কুমারখালীতে চাঁদা না পেয়ে এবার বসত বাড়ীতে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট, আহত-২
কুমারখালী, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ইছাখালী গ্রামে মাদক সম্রাট সোবাহান ও তার সহযোগিদের বিরুদ্ধে পত্রিকায় সংবাদ পরিবেশন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে সত্য তথ্য দেওয়া এবং দাবীকৃত চাঁদা না দেওয়াকে কেন্দ্র করে সাংবাদিকের বসতবাড়ীতে হামলা চালিয়ে নগদ টাকা, স্বারর্ণালংকার লুট ও গুরুত্বর জখমের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভুগি সাংবাদিক ও তার ভাই গুরুত্বর আহত হয়েছে। এ ঘটনায় সাংবাদিক দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। মামলা নং ১৩, ধারা ১৪৩/৪৪৭/৩২৩/৩২৫/৩২৬/৩৮০/৪২৭/৫০৬/১১৪ পেনাল কোড-১৮৬০, তারিখ ১৭/০২/২০২১ ইং।
মামলার এজাহার ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ইছাখালী ব্রীজ সংলগ্ন একই গ্রামের মৃত করিম শেখের পরিবার দীর্ঘ ৪০/৫০ বছর ধরে সেখানকার পুকুরটি ভোগ দখল করে মাছের চাষাবাদ করে আসছে। প্রতি বছরের ন্যায় গতকাল পুকুরটি পূণঃ খনন করতে ১০ জন শ্রমিক নিয়ে কাজ করছি। হঠাৎ গত ১৫/২/২১ ইং তারিখে আনুমানকি ০৯.৩০ ঘটিকার সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একই গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত ভরশ শেখ এর ছেলে সোবাহান শেখ ওরফে গাজা সোবাহান (৫৫), মকছেদ আলীর ছেলে এলাকায় ডাকাত বলে খ্যাত খাইরুল ডাকাত (৪৫), সাবেক গণমুক্তিফোজের সক্রিয় সদস্য মৃত হাকিম বিশ^াসের ছেলে লুৎফর রহমান ওরফে নুতু(৪৫), গাজা সেবী মকছেদ আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম(৪৩), নাজিমের ছেলে সুমন(২৮), সলিম শেখের ছেলে সরোয়ার হোসেন(৩৫), ওয়াছেল শেখের ছেলে মতিয়ার (৫০)ও আক্তার হোসেন (৪৭)সহ আজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন আমাদের পৈত্রিক সুত্রে পাওয়া পুকুরটির উপর যায়। আমার কাছে যেয়ে বলে তোকে তো দুই লাখ টাকা চাঁদা দেওয়ার কথা তুই না দিয়ে পুকুর কাটছিস। কাজ বন্ধ করে দে। সে সময় পুকুরের শ্রমিকদের মারপিটসহ জানে মেরে ফেলার হুমকী দিলে শ্রমিকরা ভয়ে পালিয়ে যায়। তখন আমাকে বলে, যে দিন চাঁদা দিবি সেই দিন পুকুরে আসবি তা না হলে তোকে মেরে গুম করে দিবো। এ কথা বললে আমি প্রাণ ভয়ে বাড়ী চলে আসি।
সেই সুত্র ধরেই গত ১৬/২/২১ ইং তারিখে আনুমানকি ০১.৩০ ঘটিকার সময় দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একই গ্রামের চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী মৃত ভরশ শেখ এর ছেলে সোবাহান শেখ ওরফে গাজা সোবাহান (৫৫), মকছেদ আলীর ছেলে এলাকায় ডাকাত বলে খ্যাত খাইরুল ডাকাত (৪৫), সাবেক গণমুক্তিফোজের সক্রিয় সদস্য মৃত হাকিম বিশ^াসের ছেলে লুৎফর রহমান ওরফে নুতু(৪৫), মাদক সেবী মকছেদ আলীর ছেলে মনিরুল ইসলাম, নাজিমের ছেলে সুমন, সলিম শেখের ছেলে সরোয়ার হোসেন, ওয়াছেল শেখের ছেলে মতিয়ার ও আক্তার হোসেন, হায়দার বিশ্বাস, কবিরুল ইসলাম, মকুল হোসেন, কাশেম শেখ, আতিয়ারসহ অজ্ঞাত আরো ৭/৮ জন আমার বসত বাড়ীতে এসে আমার গেইটে শোর চিৎকার দিয়ে আমাকে ডাক দেয়। পরে আমার মেঝো ভাই ফারুক তাদের কাছে গেলে হামলাকারীরা আমার ভাইয়ের সাথে খারাপ আচরন করলে আমি ঘর থেকে বেড় হয়ে হামলাকারীদের সামনে যাওয়া মাত্রই আমাকে ঘিরে ফেলে দেশীয় অস্ত্রে-সজ্জিত হয়ে আমার মাথায়, হাতে ও শরীরে বিভিন্ন অংশে রক্তাক্ত জখম করে। তখন আমি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে হামলাকারীরা আমার বসত বাড়ীতে প্রবেশ করে আলমারী ও বাক্সু ভেঙ্গে নগদ টাকা ও স্বরর্ণালংকার লুট করে করে। এ সময় আমার পরিবারের লোকজন শোর চিৎকার দিলে আশেপাশের ও পথচলতি লোকজন ছুটে আসলে হামলাকারীরা প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ মজিবুর রহমান জানান, হামলাকারীদরে বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। দ্রুত তাদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি জানান। হামলাকারীদের বিরুদ্ধে কুমারখালী ও বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা ও অভিযোগ রয়েছে। তবে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী এলাকাবাসীর।