কিশোরীগঞ্জে প্রধান শিক্ষক এক দিনও উপস্থিত থাকেন না!

 

 

 

সনৎ কুমার রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি  । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

নীলফামারীর  কিশোরীগঞ্জ উপজেলার উত্তর দুরাকুটি ময়দান পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তাকে অপসারনের দাবিতে এলাকার অভিভাবকরা স্কুলটি ঘেরাও করেছে।

আজ সোমবার সকাল ১১টায় এ ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তিন সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা  ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। এ ঘটনার জন্য দায়ি করে উক্ত প্রধান শিক্ষক ওই স্কুলের সহকারী শিক্ষক আখরুজ্জামানকে (৩২) লাঞ্চিত করে। এ নিয়ে সেখানে তোলপাড় সৃস্টি হয়।
এলাকার অভিভাবক জাহাঙ্গীর আলম অভিযোগ করে বলেন প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সপ্তাহে কার্য দিবসের একদিনও বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকেন না। শুধু একদিন এসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে চলে যান। বিদ্যালয়ের  আলমিরা স্কুল হতে তার বাড়ীতে নিয়ে গিয়ে নিজ কাজে ব্যবহার করছে। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় প্রতিদিন প্রতিটি শ্রেণীতে ১০থেকে ১৫জন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত থাকলেও দ্বিগুন ছাত্র ছাত্রী উপস্থিত দেখিয়ে উপ-বৃত্তির টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করছে।
অভিযোগ মতে উক্ত প্রধান শিক্ষকের বয়স ৫৫ হলেও তিনি বিয়ে না করে দুটি সন্তানের নামে নিয়মিত শিক্ষা ভাতা উত্তোলন করে আসছে। তাছাড়াও তিনি ভূয়া ছাত্র ছাত্রী ভর্তি দেখিয়ে সরকারী বিনামূল্যের বই উত্তোলন করে কালো বাজারে বিক্রি করে দিয়েছে।  প্রাক প্রাথমিকে উপকরণ ক্রয় না করে বরাদ্দকৃত টাকা আত্মসাৎ করেছে।
অভিযোগ মতে প্রধান শিক্ষকের অনিয়ম দুর্ণীতির কারনে স্কুলের শিক্ষা ব্যবস্থা নস্ট হয়ে গেছে। গত ছয় বছর ধরে প্রধান শিক্ষক তার বড় ভাই বেজাউল ইসলামকে স্কুল পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি রাখেন। এবার গোপনে তার ছোট ভাই হামিদুল ইসলামকে সভাপতি বানিয়েছে।
অভিযোগকারী জাহাঙ্গীর আলম বলেন এসব অনিয়ম আমি লিখিত ভাবে প্রাথমিক শিক্ষা অফিসে জানাই। এদিকে এলাকার অভিভাবকরা স্কুলটি ঘেরাও করলে খবর পেয়ে প্রধান শিক্ষক ছটে এসে এর জন্য সহকারী শিক্ষক আখরুজ্জামানকে দায়ি করে চরম ভাবে লাঞ্চিত করে। এরপর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তিন সহকারী শিক্ষা অফিসার মোতাহার হোসেন,নুরুজ্জামান ও রফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে এসে তদন্তের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে জানালে এক ঘন্টাপর অভিভাবকরা স্কুল ঘেরাও প্রত্যাহার করে নেয়।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মাসুদুল হাসান সাংবাদিকদের বলেন তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত করে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে সকল অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ অস্বীকার করে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন একটি চক্র আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে আমাকে হয়প্রতিপন্ন করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!