এমপি না হয়েও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা নিলেন মুহিত
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সংসদ সদস্য না হয়েও শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা নিয়েছেন সাবেক অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। তিন শর্তে মুহিতের টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার স্টেশন ওয়াগন জিপের ওপর শুল্কমুক্ত সুবিধা দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সোমবার এনবিআর থেকে এ সংক্রান্ত একটি বিশেষ আদেশ জারি করা হয়েছে।
আদেশে বলা হয়েছে, আবুল মাল আবদুল মুহিত দশম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য ও অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করলেও ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করেননি। সে জন্য তিনি শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা প্রাপ্য না হলেও বাস্তবিক অবস্থার নিরিখে তাকে সংসদ সদস্যের মতোই শুল্কমুক্ত গাড়ি আমদানির সুবিধা দেয়ার বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অনুমোদিত হয়েছে।
আদেশে আরও বলা হয়েছে, দ্য কাস্টমস অ্যাক্ট ১৯৬৯-এর সেকশন ২০ এবং মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ২০১২-এর ধারা ১২৬(১)-এর প্রদত্ত ক্ষমতাবলে আমদানি করা (টয়োটা ল্যান্ড ক্রুজার-ভি৮, চেসিজ-JTMHV05JX04271792, মডেল-২০১৮) গাড়িটি খালাসের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সমুদয় আমদানি শুল্ক, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক থেকে তিনটি শর্তে তাকে অব্যাহতি দেয়া হল।
এনবিআরের শর্ত তিনটি হল—
১. আমদানির পরবর্তী পাঁচ বছরের মধ্যে গাড়ি অন্যত্র হস্তান্তর বা বিক্রি করা যাবে না। তবে শর্ত থাকে যে, গাড়িটি আমদানির পাঁচ বছর পার হওয়ার আগে- তা হস্তান্তর বা বিক্রি করতে হলে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সমুদয় শুল্ক কর পরিশোধ করতে হবে।
২. গাড়ির রেজিস্ট্রেশন হস্তান্তর বা বিক্রির ক্ষেত্রে এনবিআরের কাছ থেকে আগে সম্মতিপত্র নিতে হবে।
৩. গাড়ি আমদানির পাঁচ বছরের মধ্যে আমদানিকারক মারা গেলে তার উত্তরাধিকারীদের কোনো শুল্ক কর পরিশোধ করতে হবে না। তবে শর্ত থাকে যে, আমদানিকৃত গাড়ির মূল্য আমদানিকারকের উত্তরাধিকারীর নামে নাম পরিবর্তন ছাড়া অন্য কারও নামে হস্তান্তর বা বিক্রি করতে হলে এই প্রজ্ঞাপনের অধীনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সমুদয় শুল্ক কর ওই গাড়ি হস্তান্তর বা বিক্রির আগে সংশ্লিষ্ট শুল্ক ভবনের কমিশনারের কাছে পরিশোধ করতে হবে।