জোটের শীর্ষনেতাদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার বৈঠক

 

 

 

অনলাইন ডেস্ক  কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম

বেগম খালেদা জিয়ার সভাপতিত্বে ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক চলছে। রবিবার রাত ৯টা ১০ মিনিটে গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এ বৈঠকটি শুরু হয়।

শীর্ষ খবর ডটকমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।

বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা আবদুল হালিম, বিজেপির আন্দালিব রহমান পার্থ, জাতীয় পার্টি (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, কল্যাণ পার্টির সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, ইসলামী ঐক্যজোটের অ্যাডভোকেট এম এ রকীব, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) রেদোয়ান আহমেদ, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) অধ্যাপিকা রেহানা প্রধান, খেলাফত মজলিশের মাওলানা মুহাম্মদ ইসহাক, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক পার্টির খন্দকার গোলাম মূর্তজা (এনডিপি), ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ন্যাপ-ভাসানী আজহারুল ইসলাম, পিপলস লীগের গরীবে নেওয়াজ, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান, হামদুল্লাহ আল মেহেদি, জমিয়তে উলামা ইসলামের মাওলানা আবদুর রব ইউসুফী, মুফতি মহিউদ্দিন ইকরাম, বাংলাদেশ মুসলিম লীগের এএইচএম কামরুজ্জামান খান, বাংলাদেশ ন্যাপের জেবেল রহমান গানি, সাম্যবাদী দলের সাঈদ আহমেদ, ডেমোক্রেটিক লীগ (ডিএল) সাইফুদ্দিন মনি উপস্থিত রয়েছেন।

এছাড়াও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বৈঠকে উপস্থিত আছেন।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের সাজা হলে পরবর্তীতে জোটের কৌশল ও করণীয় এতে আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

২০ দলীয় জোটে আরো সম্প্রসারিত হচ্ছে। এই জোটে নতুন দল হিসেবে যোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টি। জোটের এই বৈঠকে নেজামে ইসলামীকে জোটভূক্ত করা হতে পারে বলেও জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দীর্ঘ প্রক্রিয়ার পর আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

এর আগে শনিবার রাতে দলের স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক করেন বেগম জিয়া। বৈঠক শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রেস ব্রিফিং করেন।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে যে জাল-জালিয়াতি করে বিচারের নামে প্রহসণ এবং বিরোধীপক্ষকে দমন করার জন্য আদালতকে ব্যবহার করার একটি নোংরা দৃষ্টান্ত স্থাপিত হতে যাচ্ছে। বিচার বিভাগ এবং আইনের শাসন নিয়ে ক্ষমতাসীন দলের এমন আচরণে দেশের জনগণ আজ ক্ষুব্ধ এবং ক্রুদ্ধ। একটা নিরপেক্ষ নির্বাচন, যেটা জাতি আশা করছে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সকলের অংশগ্রহণে সেটাকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র বলে আমরা মনে করি।’

তিনি আরো বলেন, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় রায়কে কেন্দ্র করে পুরো জাতি আজ উদ্বিগ্ন, ক্ষুব্ধ ও ক্রুদ্ধ। আমরা মনে করি, এটা গভীর ষড়যন্ত্র বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য।

বৈঠক শেষে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এই প্রেস ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি শুধু একটি রেজুলেশন আপনাদের সামনে পড়ে শোনাব। গত ২৫ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার ঢাকার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত বিশেষ জজ আদালতে বিবাদীপক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য হঠাৎ সমাপ্ত ঘোষণা করে আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের তারিখ ঘোষণা করা হয়। উপস্থিত প্রবীণ আইনজীবীদের মতে, এমন ঘটনা শুধু অপ্রত্যাশিত ও অস্বাভাবিক নয়, রহস্যজনক। জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি ও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে জাতীয় নির্বাচন থেকে বাইরে রাখার জন্য দ্রুত রায় ঘোষণা-তা সেই অপচেষ্টা অংশগুলোই দেশবাসী মনে করে। সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে গত কয়েকদিন ধরে সরকারের মন্ত্রীগণ এবং বিশেষ দূত (জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ) এই মামলার রায় এবং তার পরবর্তী সম্ভাব্য পরিস্থিতি মোকাবিলার বিষয়ে সরকার এবং সরকারি দলের বিভিন্ন প্রস্তুতির কথা যে ভাষায় বলে চলেছেন তাতে প্রমাণিত হয় যে মামলা আদালতে বিচারাধীন থাকলেও তার রায় কী হবে তা সরকার এবং সরকারি দলের জানা আছে বলেই মনে হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!