তোমার আমার ঠিকানা চিরস্থায়ী চির চেনা
তোমার আমার ঠিকানা চিরস্থায়ী চির চেনা
-ডাঃ আওলাদ হোসেন
(লেখায় লেখা টানে, একটি অপরটির সন্ধান দেয়। লেখা শেষ দিয়েছি। সত্যের সন্ধান ও চিকিৎসা বিজ্ঞানের সঙ্গে জাতি, ধর্ম ও স্বাধীকার ছিল বাংলা সাহিত্যে বলিষ্ঠ পদচারণা এবং আলকোরআনের আয়াত ব্যাতিক্রমী কলামে বিপথগামীরা ঢাকা পড়েছে। ৭০/৭৫ বৎসরে বৃটিশ রাজ্যে বৃদ্ধ গণতন্ত্রের জয় হোক।)
আল্লাহ আকাশের ঐ পাড়ে আছেন। আমরা বিশ্বাস করি এবং মানি। তাহলে ধর্ম রাজ্য হলো না কেন? আল্লাহর রাজত্ব কায়েম হলো না কেন? মুসলমানরা পৃথিবী জোড়া রাজত্ব করার পরও নিজেদের প্রতিপত্তি ধরে রাখতে পারলো না কেন? আজও মসজিদে জুমআ বারে স্থান সংকুলান হয় না, রাস্তায় ছালা বা চট বিছিয়ে নামাজ পড়তে হয়। অবশ্য বাইরে যারা নিয়মিত উপস্থিত হন তাদের কথা আলাদা কেন না জুমআর দিন আগবেলায় নামাজ পড়া ছাড়া অন্য কোন কাজ করা যায়েজ নেই। অবশ্য ইমারজেন্সী কাজ এর আওতা বহির্ভূত। এটাকেই বলা হয় ফেরকা, একেক জন একেক মত দিবেন এবং পন্ডিত ব্যক্তিদের নামেই মাজহাব বা দল বা প্রতিবাদী দল ছাড়িয়ে যাবে। হুকুম আল্লাহর মৃত্যু পথযাত্রির সেবা দেয়ার জন্য ছাড়তো দিতেই হবে তার জন্য মাথাব্যথার মাথাই কেটে ফেলতে হবে তাতো হতে পারে না। তাহলে মানুষ ধর্মাশ্রয়ী হয় না কেন? যাত্রা গানের প্যান্ডেলের পাশে ধর্মসভার ব্যবস্থা করা হলে আর নামকরা নর্তকীদের অর্ধউলঙ্গ ড্যান্সের ব্যবস্থা যদি করা হয় তাহলে আর যায় কোথায় চিন্তা করে কোন কুল পাওয়া যাবে না। এক কালে রূপবান যাত্রার কদর ছিল। এখন আকাশ সংস্কৃতি। অবশ্য এর মধ্যেই ভাল-মন্দের পার্থক্য গড়ে উঠবে। পৃথি উপযোগী করে মানুষ বানানো হয়েছে এবং মানুষের উপযোগী করে পৃথিবী বানানো হয়েছে। সবই একটা নিয়মের মধ্য দিয়ে চলছে। টাঙ্গাইলের মানুষ বাসাইল আর কালিহাতীর মাছ খেয়ে জীবন ধারন করে, যমুনা নদীরতো কথাই নেই। গাড়ী দিয়ে বাঘাইর মাছ আনা হয়। ফারাক্কা বাঁধের কারণে নদীতে পানি না থাকার কারণে মানুষ এখন ফার্মের মাছ-মাংস বৃটিশ আমলের চেয়ে বেশি পেয়ে থাকে তবে স্বাদ কম। কিন্তু পাওয়া যায়। সালু ভাই দাপুটে ছাত্র নেতা ভাসানীর শিষ্য ফারাক্কা আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত। ফারাক্কাকে আমরা হয়তো ভুলেই গেছি সেই সাথে যত নদী ছিল তারও প্রয়োজন হয়তো ফুরিয়ে গেছে। স্রষ্টা মানুষকে জ্ঞান বুদ্ধি দিয়েছে অন্যথায় মাছ বলতে কিছু পাওয়া যেত না। কিভাবে পৃথিবী সৃষ্টি হলো আর কিভাবে মানুষ সৃষ্টি হলো যুগ যুগ ধরে চলে আসছে কিন্তু কোন কিছুই জানা সম্ভব হচ্ছে না। তবে বুঝা যায় স্রষ্টা মানুষের জন্য এমন একটি