কোটা নিয়ে প্রজ্ঞাপন না হলে ফের আন্দোলনের হুমকি
প্রধানমন্ত্রীর কোটা বাতিলের ঘোষণা চলতি মাসের মধ্যে প্রজ্ঞাপন আকারে জারি করা না হলে আগামী মাস থেকে আবার আন্দোলন করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হোসেন বলেন, নিয়মানুযায়ী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার দু-তিন দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারি হওয়ার কথা। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর ব্যস্ততার কারণে সেটি একটু দেরি হচ্ছে। তবে চলতি মাসের মধ্যে এই প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আগামী মাস থেকে সারা দেশে ছাত্রসমাজ আবারও আন্দোলনে নামবে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক অজ্ঞাতনামা মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানান কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নূর। তিনি বলেন, ঢাবির উপাচার্যের বাসভবনে যারা হামলা চালিয়েছে, তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নয়। তারা বহিরাগত। তারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে এ হামলা চালিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনকে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি।
ঢাবিসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের হয়রানি করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন নুরুল হক নূর। এ সময় তিনি আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার জন্য ছাত্র-শিক্ষকদের নিয়ে ৩০ এপ্রিল সব বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজে আলোচনা ও মতবিনিময় সভার আয়োজনের কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
সংগঠনের আরেক যুগ্ম আহ্বায়ক বিনি আমিন বলেন, গত ২১ এপ্রিল একটি দৈনিকে কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে একটি ‘ভিত্তিহীন, বানোয়াট’ প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। বিকেলের মধ্যে সেটি প্রত্যাহারের দাবি জানান।