‘ক্যাসিনো’ সাঈদ বরখাস্ত
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর এ কে এম মমিনুল হক সাঈদকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ক্যাসিনো বাণিজ্যে প্রভাবশালী এই কাউন্সিলরের নাম জড়ালেও ডিএসসিসির বোর্ড সভায় অনুপস্থিতির দায়ে তাকে বরখাস্ত করে আদেশ জারি করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ।
আজ বৃহস্পতিবার স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
রাজধানী ক্যাসিনো বাণিজ্যে একের পর এক যুবলীগ নেতারা যখন গ্রেপ্তার হয়ে কারান্তরীন, তখন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের এই প্রভাবশালী যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের নামও জড়ায়। তারপর থেকেই তিনি পলাতক রয়েছেন।
এই কাউন্সিলরকে বরখাস্ত করে স্থানীয় সরকার বিভাগের আদেশে জানানো হয়, যুক্তিসঙ্গত কারণ না দেখিয়ে করপোরেশনের ১৮টি সভার মধ্যে ১৩টি সভায় অনুপস্থিত ছিলেন সাঈদ। এর মধ্যে একনাগারে তিনবার (প্রথম থেকে তৃতীয়), চারবার (সপ্তম-দশম) এবং ছয়বার (১২তম থেকে ১৭তম) সভায় অনুপস্থিত ছিলেন। তিনি স্থানীয় সরকার বিভাগের অনুমোদন না নিয়ে বিদেশে রয়েছেন। এ ছাড়া তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হলেও তিনি নোটিশের জবাব দেননি। এ কারণে তাকে কাউন্সিলরের পদ থেকে অপসারণ করল মন্ত্রণালয়।
জানা গেছে, এ কে এম মমিনুল হক সাঈদ ২০১৫ সালে ডিএসসিসির ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নির্বাচিত হলেও তিনি বোর্ড সভায় নিয়মিত উপস্থিত হতেন না। তিনি স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া অসংখ্যবার বিদেশে গেছেন। বর্তমানে তিনি সিঙ্গাপুরে রয়েছেন। ডিএসসিসি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন ছাড়া বিদেশ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তিনি তা মানেন না সাঈদ। গত ২৫ জুন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানায় সিটি কর্পোরেশন।
গত ৭ জুলাই তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি জবাবে অভিযোগ অস্বীকার করেন। তখন তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া যায়নি। ২৬ আগস্ট ডিএসসিসির বোর্ড সভায় অংশ নিয়েছিলেন সাঈদ।
র্যাব সূত্র জানায়, রাজধানীর ফকিরাপুলের ওয়ান্ডারার্স ক্লাবটি চালাতেন যুবলীগের বিতর্কিত নেতা মমিনুল হক। ওই ক্লাবে নিয়মিত ক্যাসিনো, জুয়া, মাদকের আসর বসতো। র্যাবের অভিযানের পর পরই মমিনুল হক সিঙ্গাপুর পালিয়ে যান। ফকিরাপুল ও আরামবাগের অনেকেই তাকে ‘ক্যাসিনো সাঈদ’ নামে চেনেন। এ ছাড়া আরও চারটি ক্লাবে ক্যাসিনো ব্যবসা ছিল সাঈদের নিয়ন্ত্রণে।