স্থান নির্বাচন করে দিয়েছেন যা বস্তবাদের উপর নির্ভরশীল এবং স্রষ্টাকে দৃশ্যমান হওয়ার অযোগ্য অস্থান। কিন্তু আমরা মাটির পৃথিবীতে অবস্থান করেও নূরে ঝলসিত স্থানকে দেখতে চাই একটি অপরটির সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থিত, একটি দিন অপরটি রাত্রি, একটি নূরের দরিয়া অপরটি পানির মহাসাগর। একটি অদৃশ্য জগত, অপরটি দৃশ্যমান। সবচেয়ে কঠিন প্রশ্ন একটি এসেছে অপরটি আসবে, কিভাবে, কখন ইত্যাদি প্রশ্ন থেকেই যাবে। বিশ্বাস কর বা না কর, কুল আমিনু বিহি আও লা-তুমিনু। কেমন করে এখানে এলাম মানুষ নিজের সৃষ্টি যদি বুঝতে পারতো তাহলে ভালই হতো কিন্তু দেহ দেখা যায় কিন্তু আত্মা দেখা যায় না আমরা স্বীকার করি বা না করি বাস্তব বড় কঠিন ও নির্মম। এখানে সবই চলে, সবই হয় তাহলে মানুষ কি বুঝে না কি অস্বীকার করবে? এখানে বড় ছোটকে শাসন করে, শোষন করে, গোত্র প্রধান যুগ যুগ ধরে রাজত্ব চালায়, শ্রেণী সংকট আর বর্ণ বৈষম্য চলতে থাকে নির্দিধায়,অবলীলায়। সাম্রাজ্যবাদ,আধিপত্যবাদ, সুযোগ সন্ধানী, নির্মম অত্যাচারী, শোষক অন্যায় অহংবাদী, মিথ্যা দাম্ভিকতা, কপট ভন্ড ভদ্রের খোলস পড়ে দিন রাত্রি মিথ্যার বেমাতি করে অতল তলে তলিয়ে যায় কোন অন্ধকারে মৃত্যু গহবরে তার কোন ঠিক ঠিকানা নেই। অধিকাংশই সত্য বলে না ভয় পায়, অথচ অত্যন্ত ধর্মপ্রাণ। তাহলে কি বুঝে না? সূরা ইয়াসীন, আর-রহমান, আনকাবুত,রুম,বনী ইসরায়েল, কাহফ, ইউসুফ,আল-কাসাস, দাহর, ত্বীন, ইখলাস সমস্ত সুরাই সাবলীল যুক্তিযুক্ত এবং পরকালের পূর্ণমাত্রায় জ্ঞান-বিজ্ঞানে ভরা যাকে অস্বীকার করার কোন ক্ষমতাই নাই। ভালটা বুঝি মন্দটা বুঝিনা, স্বার্থ বুঝি অপরেরটা বুঝিনা, তা হতে পারেনা। প্রতিটি কাজের পরিণতি শুন্যে ঘুরতে থাকে, কখন যে কাকে কিভাবে আঘাত করে আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষে জানা সম্ভব না, ভান ধরতে পারে কিন্তু সত্য তাকে সত্যিই আঘাত করে এ জন্মে না হলে পরকালে, পরের প্রজন্মে । অন্যায় রয়ে যায় মানুষ কবরে গেলেই যে শেষ তা হবে না। মৃত্যুর পর পুনরায় জীবিত করা হবে এবং অনন্ত জীবন শুরু হবে। এটাকে অস্বীকার করা মানুষের একমাত্র কাজ কারণ দুনিয়া সুখ ভোগের স্থান বিজ্ঞান তা মোহময় করে দিয়েছে। এখনই যে অবস্থা কয়েকশ অথবা কয়েক হাজার বৎসর পর যে কি হবে কল্পনাও করা যাচ্ছে না। মানুষ তখন আরও বিজ্ঞান নির্ভর হয়ে পড়বে। গতিশক্তি হয়তো হাতের মুঠোয় এসে যাবে আর যানবাহন হয়তো আকাশমুখি হয়ে যাবে আর এ জন্যে হয়তো আকাশকে এত বড় করে বানিয়েছেন। তবে কোটি কোটি মাইল অতিক্রম করেও যখন দেখবে যে কুল কিনারা পাওয়া যাচ্ছে না তখন কি