টাঙ্গাইলে মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান এমপি রানা ও তার তিন ভাইকে আওয়ামী লীগে থেকে বহিস্কার

 
বিভাস কৃষ্ণ চৌধুরী, টাঙ্গাইলবিশেষ প্রতিনিধি  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম

টাঙ্গাইলে চাঞ্চল্যকর মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদ হত্যা মামলার প্রধান আসামী সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা ও তার তিন ভাইকে জেলা আওয়ামী লীগে থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

সোমবার দুপুরে জেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরী সভায় সর্বসম্মতিক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে তাদেরকে বহিস্কার করা হয়। বহিস্কৃত অপর তিন ভাই হলো- শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র শহিদুর রহমান খান মুক্তি, কেন্দ্রিয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা এবং টাঙ্গাইল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ড্রাষ্টির সাবেক প্রেসিডেন্ট ও আওয়ামী লীগের সদস্য জাহিদুর রহমান খান কাকন। তাদেরকে বহিস্কারের পর আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ও যুবলীগসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহরে আনন্দ মিছিল বের করে।
সোমবার দুপুরে জেলা পরিষদ মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহম্মেদ হত্যা ও সম্প্রতি ঘাটাইলের ছাত্রলীগ নেতা আবু সাঈদ রুবেলকে হত্যার উদ্দেশ্যে বর্বরোচিত হামলাসহ দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয় বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম জোয়াহের।
তিনি জানান, জেলা আওয়ামী লীগের সভায় এমপি রানাসহ তার চারভাইকে আওয়ামী লীগের প্রাথমিক সদস্য পদ থেকে বহিস্কার করা হয়েছে। এবং তা চুড়ান্ত অনুমোদনের জন্যে কেন্দ্রিয় কমিটির কাছে প্রেরনের সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল – ৩ (ঘাটাইল ) আসনের সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ চারভাইকে বহিস্কারের পর স্বস্তি প্রকাশ করেছেন নিহত ফারুক আহম্মদের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ। এ সময় তিনি স্বামীর হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তি দাবি করেন।

উল্ল্যেখ, বিগত ২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু হত্যার প্রতিবাদকারী, মুক্তিযোদ্ধা ও জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহম্মেদকে হত্যা করে শহরের কলেজ পাড়ায় তার বাসার সামনে ফেলে রাখা হয়। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী নাহার আহম্মেদ বাদি হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দীর্ঘদিন তদন্তের পর সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানাসহ চার ভাইয়ের নাম উঠে আসে। পরে এমপি রানাকে প্রধান আসামী করা হয়। এছাড়াও তার তিনভাইসহ ১৪জনকে আাসামী করে আদালতে চার্জশীট দাখিল করা হয়। এ মামলায় বর্তমানে এমপি রানা জেল হাজতে রয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!