খালেদা জিয়া এবং গণতন্ত্র একাকার: ফখরুল
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বাংলাদেশ, খালেদা জিয়া ও গণতন্ত্র একাকার হয়ে গেছেন তাই আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষের দায়িত্ব সকল গণতান্ত্রিককামী মানুষদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই যে ফ্যাসিস্ট সরকার যারা আজকে বাংলাদেশের মানুষের বুকে জবরদখল পাথরের মতো চেপে বসে আছে তাদেরকে অপসারণ করতে হবে। দেশে গণতন্ত্রের মুক্ত বাতাস বইতে হবে। একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রকে পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে হবে।
সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার ও তাঁর নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে আয়োজিত এক মানববন্ধনে তিনি এসব কথা বলেন। মানববন্ধনটির আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আসুন দেশনেত্রীর মুক্তির দাবিতে আমরা সোচ্চার হই। আন্দোলনের মধ্য দিয়েই আমরা বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করে আনবো ইনশাআল্লাহ। আজকে মা-বোনেরা জেগেছেন তাদেরকে আমি অনুরোধ জানাবো আপনাদের সবাইকে নিয়ে রাস্তায় নামতে হবে। দেশকে উদ্ধার করতে হবে, দেশনেত্রীকে উদ্ধার করতে হবে। কারণ এখন দেশ এবং খালেদা জিয়া এই দুটো যেমন একাকার হয়ে গেছেন তেমনিভাবে গণতন্ত্র এবং খালেদা জিয়াও একাকার হয়ে গেছেন। তাই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হবে আমাদের সমস্ত শক্তি দিয়ে, জনগণের শক্তি দিয়ে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের দুঃখ আমরা রাখবো কোথায়, আমাদের কষ্ট আমরা রাখবো কোথায়। যে নেত্রী গণতন্ত্রের জন্য তাঁর সমস্ত জীবনকে উৎসর্গ করেছেন। তিনি গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন লড়াই সংগ্রাম করেছেন রাজপথে চারণ কবির মতো ঘুরে বেড়িয়েছেন সেই নেত্রীকে আজকে এই অনির্বাচিত অবৈধ ফ্যাসিস্ট সরকার তাদের ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করার লক্ষ্যে একদলীয় শাসন ব্যবস্থাকে বাস্তবায়িত করার লক্ষ্যে সেই গণতন্ত্রের নেত্রীকে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলায় কারারুদ্ধ করেছে।’
তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারারুদ্ধ করা হয়েছে গণতন্ত্রের দাবিতে আন্দোলনকে স্তব্ধ করার জন্য এবং আসন্ন নির্বাচনে তিনি (খালেদা জিয়া) যদি থাকেন এবং নির্বাচনে তিনি যদি নেতৃত্ব দেন তাহলে তারা (আ.লীগ) কোনভাবেই আর ক্ষমতায় ফিরে আসতে পারবে না, এই জন্য।’
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা অভিযোগ করে বলেন, ‘বাংলাদেশের শিক্ষাব্যবস্থা আজকে ধ্বংস হয়ে গেছে। প্রতিটি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়ে যাচ্ছে। ব্যাংক ও শেয়ারবাজার থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়ে যাচ্ছে তাদের কোন বিচার হচ্ছে না। কারণ সেগুলোর সাথে সরকার জড়িত।’
আয়োজক সংগঠনের সভাপতি আফরোজা আব্বাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে আরও বক্তব্য দেন সিনিয়র যুগ্ম-সম্পাদক হেলেন জেরিন খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য ইয়াসমিন আরা হক প্রমুখ। সূত্র-ব্রেকিংনিউজ।