টাঙ্গাইলে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন আবেদন না মঞ্জুর ॥ কারাগারে প্রেরণ
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার রায়কে কেন্দ্র করে টাঙ্গাইলের গোপালপুরে সংঘবদ্ধ হয়ে পুলিশের কাজে বাধা দেওয়া মামলায় কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর গ্রেফতার ও জামিন আবেদনের মামলায় জামিন না মঞ্জুর করে আদালত।
টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (গোপালপুর) এর বিচারক ফারজানা হাসনাত ৯ সেপ্টেম্বর রবিবার এ আদেশ দেন।
সকালে ঢাকার কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে আনা হয়। পরে দুপুর ১টার দিকে তাকে টাঙ্গাইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত (গোপালপুর) এ হাজির করা হয়। এসময় বিচারক আসামী পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়। পরে তার জামিন শুনানি হয়। জামিনের বিরোধীতা করেন রাষ্ট্রপক্ষের কোট পুলিশের পরিদর্শক তানবীর আহমেদ। দুপক্ষের শুনানী শেষে বিজ্ঞ আদালত সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
পরে দুপুর দেড়টার দিকে আদালতের বিচারিক কার্যক্রম শেষে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে ঢাকা কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
এদিকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকু’র প্রধান আইনজীবী মো. গোলাম মোস্তফা মিয়া বলেন সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে এক নম্বর আসামী করে ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে এ মামলা দায়ের করা হয়। কিন্তু এ ঘটনার সময় তিনি ঢাকায় ছিলেন। তার বিরুদ্ধে কোন প্রকার অভিযোগ করা হয়নি। তাকে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।
অপরদিকে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে টাঙ্গাইল আলাদতে হাজির করাকে কেন্দ্র করে কোর্ট চত্বরে ব্যাপক নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেন প্রশাসন।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি গোপালপুর থানার পরির্দশক আব্দুল হাই বাদী হয়ে সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে এক নম্বর আসামী করে ৯৭ জনের নামে সংর্ঘবদ্ধ হয়ে সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অপরাধে মামলা দায়ের করা হয়।