ঢাকার ঐতিহ্য রক্ষায় ও সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে টুগেদার ফর বাংলাদেশ
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
করোনায় বাংলাদেশ সহ গোটা পৃথিবীতে দুঃসময় চলছে। সংক্রমণ থেকে জনসাধারণকে বাঁচাতে করা হয়েছে সরকার ঘোষিত ‘সর্বাত্মক বিধিনিষেধ’। উপার্জন নাথাকায় দূর্বিষহ হয়ে পড়েছে জনজীবন।
করোনায় সুবিধা বঞ্চিতদের জন্য অনুদানের অংশ হিসেবে ‘টুগেদার ফর বাংলাদেশ’, তহবিল সংগ্রহ এবং জরুরি ত্রাণ, ইফতার বিতরণ ও ঈদ উপহার বিতরণের সাথে করোনা মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাস্ক বিতরণের উদ্যোগ, একদল ইউল্যাব শিক্ষার্থী শুরু করে।
তারা সচেতনতা মূলক কর্মসূচী পরিচালনা করার পাশাপাশি ঢাকা শহরের ঐতিহ্যবাহী বাহন ঘোড়া গাড়ি টমটমের ঘোড়া গুলো দেখাশোনা করার পরিকল্পনাও করেছে। ঘোড়া গুলো একবেলার খাবার দুবেলা খেয়ে বেচে আছে, এমনকি লকডাউনে বন্ধ রয়েছে কামরাঙীর চরের বর্তমান এ রাজকীয় যানবাহন গুলো।
‘টুগেদার ফর বাংলাদেশ’ উদ্যোগের প্রধান এস এম নাজমুস সাকিব বলেছেন, “ঘোড়ার গাড়ি (টমটম) ঢাকার ঐতিহ্যের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। করোনার সময় ঘোড়া গুলোকে দেখাশোনা করা তাদের মালিকদের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।প্রাণীও আমাদের সমাজের মানুষের পাশাপাশি বেচে থাকার অধিকার রাখে। তাদের উপরও আমাদের নজর প্রয়োজন।প্রথম আলো নিউজ এবং ঢাকাবাসী ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় আমরা ঢাকা-সদরঘাট-কামরাঙিচড়ে ঘোড়া ও তাদের মালিকদের ঈদ উপহার এবং খাবার পৌঁছে দিয়েছি।
মোঃ রেজাউল করিম (বাবু), হোপ ’৮৭ বাংলাদেশের ক্রান্টি রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ বলেছেন,“ আমরা এই করুণ পরিস্থিতিতে সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসতে দেখে আনন্দিত। শিক্ষার্থীরা কোভিড-১৯ পরিস্থিতি সময়ে ত্রাণ সরবরাহ করার জন্য এই উদ্যোগের প্রস্তাব দিয়েছে।
এছাড়াও আমরা তাদের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে করোনায় জরুরি সেবায় অক্সিজেন ট্যাঙ্ক এবং জরুরি ত্রাণ দেওয়ার জন্যও পরিকল্পনা করছি।
সুশীল সমাজের সকলকে আমি এগিয়ে আসার এবং বাংলাদেশের জনগণকে যথা সম্ভব সহায়তা করার আহ্বান জানাই। ”
টুগেদার ফর বাংলাদেশ তরুণ প্রজন্মের শুরু করা একটি মানবিক ও উন্নয়ন সহায়তা।মহামারীটি যতক্ষণ চলবে ততক্ষণ এই উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে কারণ এই তরুণ সমাজ মনে করে মানবতার কোনও সীমা নেই।