কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে চীনে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভারতের হিন্দুত্ববাদী বিজেপি সরকার কর্তৃক কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর উদ্ভূত পরিস্থিতির বিষয়ে আলোচনা করতে চীন সফরে যাচ্ছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কোরেশি।
বুধবার পাকিস্তান পার্লামেন্টের যৌথ অধিবেশনে চীন সফরের ঘোষণা দেন তিনি। খবর জিয়ো নিউজ উর্দূর।
জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল নিয়ে চীনের সঙ্গে সীমানা বিতর্কে জড়িয়েছে ভারত সরকার। উত্তেজনাকর এ পরিস্থিতিতে বেইজিং সফরের ঘোষণা দিলেন পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সংসদে পাক পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভারত সরকারের একতরফা কার্যক্রমের বিষয়টি ইতিমধ্যে জাতিসংঘ মহাসচিবকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে। কাশ্মীরি জনগণের ওপর ভারতের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া এবং সীমান্তের তাদের অপতৎপরতার বিষয়টি আমরা আন্তর্জাতিক শক্তিকে অবহিত করছি।
এ জন্য নিরাপত্তা পরিষদের অন্যতম সদস্য চীনের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আমরা আলোচনা করব।
এদিকে জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা (স্বায়ত্বশাসন) বাতিল নিয়ে চীনের সঙ্গে সীমানা বিতর্কে জড়িয়েছে ভারত সরকার।
মঙ্গলবার বেইজিং এক বিবৃতিতে বলেছিল,চীন-ভারত সীমান্তের পশ্চিম অংশে ভারতের প্রশাসনিক এখতিয়ারের মধ্যে চীনা এলাকার অন্তর্ভুক্তি নিয়ে বরাবরই বিরোধিতা করে আসছে বেইজিং। এ অবস্থানটি দৃঢ়,অবিচল ও কখনও পরিবর্তন হয়নি। সম্প্রতি দেশের অভ্যন্তরীণ আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ভারতীয় পক্ষ একতরফা চীনের আঞ্চলিক সার্বভৌমত্ব ক্ষুণ্ণ করে যাচ্ছে।
মঙ্গলবারই চীনের সতর্কতার জবাবে পাল্টা সতর্কতা দিয়েছে দিল্লি। জম্মু-কাশ্মীর পুনর্গঠন বিলকে ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয় বলে দাবি করা হয়।
চীনকে এ ব্যাপারে মন্তব্য না করার আহ্বান জানিয়ে ভারতীয় পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র বলেন, ভারত অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কথা বলে না এবং অন্য দেশগুলোও একই পথ অনুসরণ করবে বলে আশা রাখি আমরা।
ভারত ও চীনের সঙ্গে লাদাখ নিয়ে সীমান্ত বিরোধ রয়েছে। বিরোধপূর্ণ এলাকা লাদাখের নিয়ন্ত্রণ বেইজিংয়ের হাতে হলেও ভারত বরাবরই একে নিজেদের এলাকা বলে দাবি করে আসছে।
সোমবার ওই এলাকাটির বিশেষ মর্যাদা কেড়ে নেয় ভারত। ফলে চীনের সীমান্ত নিয়ে উদ্বেগ দেখা দেয়। ২০১৪ সালের সেপ্টেম্বরে যখন চীনা সেনারা বেশ কয়েক কিলোমিটার উত্তরে লাদাখের দিকে অগ্রসর হয়েছিল তখন দু’সপ্তাহের স্থবিরতা দেখা দিয়েছিল ওই অঞ্চলে।