হবে? আরম্ভ যখন হয়েছে শেষতো আছেই। অন্যান্য ক্ষেত্রের একই রুপ উন্নতি বা পরিবর্তন আশা করা যায়। স্বাস্থ্য শিক্ষা দীক্ষা ইত্যাদি চরম আকার ধারণ করবে। সবচেয়ে আগ্রহের ব্যাপার হবে গণতন্ত্র নিয়ে। ভোট দিতে কেন্দ্রে যেতে হবেই না বরং ক্যানভাসাররা পদোন্নতি পাওয়ার কারনে ভোট চাওয়া বা ভোট দেয়া কোন ব্যাপারই থাকবে না। যান্ত্রিক যুগে আর আকাশমুখি হওয়ার কারণে পৃথিবী নিয়ে কালক্ষেপন করা সম্ভব হবে না। সবাই শিক্ষিত ভদ্র মার্জিত হওয়ার কারণে ভোট চাওয়াটাকে অপমান অপদস্থ মনে করবে। গতিশক্তির কারনে যানজট, রোড এক্সিডেন্ট বলতে কিছু থাকবে না। গ্লোবাল ভিলেজ এক মুহুর্তের ব্যাপার, আকাশযানের কাছে বর্তমান যানবাহন গরুর গাড়ী , ঘোড়ার গাড়ী ইত্যাদিতে পরিনত হবে। আমাদের সময়কার মানুষদের অশিক্ষিত এবং গাড়ল হিসেবে আখ্যায়িত করবে। তবে অতিরিক্ত যান্ত্রিকতার কারনে মানুষ অলস ও দুর্বল হয়ে অল্পতেই জীবনের প্রতি বিতৃষ্ণা বা অনীহায় ডুবে যাবে কিনা সন্দেহ। অলসের কাহিনীটি মনে করিয়ে দেই- কত রবি জ্বলে, কেবা আঁখি মেলে- মায়ের মুখে শোনা ছোট্ট বেলার গল্প। আরও একটি গল্প কে কত কৃপন-একজন বাতাসা পানিতে চুবিয়ে সংগে সংগে ভাল করে মুছে রেখে দেয়, অপরজন বাতাসার ছায়া পানিতে ধরে রেখে পানি পান করে। এ সবই হাস্যরস কিন্তু বাস্তব বড় কঠিন। তবে আকাশচারী হোক অথবা পাতালপুরীর বাসিন্দাই হোক মৃত্যু তাকে পিছু ছাড়বে না। মানুষ আল্লাহকে ভুলে গেলেও তাঁর বানী মিথ্যা হবে না। মানুষ যেহেতু পৃথিবীতে অর্ধেক জীবনের সন্ধান পেল মৃত্যুর পর অপর অর্ধেকের সন্ধান পাবে Complete the circle এটাইতো স্বাভাবিক বিজ্ঞান সম্মত। অর্থাৎ কোথা হতে এসেছিলাম, কোথায় গেলাম স্রষ্টার সম্পূর্ণ রহস্য উদঘাটিত হবে যা চূড়ান্ত সাফল্য ও আনন্দময়। মানুষ ভোগবাদী হয়েই সত্যকে তিক্ত জ্ঞানে বর্জন করে। কঠিন সাধনার পরিবর্তে ক্ষণিকের সুখে বিপথগামী হয়ে আছে।
এবারে কিছু আয়াত উল্লেখ করছিঃ
১। সূরা ইয়াসীন- মৃত মানুষকে জীবিত করবো। মানুষকে শুক্রবিন্দু থেকে সৃষ্টি করেছি। কোন কিছু সৃষ্টির ইচ্ছে করলেই কুন-ফাইয়াকুন বললেই হয়ে যায়।
২। আর-রহমান- মানুষকে সৃষ্টি করেছি। কথা বলা শিখিয়েছি। চন্দ্র সূর্য নির্দিষ্ট নিয়মে চলছে। আল্লাহর কোন নেয়ামতকে অস্বীকার করবে। জগতের সবকিছু ধ্বংস হয়ে যাবে শুধু অবশিষ্ট থাকবে তোমার রবের অস্বিত্ব জুলজালালে ওয়াল একরাম।
৩। সূরা ইউসুফ-এর কাহিনী যখন জানতে চাইলো তখন তা জানিয়ে দেয়া হলো। ইউসুফকে হত্যার চেষ্টা করা হলো। পরে আশ্রয় পেলেন প্রতাপশালী একজনের গৃহে। গৃহের মালিক স্ত্রী ইউসুফের দিকে অগ্রসর হলে আল্লাহর সাহায্যে রক্ষা পান। পরে কর্তৃত্ব পেয়ে ভাইদের সাহায্য করেন ও পিতার সংগে মিলিত হন।
