গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে শরীয়তপুরে
সৈয়দ মেহেদী হাসান, শরীয়তপুর প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী’র আগমন বার্তা জানিয়ে শরীয়তপুরের আকাশে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছে। গতকাল থেকে প্রচণ্ড তাপদাহ ও গরম শেষে ভোর থেকে শুরু হয় বৃষ্টি। এতে স্বস্তির পরিবর্তে বেড়েছে ফণীর তাণ্ডব ভীতি।
শুক্রবার (৩ মে) সকালের দিকে বৃষ্টি শুরু হয়। একই সঙ্গে বইছে ঠাণ্ডা বাতাস।
সাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ফণীর লক্ষণ শুরুর সেই বিপদ সংকেত ঘোষণার পর থেকে সারাদেশের মতো শরীয়তপুরের মানুষের মাঝেও আতঙ্ক বিরাজ করছে।
বিশেষ করে পদ্মা ও মেঘনা নদীর তীরবর্তী সাধারণ মানুষ শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ভারি বা অতিভারি বৃষ্টির সম্ভবনায় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত তারা।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে যানা যায়, ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে তাদের প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। তবে আতঙ্কিত না হয়ে জনসাধারণকে সাবধানতা অবলম্বন করে চলতে। অন্য দিকে ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ এর প্রেক্ষিতে সকল সরকারি, বেসরকারি, এনজিওসহ সকল বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে কর্মস্থল ত্যাগ ও ছুটি বাতিল করা হয়।
শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ফণী বয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় শরীয়তপুর জেলা প্রশাসন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিকে সজাগ করতে বৃহস্পতিবার জরুরি প্রস্তুতি সভা করেছেন। হাসপাতাল, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎসহ সব জরুরি সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বেচ্ছাসেবকদের এ বার্তা দিয়ে প্রস্তুত থাকতেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ফণী গতি পর্যবেক্ষণ ও তথ্য আদান-প্রদানে জেলা ত্রাণ শাখায় একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় একটি করে নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক কাজী আবু তাহের।
নদী তীরবর্তী এলাকার আফাজ উদ্দিন, আবুল হোসেন ও তমিজ উদ্দিন সহ বেশ কয়েকজন মুঠোফোনে বলেন, ভোর থেকে হালকা বাতাস সঙ্গে বৃষ্টি শুরু হয়েছে। শুনেছি খুব বেশি বৃষ্টি ও বন্যা হবে। আল্লাহই জানে আমাদের কপালে কি লেখা আছে। দোয়া করছি আল্লাহ রহমতত করুক।