ঘাটাইলের নিপীড়নের শিকার জুয়েলের পরিবারের পাশে ছাত্রলীগ নেতা সাদ্দাম
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে নিপীড়নের শিকার জুয়েলের পরিবারের পাশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের ১ নম্বর সহ-সম্পাদক শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম গত কয়েকদিন আগে বেশ কয়েকটি জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন অনলাইনে নিপীড়নের শিকার জুয়েলের পরিবার নামে সংবাদ প্রকাশিত হয় ৷ প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা ঘাটাইলের কৃতি সন্তান শরিফুল ইসলাম সাদ্দাম সেই নিপীড়িত পরিবারের পাশে দাড়ান এবং স্থানীয় গন্যমান্য লোকজন ও ঘাটাইল থানার ওসি’র সমন্বয়ে বিষয়টি সুষ্ঠ সমাধান করে দেন ৷ এবং আশ্বাস দেন ভবিষ্যতে যেন আর নিপীড়নের শিকার না হতে হয় ৷ যদি কেউ আবারও জুয়েলের পরিবারের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটাতে চায় ৷ তবে সকলকে সাথে নিয়ে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাড়াবে ৷ এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা শরিফুল ইসলাম সাদ্দামকে পাশে পেয়ে এবং সুষ্ঠ সমাধান হওয়ায় খুশি ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে জুয়েলের পরিবার ৷
উল্লেখ্য, রিকশা চালক আব্দুর রাজ্জাক ও গৃহিণী জোছনা বেগমের দুই ছেলেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েন । বড় ছেলে জুয়েল মিয়া পড়েন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে, অর্থনীতিতে চতুর্থ বর্ষে।ছোট ছেলে আলমগীর হোসেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকার ও রাজনীতি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।এই দম্পতির একমাত্র মেয়ে মীম পড়ে তৃতীয় শ্রেণিতে । রাজ্জাকের বাড়ি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার রতনবরিষ গ্রামে।কিন্তু প্রতিনিয়ত নিজ বংশধরদের দ্বারা শারীরিক, মানুষিক অত্যাচারে শিকার হচ্ছে পরিবারটি । কিছুদিন পরই এই পরিবারে সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য আসবে, এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা । রিকশা চালক রাজ্জাক ও তার স্ত্রীও বিশ্বাস করেন, অচিরেই কেটে যাবে তাদের দুঃখ-কষ্টের দিন।তাদের দীর্ঘ কষ্টের জীবন যখন শেষের পথে, ঠিক সেই সময়ে শান্ত-সভ্য এই পরিবারের সদস্যদেরও পর অবর্ণনীয় নিপীড়ন চাপিয়ে দিয়েছে রাজ্জাকের বংশের কয়েকজন ‘সন্ত্রাসী চরিত্রের’ লোক।রাজ্জাকের দুই চাচাতো ভাই রফিক ও গফুর প্রতিনিয়ত তাদের ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার চালাচ্ছে । ঈদের পরদিন ও তাদের অবরুদ্ধ করে রাখে তারা।জোছনা বেগমকে বেদম মারধর করা হয় । তিনি এখন হাসপাতালে ভর্তি । রাজ্জাকের পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।