টাঙ্গাইলে একইস্থানে বিএনপির ইফতার মাহফিল নিয়ে দু’গ্রুপে উত্তেজনা
বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইল শহরের সিলমী কমিউনিটি সেন্টারে শনিবার(১০ জুন) জেলা বিএনপির বিবাদমান দুই গ্রুপের ডাকা ইফতার ও দোয়া মাহফিলকে কেন্দ্র করে শহরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে যে কোন সময় সংঘর্ষের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
জানাগেছে, জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি শনিবার (১০ জুন) শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যোনে ইফতার মাহফিল আহ্বান করে দাওয়াত কার্ড বিতরণ করে। ওই অনুষ্ঠানের দাওয়াত কার্ডে প্রধান অতিথি হিসেবে কেন্দ্রীয় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী মেজর জেনারেল (অব.) মাহমুদুল হাসান ছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে একাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নাম রয়েছে।
এদিকে, নবগঠিত কমিটিকে পরিবার কেন্দ্রিক, অপরিপক্ক ও বর্তমান আওয়ামী সরকারের এজেন্ট দ্বারা গঠিত কমিটি দাবি করে ওই কমিটি বাতিলের দাবিতে পদত্যাগকারীরা সেখানে পাল্টা ইফতার মাহফিলের আহ্বান করে। এতে স্থানীয় প্রশাসন পৌর উদ্যানের ইফতার মাহফিল বন্ধ করে দেয়।
পরে জেলা বিএনপি বিকল্প স্থান হিসেবে শহরের রেজিস্ট্রি পাড়ায় সিলমী কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল আহ্বান করে।
অপরদিকে, জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটি বাতিলের দাবিতে শুক্রবার(৯ জুন) শহরে মিছিল-সমাবেশ করে। পৌর উদ্যান থেকে মিছিলটি বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে এবং একইস্থানে পাল্টা ইফতার মাহফিল আহ্বানের ঘোষণা দেয়। পুরাতন বাসস্ট্যান্ডের হাবিবুর রহমান প্লাজার সামনে আয়োজিত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নবগঠিত কমিটি থেকে পদত্যাগী বিএনপি নেতা আলী ইমাম তপন, হাসানুজ্জামিল শাহিন, আশরাফ পাহেলী, আহমেদুল হক শাতিল প্রমুখ। সমাবেশে বক্তারা শনিবার (১০ জুন) সিলমী কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল করার অঙ্গিকার ব্যক্ত করেন।
এ ব্যাপারে জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতাউর রহমান জিন্নাহ জানান, আমরা পৌর উদ্যানে ইফতার মাহফিল আহ্বান করলে উম্মুক্ত জায়গা হওয়ায় প্রশাসন তা বাতিল করে দিয়ে বিকল্প ভেন্যুতে করার কথা বলে। সে অনুযায়ী আমরা সিলমী কমিউনিটি সেন্টারে ইফতার মাহফিল আহ্বান করি।
অপরদিকে, পদত্যাগকারী বিএনপি নেতা আশরাফ পাহেলী বলেন, অযোগ্য কমিটি যেখানেই যে কর্মসূচি করবে আমরা সেখানেই পাল্টা কর্মসূচি দিবো।
বিএনপির দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দিয়েছে।
এ বিষয়ে টাঙ্গাইল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জিনাত জাহান বলেন, বিএনপির পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির বিষয়টি তিনি জানতে পেরেছেন। এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেয়ার জন্য টাঙ্গাইল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জকে নিদের্শনা দেয়া হয়েছে।