভবান হয়েছে। কৃষকের হাত ছাড়া হয়ে গেছে তাদের উৎপাদিত ফসল অনেক আগেই ফলে তারা উৎপাদন ব্যয়টাও ফসল বিক্রী করে পায় নি।
যা হোক, এভাবেই সারাটি বছর জুড়েই আমাদের দেশে ঘটতে থাকে মূল্যবৃদ্ধি এবং তার তাপ-উত্তাপ গিয়ে লাগ শুধুই স্বল্পবিত্ত-নিম্নবিত্ত-বিত্তহীন ৮০ ভাগ মানুষের জীবনে।
কিন্তু বাংলাদেশ ছাড়া পৃথিবীর বাদ-বাকী দেশগুলিতে কি দেখা যায়? ভারতে উৎসব উপলক্ষ্যে মূল্য হ্রাস ঘটে এমন কি সোনারূপার গহনার ক্ষেত্রেও। সর্বত্র ব্যাপক প্রচারণা মূল্য ছাড়ের। অষ্ট্রেলিয়ায় তো অবিশ্বাস্য ভিন্ন চিত্র চোখে পড়ে। যেমন নববর্ষ উপলক্ষ্যে ব্যাপক মূল্য হ্রাস এক মাস ধরে, তার আগে বর্ষশেষের মূল্য হ্রাস মাসব্যাপী চলে তার ব্যপক প্রচারণা।
ফাদার্স ডে, মাদার্স ডে, ভ্যালেন্টাইন্স ডে তেও তাই। না, সরকারী চাপে নয়। ব্যবসায়ীরা নিজে থেকেই এই মূল্য হ্রাস ঘটায় এবং ফলে ব্যাপক বিক্রীর সুফল পায় তারা। আর আমাদের দেশে উৎসব উপলক্ষে ফাঁদা হয় দফায় দফায় মূল্য বৃদ্ধির ফাঁশ। আর মূল্য একবার বাড়লে তা আর কোনদিন কমে না। যেমন আন্তর্জাতিক বাজারে তেল-গ্যাসের মূল্যবৃদ্ধি ঘটলে দিব্যি সরকাই সেগুলির দাম বাড়িয়ে দেয় যার চেইন এফেক্ট হিসেবে কৃষি, শিল্প পণ্য ও পরিবহনে মূল্যবৃদ্ধি ঘটে। দরিদ্ররা হয়ে থাকে তার শিকার। কিন্তু যখন আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস ঘটে তখন কিন্তু বাংলাদেশে তেল, গ্যাসের মূল্য একটুও কমানো হয় না।
কিন্তু এর প্রতিবাদ নেই। সরকারী দল তো করবেই না। বি.এন.পি. জামায়াত, হেফাজত মার্কারাও নিশ্চুপ। কিন্তু প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক শক্তিরা? তাঁরাও দিব্যি চুপচাপ। অথচ কৈশোরে দেখেছি কোলকাতায় সরকার ট্রাম ভাড়া মাত্র এক পয়সা বাড়ানোর ফলে হরতাল-অবরোধ মিটিং মিছিলে প্রকম্পিত হলো গোটা কোলকাতা শহর। আর তা ঘটালো ভারতের কমিউনিষ্ট পার্টি তাৎক্ষনিকভাবে। পুলিশের গুলিতে একজন মৃত্যু বরণও করলেন। প্রত্যাহৃত হলো ঐ এক পয়সার বর্ধিত ট্রামভাড়া। জনতার বিজয় হলো-কমিউনিষ্ট পার্টির জনপ্রিয়তা ও প্রভাব বাড়লো। আর এখানে? এখানকার বাম-প্রগতিশীল শক্তি দিব্যি ঘুমিয়ে যদিও চালের দাম আজও হু হু করে বাড়ছে বাড়ছে অপর সকল কিছুর দামও।
ঈদের অবশ্যম্ভাবী দিক হলো যার যার বাড়ী ফেরা পরিবার-পরিজন নিয়ে। দুটি ঈদেই এমনটি ঘটে। এক্ষেত্রেও মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধের হাক ডাক মন্ত্রিদের মুখে এমন কি সড়ক পরিবহন সেতু মন্ত্রীর প্রলাপোক্তি দিব্ব্যি শুনা যায়। এবারও তার কোন ব্যতিক্রম হয় নি। অন্যান্য বার যেমন রাস্তাঘাট ভাঙ্গাচোরা থাকায় যান বাহনের দুর্ঘটনায় মানুষের প্রাণ যায়, প্রাণ যায় ঈদযাত্রী বহনের বাড়তি প্রয়োজনে লক্কর ঝক্কর মার্কা মেয়াদোত্তীর্ণ গাড়ি পথে নামানোর ফলে অথবা অনভিজ্ঞ, প্রশিক্ষণহীন ভূয়া বা ঘুস দিয়ে কেনা ড্রাইভিং লাইসেন্স নেওয়া ড্রাইভার দিয়ে গাড়ী চালানোর ফলে অথবা বিশ্রামহীন, ঘুমহীন ক্লান্ত ড্রাইভার দিয়ে গাড়ী চালানো কিংবা এক হাতে ষ্টিয়ারিং অপর হাতে মোবাইলের কথোপকথন চালিয়ে গাড়ী ড্রাইভ – করা প্রভৃতির ফলে অসংখ্য দুর্ঘটনায় প্রাণ হানি। কিন্তু যতই প্রান যাক এ ব্যপারে কারো কোন শাস্তি হওয়ার খবর পাওয়া যায় না।
