দেবীগঞ্জে ৫ বছরের শিশু ধর্ষণের অভিযোগ
নাজমুস সাকিব মুন, পঞ্চগড় প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ফাইমা নামের পাঁচ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার সন্ধ্যায় উপজেলার পামুলী ইউনিয়নের হাকিমপুর দেন্দাপাড়া এলাকায় নিজ বাসায় শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। সে একই এলাকার ফরিদ আলীর মেয়ে।
ভিকটিমের নানী জাহানারা বেগম জানান, তার বাড়ির পাশেই মেয়ে মরিয়ম বেগমের শ্বশুর বাড়ি। গতকাল মরিয়ম শিশু মেয়েটিকে বাসায় একাই রেখে ফোন চার্জ দেয়ার জন্য তার মায়ের বাসায় যায়। এই সুযোগে অভিযুক্ত দুই জন বাসায় এসে শিশুটিকে বিস্কুট খাওয়ানো ও ৩০০ টাকা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। শিশুটি দরজা খোলার পর পরই অভিযুক্ত মিলন (১৬) ও আকাশ (১২) ওড়না দিয়ে শিশুটির মুখ বেঁধে ধর্ষণ করে। পরে শিশুটির মা ফিরে ঘরের মেঝেতে মেয়েকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। শিশুটির জ্ঞান ফিরলে মাকে পুরো বিষয়টি বলে।
অবস্থার আরো অবনতি হলে পরিবারের সদস্যরা শিশুটিকে আজ সকাল ৬টায় দেবীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অভিযুক্ত মিলন ও আকাশ একই এলাকার হোসেন আলী ও মমিনের ছেলে।
কর্তব্যরত আবাসিক মেডিকেল অফিসার আবু সায়েম জানান, প্রাথমিক ভাবে শিশুটির শরীরে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেছে। শিশুটির যৌনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন বেশ গুরুতর হলেও প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়ার পর রক্তপাত বন্ধ হয়েছে। শিশুর অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল রয়েছে।
পামুলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলে হায়দার প্রধান মুঠোফোনে জানান, ছেলে ও মেয়ের পক্ষ থেকে আমার কাছে এসেছিল। বয়স কম হওয়ায় উভয় পক্ষকে আমি সালিশের ব্যাপারে বলেছি। এমন একটা সংবেদনশীল ঘটনায় কিভাবে আপনি সালিশের পরামর্শ দেন প্রশ্ন করলে তিনি জানান, ছেলেটির বয়স যেহেতু কম তাই আইনে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হবে না। এজন্যই সালিশের পরামর্শ দিয়েছেন।পুলিশের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলা হলে তিনি জানান বাদী যদি অভিযোগ না দেয় তাহলে পুলিশ কিভাবে মামলা দায়ের করবে। অভিযুক্তের বয়স কম হওয়ায় আইনের মাধ্যমে তাদের জাতীয় কিশোর উন্নয়ন প্রতিষ্ঠানে প্রেরণ করা যেতে পারে বলা হলে ব্যস্ততার কথা বলে তিনি মুঠোফোনের সংযোগটি কেটে দেন।
এবিষয়ে দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ রবিউল হাসান জানান, আমরা শিশুটিকে হাসপাতালে দেখে এসেছি। দ্রুত শিশুটির ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হবে। এ বিষয়ে মামলার প্রস্তুতি চলছে।