পুত্রবধুর সাথে পরাকীয়ায় ছেলেকে খুন
মোঃ সবুজ সরকার সৌরভ, ঘাটাইল(টাঙ্গাইল)প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নিখোঁজের চার দিন পর গত ৩০ ডিসেম্বর টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার বগা পূর্বপাড়া গ্রামের বাঁশঝাড় থেকে হাবিবুল্লাহ্ নামে এক যুবকের চোখ উপড়ানো লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই দিনই তার বাবা আবু জাফর অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য ওসি মাকছুদুল আলমের নেতৃত্বে মাঠে নামে পুলিশ।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিহতের স্ত্রী ছাফুরাকে আটক করে পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে বেরিয়ে আসে আসল তথ্য। পরে সোমবার (৬ জানুয়ারি) আদালতে তাকে হাজির করা হলে তিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে তিনি জানান, শ্বশুরের সঙ্গে তার অবৈধ মেলামেশা দেখে ফেলায় স্বামী হাবিবুল্লাহকে হত্যা করা হয়।
পুলিশ জানায়, দশ-বারো দিন আগে এক দুপুরবেলা স্ত্রীর সঙ্গে বাবার অবৈধ মেলামেশার বিষয়টি দেখে ফেলেন হাবিবুল্লাহ। এ ঘটনার তিন দিন পর তিনি স্ত্রীকে নিয়ে শ্বশুরবাড়ি কালিহাতী উপজেলার বেলুটিয়া গ্রামে যান। কিছু দিন সেখানে থাকার পর স্ত্রীকে নিয়ে গত ২৬ ডিসেম্বর বিকেলে বাড়ি আসেন। বাড়ি আসার পরই বাবা জাফর ছেলেকে উপজেলার দেওজানা বাজারে তাদের কাপড়ের দোকানে যেতে বলেন। ওই দিন তিনি দোকানে না গিয়ে বসতঘরের পাশেই গোয়ালঘরে লুকিয়ে থাকেন। ওই রাতেও হাবিবুল্লাহ তার স্ত্রী ও বাবার মধ্যকার মেলামেশার বিষয়টি দেখে ফেলেন।
অন্যদিকে ছেলে দোকানে যায়নি বিষয়টি বুঝতে পারেন জাফর। ওই রাতেই হাবিবুল্লাহকে হত্যার পরিকল্পনা করে বাবা ও স্ত্রী। পরিকল্পনা মোতাবেক রাত ১১টার দিকে কয়েকজনের হাতে তারা হাবিবুল্লাহকে মেরে ফেলার জন্য তুলে দেয়। পরে ওই রাত থেকেই ছেলে নিখোঁজের নাটক সাজায় তার বাবা। ছাফুরার দেওয়া জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করে সোমবারই জাফরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।স্ত্রীর সঙ্গে বাবার অবৈধ সম্পর্ক হাবিবুল্লাহসহ পরিবারের সবাই জানতেন। কিন্তু কেউ কখনও মুখ খুলতে সাহস পেতেন না। ঘাটাইল থানার ওসি মো. মাকছুদুল আলম বলেন, নিহতের স্ত্রীর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিতে হত্যাকাণ্ডের রহস্য অনেকটাই উদ্ঘাটন হয়েছে।