টাঙ্গাইলের প্রতিটি উপজেলায় চলছে দূর্গা পূজা উদযাপনের ব্যাপক প্রস্ততি
মো. রাশেদ খান মেনন (রাসেল), টাঙ্গাইল, বিশেষ প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের দরজায় কড়া নাড়ছে শারদীয দুগোর্ৎসব। সারা দেশের মতো টাঙ্গাইলেও চলছে দূর্গা পুজা উদযাপনের ব্যাপক প্রস্ততি। প্রতিমা তৈরীতে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্ট শিল্পীরা। একই সাথে চলছে মন্ডব সাজসজ্জার কাজ। দুর্গা পূজা উপলক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে ব্যাপক নিরাপত্তামুলক ব্যবস্থা।
আগামী ৩ অক্টোবর পঞ্চমী পুজার মধ্যদিয়ে সারাদেশে শুরু হতে যাচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বিদের বৃহৎ ধর্মীয় উৎসব শারদীয দুর্গা পুজা। ৮ অক্টোবর বিজয়া দশমী ও প্রতিমা বিসর্জনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে এ উৎসব। সারাদেশের মতো টাঙ্গাইলেও ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হতে যাচ্ছে দুর্গা পুজা। জেলার ১২টি উপজেলায় এবার ১২ শতাধিক মন্ডপে শারদীয় দুর্গা পূজা অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা। দুর্গা পূজার প্রতিমা তৈরিতে ব্যস্তসময় পার করছেন শিল্পীরা। প্রতিদিন একটু একটু করে প্রতিমার অবয়ব ফুটিয়ে তুলছেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন মন্দিরে শিল্পীদের প্রতিমা তৈরির কাজ চলছে বিরতিহীনভাবে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবকিছু শেষ করতে শিল্পীরা কাজ করছেন ভোর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। ইতোমধ্যে সব মন্দিরে প্রতিমা তৈরির মূল উপাদান মাটি ও খড় দিয়ে তৈরি করা হয়ে গেছে প্রতিমার কাঠামো। এখন চলছে মন্দিরের প্রতিমায় রং তুলির আঁচড়। শিল্পীদের নিপুন হাতের ছোয়ায় পরিস্ফুটিত হচ্ছেন দেবী দুর্গা ও তার ছেলে-মেয়ে লক্ষী, স্বরস্বতী, গনেশ ও কার্তিক। প্রতিমা শিল্পীরা জানালেন, তারা একেকজন একাধিক প্রতিমা তৈরী করছেন। প্রতিমা বিক্রী করে তারা লক্ষাধিক টাকা আয় করছেন। লাভ-লোকসান যাই হোক বংশগত পেশার প্রতি সম্মান জানিয়েই তারা আনন্দের সাথে প্রতিমা তৈরী করে থাকেন।
প্রতিমা তৈরীর পাশাপাশী মন্ডবগুলোতে চলছে সাজসজ্জার কাজ। সবকিছু মিলিয়ে জেলার পূজা মন্ডপগুলোতে চলছে শারদীয় আমেজ। পুজার সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে নেয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। প্রতিটি পূজা মন্ডপে পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পুলিশের পাশাপাশি আনসার সদস্যরাও দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়াও মোবাইল টিম ও সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলার বাহিনীর সদস্যরা কাজ করবেন।’
“ধর্ম যার যার- উৎসব সবার” এই স্লোগানে প্রতি বছরের মতো এবারও শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হবে শারদীয় দুগোর্ৎসব, এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।