কোটি টাকার চেক ও ফেনসিডিলসহ আটক চট্টগ্রামের জেলার
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার সোহেল রানা বিশ্বাস কয়েক লাখ অবৈধ টাকা ও কয়েক কোটি টাকার চেক-এফডিআর ও ফেনসিডিলসহ কিশোরগঞ্জের ভৈরবে গ্রেফতার হয়েছেন।
শুক্রবার ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে যাচ্ছিলেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ তাকে তল্লাশি করে। এ সময় তার কাছ থেকে ১২ বোতল ফেনসিডিল, ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার চেক এবং বিভিন্ন নামে ২ কোটি ৫০ লাখ টাকার এফডিআরের নথিপত্র জব্দ করা হয়।
ভৈরব রেলওয়ে থানা পুলিশ জানায়, জেলার সোহেল রানার কাছে থাকা কর্মস্থলের পরিচয়পত্র ও জাতীয় পরিচয়পত্র দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। বিষয়টি চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছিল। অসুস্থ বোধ করায় তাকে ভৈরব স্বাস্থ্য কমপ্লেপে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। আটকের পর জেলার সোহেল রানাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তার কাছে নিজের নামে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকার তিনটি চেক, ১ কোটি টাকার দুটি এফডিআর, তার স্ত্রী হোসনে আরা পপির নামে ১ কোটি টাকার দুটি এফডিআর ও তার শ্যালক রকিবুল হাসানের নামে ৫০ লাখ টাকার একটি এফডিআরের নথিপত্র পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ৪৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকা ও এই বিপুল পরিমাণ এফডিআরের টাকার উৎস সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য দিতে পারেননি তিনি।
ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি আব্দুল মজিদ জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনে তল্লাশি চালিয়ে জেলার সোহেল রানাকে মাদক ও অবৈধ টাকাসহ আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ও মানি লন্ডারিং আইনে দুটি মামলা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, জেলার সোহেল রানাকে আটকের বিষয়টি ভৈরব রেলওয়ে থানার ওসি তাকে জানিয়েছেন। এ তথ্য ঊর্ধ্বতন কারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। মামলার নথি দেখে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জেলার সোহেল রানা পাঁচ দিনের ছুটি নিয়ে ময়মনসিংহে গ্রামের বাড়ি যাচ্ছিলেন। নরসিংদী জেলা কারাগার থেকে বদলি হয়ে ২০১৭ সালের ২৬ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার হিসেবে যোগদান করেন তিনি।