ঢাকামুখী বাস চলাচল বন্ধের অভিযোগ
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
এছাড়া ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-আরিচা, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা-মাওয়া পথে গাড়ি চলাচল প্রায় বন্ধ রয়েছে। বিএনপির অভিযোগ, ঢাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে যাতে নেতাকর্মীরা আসতে না পারেন, তার জন্যই যানবাহন বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
তবে এ ব্যাপারে পুলিশ বা বাস মালিক সমিতির কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শামিম আল মামুন নামে এক যাত্রী জানান, টাঙ্গাইল থেকে ঢাকা আসার পথে কালিয়াকুর হাইটেক পার্কের কাছে এসে পুলিশের চেকের মুখে পরেন এবং দেখতে পান শতশত যানবাহন আটকা পরে আছেন, তাই উপায় না দেখে হাটতে থাকেন।
বিভিন্ন সূত্রে জানাযায়, মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া ঘাট এলাকার বাসস্ট্যান্ড থেকে আজ সব ধরনের বাস চলাচল বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কোনো ধরনের ঘোষণা ছাড়াই বাস চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় বিপাকে পড়েন যাত্রীরা।
সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা সড়কে বাস সার্ভিস বন্ধ রয়েছে। ফলে যাত্রী সাধারণের চলাচলেও সৃষ্টি হয়েছে অচল অবস্থা। দুর্ভোগের মুখে পড়েছেন হাজার হাজার যাত্রী।
ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে বিভিন্ন পয়েন্টে যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা করতে গেছে।
মুন্সীগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান রতন সকালে সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কারণেই মালিক সমিতির লোকজন বাস বন্ধ করে দিয়েছে, যাতে দলীয় নেতাকর্মীরা ঢাকায় যেতে না পারেন। আওয়ামী লীগ মুখে গণতন্ত্রের কথা বলে, কিন্তু তারা তার চর্চা করে না। এ ধরনের ঘটনা নিন্দাজনক।’
রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানাগেছে সেখানেও সকাল থেকে কোনো দূরপাল্লার গাড়ি ঢুকছে না। তবে গাড়ি ছেড়ে যাচ্ছে।
বিএনপি নেতাদের অভিযোগ, রাতে রাজধানীর বিভিন্ন হোটেলে তল্লাশি চালানো হয়েছে। গতরাতে পিরোজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি গাজী বাবুলকে দিলু রোডের বাসা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
সকাল থেকেই রাজধানীতেও গণপরিবহন কমে গেছে। পুলিশি টহল চলছে। গত দুই রাতে মহানগরে বিএনপির দুই ডজনেরও বেশি নেতার বাসায় তল্লাশি চালানো হয়েছে। গ্রেফতার করা হয়েছে শতাধিক নেতাকে।
জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে আজ দুপুরে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সমাবেশে যোগ দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখবেন। তিনি তার বক্তব্যে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে ফের আলোচনার আহবান জানাবেন।
গত দুই বছর ধরে বড় কোনো সমাবেশের অনুমতি পাচ্ছিল না বিএনপি। ১৯ মাস পরে রাজনৈতিক কোনো সমাবেশে আসছেন বিএনপি প্রধান। আর এর ফলে সমাবেশে বিপুল সমাগম ঘটানোর প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। ঢাকা ও এর পাশের জেলাগুলো থেকেও নেতা-কর্মীরা এ সমাবেশে যোগ দেবেন। বিএনপি নেতারা বলছেন, শত বাধা উপেক্ষা করে আজকের এ সমাবেশে জনতার ঢল নামবে।
২৩ শর্তে সমাবেশের অনুমতি
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে চেয়ে চিঠি দেওয়ার ছয় দিন পর বিএনপিকে ২৩টি শর্তে অনুমতি দিয়েছে পুলিশ।
সমাবেশের আগের দিন শনিবার নয়া পল্টনে দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ঢাকা মহানগর পুলিশের অনুমতি পাওয়ার কথা জানান।
৭ নভেম্বর উপলক্ষে রোববার বিকালে ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশ করতে যাচ্ছে বিএনপি। এতে দলটির নেত্রী খালেদা জিয়ার বক্তৃতা দেওয়ার কথা। অনুমতি দিতে পুলিশের কালক্ষেপণে সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে আসছিল বিএনপি।
তার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের শনিবার সকালেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপির সমাবেশ শান্তিপূর্ণ হলে সরকার সহযোগিতা করবে। কোনো ধরনের বিশৃঙ্খল পরিবেশ সৃষ্টি করলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।