মানবাধিকার সংগঠন থেকে হোমিও ডা.জহির বহিস্কার
বিশেষ (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টাঙ্গাইল শাখা থেকে হোমিও ডা. জহিরুল ইসলাম জহিরকে সংগঠন পরিপন্থী কাজের জন্য বহিস্কার করা হয়েছে। এছাড়া বিনামূল্যে টিকা খাওয়ানোর নামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রসারের জন্য মানবাধিকার সংগঠনকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার কারার অভিযোগ উঠেছে।
বটতলা আশ্রম মার্কেটের ব্যবসায়ী আদহাম হোমিও সেন্টারের পরিচালক ওই হোমিও ডাক্তার টাঙ্গাইল হোমিও মেডিকেল কলেজে শিক্ষকতা করলেও সেখানেও তার বিরুদ্ধে রয়েছে অনিয়মের অভিযোগ। স্বঘোষিত হোমিও কনসালটেন্ট ডা. জহিরুল ইসলাম এর ব্যাপারে টাঙ্গাইলের হোমিও ডাক্তার আওলাদ হোসেন, ডা. মোঃ বাবুল হোসেন, ডা. মজনু মিয়া সহ আরো কয়েকজনের সাথে কথা বললে তারা জানায়, ওর বিষয় নিয়ে কি আর বলব, মানব সেবার নামে নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রচারনাই বেশী চালায়। ঔষুধের ব্যবসায় নিজেকে অনেক চালাক মনে করে। বর্তমানে হোমিও ঔষুধ কিনতে দাম অনেক বেশী পড়ে যায়। আর ও কিভাবে বিনামূল্যে চিকিৎসার নামে লোক ঠকায় আমরা বুঝতে পারিনা। আর ওর টাকার উৎস কোথায় সেটাও সকলের খুঁজে দেখা উচিত।
মানবাধিকার সংগঠন থেকে বহিস্কারের ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন টাঙ্গাইল পৌর কমিটির সভাপতি মোঃ রাশেদ খান মেনন, সাধারন সম্পাদক মোঃ সোহানুর রহমান শাহীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোমিনুর রহমান মোমিন ও প্রচার সম্পাদক তনয় কুমার বিশ্বাস সাক্ষরিত এক চিঠির মাধ্যমে জানা যায়, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন অসহায় নির্যাতিত নিপীড়িত মানুষের কল্যানে ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে। কিন্তু হোমিও ডা. জহিরুল ইসলাম টাঙ্গাইল পৌর শাখার সহ-সভাপতি পদে থাকা অবস্থায় সাংগঠনিক বিভিন্ন কর্মকান্ডে দীর্ঘদিন যাবৎ অনুপস্থিত থাকা, কেন্দ্রীয় মহাসচিব সম্পর্কে কটুক্তি করা, সংগঠনের বিভিন্ন সিদ্ধান্ত অমান্য করে পদবী ব্যবহার করে বিভিন্ন অনৈতিক কাজে লিপ্ত থাকার অভিযোগে তাকে বহিস্কার করা হয়। এছাড়া বিনামূল্যে টিকা খাওয়ানোর নামে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচার প্রসারের জন্য মানবাধিকার সংগঠনকে সাইনবোর্ড হিসেবে ব্যবহার করছে। এই বিষয়গুলো হতে বিরত থাকার জন্য ইতিপূর্বে তাকে বিভিন্ন সময়ে সাবধান করা সত্বেও কোন প্রকার কর্ণপাত করেনি। সংগঠনে গ্রুপিং তৈরী করে সংগঠনের ক্ষতি সাধনের চেষ্টা করেছেন। বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সুনাম অক্ষুন্ন রাখার লক্ষ্যে বিষয়টি জেলা কমিটিকে অবগত করনের মাধ্যমে পৌর শাখার ১০ মে জরুরী সভায় উপস্থিত সকলের সিদ্ধান্ত মোতাবেক তাকে পৌর কমিটির সহ-সভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। সেইসাথে ১০দিনের মধ্যে তার কাছে সংরক্ষিত সংগঠনের কাগজপত্র ও আইডি কার্ড জেলা শাখা অফিসে জমা দেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়।