প্রাইভেটকারে রনির ধর্ষণচেষ্টা
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় প্রাইভেটকারে ধর্ষণচেষ্টার সময় পথচারীদের প্রতিরোধের মুখে সন্দেহভাজন আটক মাহমুদুল হক রনি।
ঘটনায় ১৫ ঘণ্টা পর ভুক্তভোগী তরুণী থানায় গিয়ে মামলা দায়ের করেছে। এ ঘটনায় পুলিশের হেফাজতে থাকা অভিযুক্ত মাহমুদুল হক রনিকে গ্রেফতার দেখিয়েছে পুলিশ। আর যে তরুণীটিকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছিল তিনি গর্ভবতী বলে পুলিশকে জানিয়েছেন।
শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জি জি বিশ্বাস মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘বিকেলে দুই তরুণী থানায় আসেন, তাদের একজন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।’
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, শনিবার রাতে তারা (বাদী ও তার বান্ধবী) কলেজগেট এলাকায় মাহমুদুল হকের গাড়ি (ঢাকা মেট্রো-গ ২৯-৫৪১৪) থামিয়ে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেয়ার অনুরোধ করেন। কিছু দূর যাওয়ার পর এক তরুণীকে শিশুমেলা এলাকায় নামিয়ে দেয়া হয়। গাড়িতে থাকা আরেকজনকে ধর্ষণ করে রনি।
এদিকে প্রাথমিক তদন্ত ও টেস্ট করার পর রনির শরীরে মদ পানের নমুনা পাওয়া গেছে। স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য ওই তরুণীকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।ওসি বলেন, ‘বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
এদিকে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ধর্ষণের কথা অস্বীকার করে ওই দুই তরুণীকে ‘যৌনকর্মী’ হিসেবে উল্লেখ করেন রনি।
এর আগে শনিবার রাতে গাড়ি থেকে নামিয়ে রনিকে মারধর করার ভিডিওটি ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গণপিটুনির পর রনিকে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা। তার ব্যবহৃত ঢাকা মেট্রো-গ ২৯৫৪১৪ নম্বর গাড়িটি শেরেবাংলা নগর থানায় রয়েছে। তবে তার ড্রাইভার এখনো পলাতক রয়েছেন।
অভিযুক্ত রনির বাবা মৃত ফজলুল হক। গ্রামের বাড়ি গাজীপুরের কাপাসিয়া। ঢাকায় ধানমন্ডি-১৫ নম্বরের মিতালী রোডের একটি বাড়িতে থাকেন। পেশায় নিজেকে ব্যবসায়ী দাবি করেন তিনি। তার স্ত্রী ও দুইটি সন্তান রয়েছে।