কিন্তু মন্ত্রী মহোদয় এ সময় মাঠ-ঘাট ঘুরে বেড়ালেও না হয় রাস্তার উন্নতি না হয়, লক্কর মার্কা গাড়ী চালানো বন্ধ না হয় অবৈধ পন্থায় অর্জিত লাইসেন্স নিয়ে অনভিজ্ঞ অপ্রশিক্ষিত ড্রাইভার দিয়ে গাড়ী চালানো বন্ধ। তাই প্রাণ হানি বন্ধ হওয়া বা তা প্রতিরোধে গণ আন্দোলন কোনটাই হচ্ছে না।
এহেন সমস্য জর্জরিত দেশে এসেছে বাজেট অধিবেশন। অর্থমন্ত্রী তাঁর খসড়া বাজেট সংসদে কয়েক সপ্তাহ আগেই পেশ করেছেন। তিনি এই বাজেট করেছেন বিশাল অংকের বা অতীতে কানদিন হয় নি। যত আশাবাদ তিনি দেখিয়েছেন বোধ করি তিনিও জানেন তা পূর্ণাঙ্গভাবে বা অর্ধেকের বেশী বাস্তবায়ন হবে না। হয় নি কোনদিন। কেন হয় না তাও খতিয়ে দেখা হয় না কদাপি। ফলে প্রকল্প ব্যয় বাড়ে তার মেয়াদও বাড়ে দফায় দফায়। হয়তো বা ওই বাড়তি ব্যয় মেটানো হয় বাজেটের অব্যবহৃত অর্ধাংশের মাধ্যমে। ক্ষতি হয় জনগণের কারণ বাজেটের টাকা তো তাদেরই টাকা।
এর ওপর এবার ভ্যাটের আওতা ব্যাপক বৃদ্ধির প্রস্তাবে সংবাদপত্র শিল্প পড়েছে মারাত্মক ঝুঁকির মুখে। এ শিল্পকে বাঁচাতে হবে তবে অনুকূল পরিস্থিতি তৈরীর জন্য ভ্যাট এ সংস্কার আনা হোক অতিদ্রুত।
তদুপরি আবগারি শুল্ক এবং ব্যাংক ও সঞ্চয়পত্রের সুদের হার কমানোর অমানবিক প্রস্তাবও তিনি দিয়েছেন মধ্যবিত্ত নিম্ন মধ্যবিত্ত কোটি কোটি মানুষের প্রতিকূলে গিয়ে। কিন্তু ব্যাংক ডাকাতি করে যারা হাজার হাজার কাটি টাকা মেরে দিল তা উদ্ধারের কোন কথাই চোখে পড়লো না অর্থমন্ত্রীর সুদীর্ঘ বাজেট বক্তৃতায়। তিনি ব্যাংকে গচ্ছিত টাকার সুদের হার কমতে কমতে যে শূণ্যের কোটায় প্রায় পৌঁছেছে তা থেকে আরও কমানোর প্রস্তাব রেখে প্রতিবাদের সম্মুখীন হয়েছেন মন্ত্রী-এমপি ও জনগণের দ্বারা।
তাঁর নজর পড়েছে সঞ্চয় পত্রের প্রতিও। যাঁরা বয়স্ক এবং রিটায়ার করে বসে আছেন তাঁদের সংসার চালাতে হয় ঐ সঞ্চয় পত্রে ও ব্যাংকে দীর্ঘমেয়াদে গচ্ছিত টাকার বিনিময়ে প্রাপ্ত সুদের টাকায়। এ গুলি বন্ধ করে কার স্বার্থ রক্ষা করা হবে? সরকারের? সরকার কতইবা পাবেন এর দ্বারা?
এই বাজেট আরও নানা দিক থেকে গণবিরোধী। ঈদের আগে থেকে দ্রব্যমূল্যের আকাশ ছোঁয়া উল−ম্ফনের মুখে এই গণবিরোধী বাজেটের দ্রুত মৌলিক সংস্কার করে তাকে গণমুখী করা হোক। বর্ধিত প্রস্তাবগুলি প্রত্যাহার ও ব্যাংক সুদের হার কমানো নয় তা বরং বাড়ানো হোক। নইলে মানুষ ব্যাংক মুখী হবে না এবং আর এক বিপদে পড়বে অর্থনীতি। বরং অলস টাকা উৎপাদনশীল খাতে বিনিয়োগ করে ব্যাংকের আয় বৃদ্ধি ব্যবস্থা করা হোক, সঞ্চয় পত্রের সুদের বর্তমান হারও অব্যাহত রাখা হোক।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।