প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করে যা করলেন রফিক
স্পোর্টস ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মোহাম্মদ রফিক বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের কিংবদন্তী স্পিনার। বাংলাদেশ ক্রিকেটের জার্সিতে অনেক ইতিহাস লেখা আছে তার নামে। দলের প্রয়জনে কখনো ব্যাট করেছেন ওপেনিংয়ে আবার কখনো ব্যাট করেছেন ১১ নাম্বার ব্যাটসম্যান হিসাবে। তিনিই দেশের প্রথম ক্রিকেটার যিনি টেস্ট এবং ওয়ানডে ক্রিকেটে ১০০০+ রান এবং ১০০ উইকেট নিয়েছেন।
ছেলেবেলা থেকেই সংগ্রাম করে বেড়ে উঠা রফিকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শুরু বাংলাদেশ স্পোর্টিংয়ে ১৯৮৫ সালে একজন বাঁহাতি পেসার হিসেবে। ৮৮ তে যোগ দিলেন বাংলাদেশ বিমানে। কিন্তু পেসার হলেও বলকে টার্ন করানোর এক সহজাত প্রতীভা তার মাঝে ছিলো। যেই প্রতীভা দেখে তার তৎকালীন সতীর্থ ওয়াসিম হায়দার তাকে পরামর্শ দেন স্পিন করার। আর তখনই পাল্টে যায় রফিকের খেলার ধরণ। হয়ে যান পুরোদস্তুর স্পিনার।
১৯৯৫ সালে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্রিকেট দিয়ে অভিষেক হয় এই কিংবদন্তীর। তাছাড়া ১৯৯৭ সালে আইসিসি ট্রফি জেতার পিছনে অনেক গুরুপ্তপূন ভুমিকা ছিলো তার।প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া গাড়ি-বাড়ি বিক্রি করে গরিবদের অর্থ দান করলেন রফিক। ২০০৭ সালে ক্রিকেট বিদায় জানানো এই স্পিনার এখন অবহেলার শিকার। বর্তমানে তিনি কক্সবাজারে মাস্টার ক্রিকেট কার্নিভালে খেলছেন।
তবে বিসিবির অবহেলার শিকার হলেও নিজের থেকে ক্রিকেট একাডেমি গড়ার ইচ্ছা তার। তাছাড়া বোর্ড যদি সুয়োগ দেয় তাহলে জাতীয় দলের স্পিন কোচ হতে চান তিনি। বোর্ড থেকে অবহেলার শিকার মোহাম্মদ রফিক সাক্ষাৎকারে বলেন, “আমি সবসময়ই রাজি। আমাকে বোর্ড যখন যে লোক দিয়েই ফোন দেয় আমি কিন্তু এসে হাজির হই। আমি সব সমযই বোর্ডের ডাকার অপেক্ষায় বসে থাকি।
শেষ ২০১৬ সালে এইসপি দলের সাথে কাজ করেছেন তিনি। এখন বাংলাদেশ দলে নেই কনো স্পিন কোচ। দেশের মধ্যে এমন একজন স্পিনার থাকতেও বিসিবি চায় বিদেশি কোচ। তারপর রফিক আশায় থাকে বিসিবির একটি ফোনের জন্য, “ওরা আমাকে ডাকে না। ১০ দিন ১৫ দিনের জন্য কাজ করি এরপর আর আমার খোজ নেয় না।
আমি সব সময় বলেছি আমি অবসরের পরে বিসিবির সাথে কাজ করতে চাই। আমি তাদেরকে বলেছি আমাকে একটা একাডেমি বা মাঠ দেন আমি কাজ করি। এটা আমি আগের থেকে বলেছি। কিন্তু সত্যই কথা বলতে কি তারা কোন সাড়া দেয় না। আমি যতটুকু শিখেছি তত টুকু যদি কাউকে শেখাতে পারি তাহলেই আমার শান্তি।