৪। সূরা কাসাস- মূসা আল্লাহর নবী। ফেরাউন এক অত্যাচারী শাসক। মুসা যৌবনে আওমের কাছে তোয়া উপতক্যায় গেলেন। আল্লাহর সংগে কথাবার্তা হলো। অলৌকিক শক্তি সম্পন্ন হয়ে ফেরাউনকে হেদায়েত করতে গে্েলন। ফেরাউন অস্বীকার করলো এবং দরিয়ায় ডুবে মারা গেল। মুসা নবীর কাহিনী অনেকভাবে আল কুরআনে এসেছে।
৫। সুরা কাহফ- গুহাবাসী যুবকদের কাহিনী জানতে চাওয়া হয়েছিল। সত্য ঘটনা জানানো হলো। জ্ঞানী লোকের সংগে মুসা নবী ৩টি ক্ষেত্রে জ্ঞান অর্জন করলেন। এ সব কাহিনী পড়ে শেষ করা যাবে না । তবে আল্লাহ ধৈর্য ধারনের যে উদাহরন দিয়েছেন তা উল্লেখ করার মত । সুরা ইয়াসীনে বলা হয়েছে তাদের কথায় ব্যথিত হবেন না তারা যা বলে বা করে তা আমি জ্ঞাত আছি।
৬। আমি নানাভাবে এ কোরআনে মানুষের জন্য বিভিন্ন উপমা বর্ণনা করেছি; কিন্তু অধিকাংশ মানুষই কুফরী ছাড়া অন্য কিছু স্বীকার করেনি।আর তারা বলেঃ আমরা কখনও আপনার প্রতি ঈমান আনব না যতক্ষণ পর্যন্ত না আপনি জমিন থেকে আমাদের জন্য একটি ঝর্না প্রবাহিত করেন। অথবা আপনার জন্য খেজুরের ও আঙ্গুরের একটি বাগান হবে এবং আপনি সে বাগানের মধ্যে বহু নহর প্রবাহিত করে দেবেন। অথবা আপনি যেমন বলে থাকেন, সে অনুযায়ী আমাদের উপর আসমানকে খন্ড-বিখন্ড করে ফেলে দেবেন কিংবা আল্লাহ ও ফেরেশতাদেরকে আমাদের সামনে নিয়ে আসবেন। অথবা আপনার জন্য সোনার তৈরি কোন ঘর হবে, অথবা আপনি আসমানে আরোহণ করবেন, কিন্তু আমরা আপনার আসমানে আরোহণ করাকে কখনও বিশ্বাস করব না, যে পর্যন্ত না আপনি আমাদের প্রতি এক কিতাব নাযিল করেন যা আমরা পাঠ করব। আপনি বলে দিনঃ পবিত্র মহান আমার রব! আমি তো একজন মানুষ, একজন রাসূল ছাড়া আর কিছু নই (বনি ইসরাইল)।
৭। বলুনঃ হে আল্লহ! তুমিই মালিক সার্বভৌম শক্তির । তুমি যাকে ইচ্ছে রাজ্য দান কর এবং যার কাছ থেকে ইচ্ছে তুমি সম্মানিত কর এবং যাকে ইচ্ছে অপমানিত কর। সকল কল্যাণ তোমারই হাতে । নিশ্চয় তুমি সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান। তুমিই প্রবেশ করাও রাতকে দিনের ভেতরে এবং দিনকে রাতের ভেতরে। তুমিই জীবিতকে মৃতের ভেতর থেকে বের করে আন, আবার মৃতকে জীবিতের ভেতর থেকে বের কর। যাকে চাও তুমি অপরিমিত রিযিক দান কর (কুলিল্লাহুম্মা)।
৮। আল্লহ, তিনি ছাড়া কোন উপাস্য নেই। তিনি চিরঞ্জীব,সব কিছুর ধারক। তাঁকে স্পর্শ করতে পারে না তন্দ্রা আর না নিদ্রা। আসমান ও জমিনে যা কিছু আছে তা সবই তাঁর। এমন কে আছে,যে তার কাছে সুপারিশ করবে তাঁর অনুমতি ছাড়া? তাদের সামনে ও পেছনে যা কিছু রয়েছে তা সবই তিনি জানেন। যা তিনি ইচ্ছে করেন তাছাড়া তাঁর জ্ঞানসীমা থেকে তারা কোন কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না। তাঁর সিংহাসন আসমান ও জমিনকে পরিবেষ্টিত করে আছে। আর এদের রক্ষণাবেক্ষণ তাঁকে ক্লান্ত -শ্রান্ত করে না। তিনি মহান, শ্রেষ্ঠ (আয়াতুল কুরসী)।
