গোপালপুরে ইউপি মেম্বারের চাঁদাবাজির মামলায় জুলফিকার গ্রেফতার
গোপালপুর (টাংগাইল) প্রতিনিধি | কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাংগাইলের গোপাল্পুরে চাদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে এক ইউপি সদস্যের লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে গোপালপুর থানা পুলিশ আজ শনিবার দুপুরে হেমনগর ইউনিয়নের শিমলাপাড়া গ্রামের কুখ্যাত মামলাবাজ জুলফিকার আলীকে গ্রেফতার করেছে। তাকে আদালত জেলহাজতে পাঠায়। মামলার উদ্ধৃতি দিয়ে গোপালপুর থানা পুলিশ জানায়, হেমনগর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাহবুবুর রহমান টুটুল গত ২১ মার্চ মঙ্গলবার সকালে অগ্রনী ব্যাংক হেমনগর শাখা থেকে দেড় লক্ষ টাকা তুলে ঠিকাদারি কাজের সাইট পরিদর্শনে যাওয়ার পথে শিমলা পাড়া গ্রামে পথ আটকায় জুলফিকার ও নাজিরুল ইসলাম বাদল। ইতিপূর্বে চাঁদা না দেয়ায় এ দুই আসামী টুটুল মেম্বারের উপর ক্ষুব্দ ছিল। আসামীরা টুটুল মেম্বারকে বেদম পিটুনি দেয়। তার মোটর সাইকেলটি ভাংচুর করা হয়। পকেটে থাকা দেড় লক্ষ টাকা ও ছিনতাই করে নেয়া হয়। মামলার অন্যান্য আসামীরা হলো জাহানারা বেগম বকুল, ছোটন ও বাপন খান। এদিকে মামলাবাজ জুলফিকারের গ্রেফতারের খবরে এলাকায় আনন্দের বণ্যা বয়ে যায়। নলিন ও হেমনগর বাজারে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। হেমনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন খান আইয়ুব জানান, জুলফিকার ও তার পরিবারের সদস্যদের প্রধান পেশা মামলামোকদ্দমা। বিগত ৩০ বছরে জুলফিকার তার চার বোন দুই ভাগ্নী ও মা ফজিলাতুনেচ্ছাকে বাদি সাজিয়ে ৬৯ সাজানো ও বানোয়াট মামলা দায়ের করে। এর মধ্যে ৩১টি হলো ধর্ষণ ও মানহানি মামলা। এসব বানোয়াট ও সাজানো মামলায় আসামী করা হয় সহ¯্রাধিক নিরীহ ও সজ্জন মানুষকে। এমনকি থানার ওসি, ইউএনও, পৌর মেয়র, ইউপি চেয়ারম্যান, কলেজ শিক্ষক, সাংবাদিক ,ব্যাংকার পর্যন্ত রেহাই পায়নি এসব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলার ঝামেলা থেকে। ইদানিং জুলফিকার পল্লী বিদ্যুতের এক শ্রেণীর অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে তার ভগ্নীপতি নাজিরুল ইসলাম খান বাদল এবং জ্যাষ্ঠ ভগ্নী জাহানারা বেগম বকুলের সহযোগিতায় পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দেয়ার নামে অবাধে চাঁদাবাজি করছে। চাঁদা না দিলে মা-বোন দিয়ে বানোয়াট মানহানি মামলায় হয়রানির হুমকি দিচ্ছে। ওই চেয়ারম্যান মামলাবাজ ও চাঁদাবাজ জুলফিকারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। উল্লেখ্য টুটুল শুধু ইউপি সদস্যই নন হেমনগর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একজন নেতাও। তার উপর হামলা এবং পথ আটকে চাাঁদাবাজির ঘটনাটি স্থানীয় সাংসদ খন্দকার আসাদুজ্জামানের দৃষ্টিগোচর হলে তিনি পুলিশকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের পরামর্শ দেন।