পাবনা শহরের বাঁশবাজার থেকে টার্মিনাল ঝুকিপূর্ণ আতঙ্কের রাস্তা
পাবনা শহরের বাঁশবাজার থেকে টার্মিনাল ঝুকিপূর্ণ আতঙ্কের রাস্তা
নাগরিক দুর্ভোগ পর্ব-২
রনি ইমরান, পাবনা, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নেই অন্ধকার ঝলমলে দিনের আলো, চুরি ডাকাতি ছিনতাইয়ের ভয় নেই, তবুও প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আতঙ্ক নিয়ে চলাচল করে পাবনা শহরের বাঁশবাজার থেকে টার্মিনাল পর্যন্ত ঝুকিপূর্ণ সড়কটিতে। মোজাহিদ ক্লাবের এই রাস্তাটি এখন শহরে সবচেয়ে ভোগান্তির সড়ক বলে অনেকেই মনে করেন। চলাচলের অনুপযোগি এই সড়কটিতে রীতিমত ঘটছে দুর্ঘটনা। কখনও চলন্ত অটোবাইক যাত্রি নিয়ে উল্টে যায় তো কখনো অটোবাইকের ভেতরে থাকা ব্যাটারির পানি যাত্রির গায়ে পড়ে শরীর ঝলসে যায়। ক্ষত নিয়ে দিনের পর দিন হাসপাতালে কাটাতে হয় অনেকের। প্রায় প্রতিদিনই এ রাস্তায় ছোট বড় দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয় পথচারীদের। অটো চালক মহিদুল এর সাথে কথা হচ্ছিল মহিদুল জানায় এ রাস্তায় গাড়ী চালানো বন্ধ করে দিয়েছি। বিশেষ প্রয়োজনে যেতে হচ্ছে আজ। সরজমিনে দেখা যায় রাস্তায় ছোট খাটো গর্ত খালের রূপ নিয়েছে। রাস্তার পাশের পানি নিস্কাশনের ড্রেন ভর্তি পানি। অথচ রাস্তাটি যেন নিচুতে। একটু বৃষ্টি হলেই রাস্তায় খালখন্দ বোঝার উপায় নেই পুরাটাই সমান। একটু বৃষ্টি হলেই নদী বয়ে যায়। চলাচলকারীরা বুঝতে পারে না কোথায় উচু নিচু খাল খন্দ। এভাবেই চলতে চলতে গাড়ী উল্টে যায়। এলাকার ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. মুনকে মাঝে মধ্যেই এ রাস্তা সংস্কারের জন্য সরব ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়। নিজেই রাস্তায় নেমে ইট পেরে দেন। কমিশনার মুন বলেন রাস্তাটি চলাচলের একেবারেই অনুপযোগী। মাঝে মাঝেই হতাহতের ঘটনা ঘটে। চালকরা এই পথ চলার সময় গাড়ী থেকে নেমে সামনের রাস্তা পরীক্ষা করে পথ চলেন। কিন্তু যাদের ধারণা নেই তারা বৃষ্টির পানিতে খাল খন্দ না দেখে গাড়ী চালাতে গিয়ে দূর্ঘটনার স্বীকার হন। পাবনা সড়ক ও জনপথ এই রাস্তাটি সংস্কার সম্পর্কে পাবনা সওজ এর নির্বাহী প্রকৌশলী সমীরণ রায় এর কাছে জানতে চাইলে তিনি জানান আরেকটু ধর্য ধরতে হবে। আমরা এই রাস্তা সম্পর্কে অবগত আছি। তদারকি করছি। টেন্ডার কল করেছি। অতি দ্রুত রাস্তাটি মেরামত করা হবে।