৯। আলিফ-লাম-মীম,রোমকরা পরাজিত হয়েছে, এক নিকটবর্তী স্থানে এবং তারা তাদের এ পরাজয়ের পর অতিসত্বর জয়লাভ করবে। তিন থেকে নয় বছরের মধ্যে। পূর্বের ও পরের ফয়সালা আল্লাহর-ই। আর সেদিন মু’মিনরা আনন্দিত হবে। আল্লহর সাহায্যে। তিনি যাকে ইচ্ছে সাহায্য করেন এবং তিনি পরাক্রমশালী,পরম দয়ালু। (সূরা রূম)
১০। আপনি বলুনঃ তিনি আল্লহ এক,অদ্বিতীয়, আল্লহ অভাবশূন্য; অমুখাপেক্ষী; তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি। আর কেউই তাঁর সমতুল্য নেই। (সূরা ইখলাছ)।
তাহলে বুঝা গেল আমাদের প্রকৃত ঠিকানা পদ্মা, মেঘনা যমুনার উপরে অবস্থিত নীল আকাশ হাতছানি দেয় আরও অনেক দূরের আকাশে বিরাজিত সহস্র উপাদানের প্রকৃত ভান্ডার পাহাড় পর্বত ঘেরা স্বর্ণ, রৌপ্য, হিরা, জহরত, চুনি, পান্না, মনি মানিক্কের উজ্জ্বল আভায় ঝলসিত রূপ লাবন্যের বাসভূমি যার ১০০ ভাগের এক ভাগও পৃথিবীতে দেয়া হয়নি। বর্তমানই ভবিষ্যতের পথ নির্দেশক শুধু জ্ঞান নেই, অজ্ঞাত কল্পনার অভিব্যক্তি যা তোমার আমার ঠিকানা দেখার ভাগ্য এ জীবনে হল না।
প্রিয় পাঠক, যারা আল-কুরআন পড়তে পারেন না, যারা পড়তে ভয় পান, যারা আছাতিরুল আওয়ালিন মনে করেন, যারা জানতে আগ্রহী এই মহাগ্রন্থে কি লেখা আছে, যারা বাংলায় লেখা পড়তে ও রাজী না,যারা অকারনে না জেনে না বুঝে অদৃশ্য আল্লাহ সম্বন্ধে কোন ধারনাই করতে পারে না, যারা পূর্বেকার রীতি অনুসারে ঘরে বসে আরবি পড়তে রাজী না,যারা মৌলভীদের নিকট নিজেকে সঁপে দিয়েছেন এবং টাকা পয়সা খরচ করে ধর্মকে কিনতে চান ইত্যাদি, ইত্যাদি, তারা যাতে at a glance মহান সৃষ্টিকর্তা সম্বন্ধে সরাসরি সামান্য জ্ঞান লাভ করতে পারেন এবং নিজের ধর্ম নিজেই পালন করতে পারেন এবং সকল প্রকার ভয় ভীতি এবং কুসংস্কারের বিরুদ্ধে একটু জানার সুযোগ পান সেই জন্যেই এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা। সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিতদের প্রতি আগ্রহ ভরে লেখাটি যদি গ্রহনযোগ্য হয় তবেই দীর্ঘদিনের সাধনা স্বার্থক হবে বলে মনে করি। শক্তিধর আল্লাহ পাক সামান্য একটু জ্ঞান দিয়েছেন বলেই আমরা বুঝতেই পারি না তিনি কত শক্তিধর। মায়ের কোলে শিশু যেমন বুঝতেই পারে না তার অবস্থান কোথায়, কিভাবে গড়া। (অনুপ্রেরণার জন্য লাইক এবং শেয়ার করে আমাকে ধন্য করেছেন তাদের নিকট আমি কৃতজ্ঞ।)