খালেদা জিয়া ফিরছেন ৩ অক্টোবর
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
চিকিৎসা শেষে আগামী ৩ অক্টোবর দেশে ফিরছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। চোখ ও হাঁটুর চিকিৎসার জন্য তিনি গত ১৫ জুলাই থেকে তার জেষ্ঠ্য পুত্র তারেক রহমানের বাসভবনে অবস্থান করছেন তিনি। পরিবারকে সময় দেয়ার পাশাপাশি তারেক রহমানের সাথে সকল বিষয়ে পরামর্শ ও পরিকল্পনা করছেন বলে বিএনপির নেতাকর্মীরা মনে করছেন।
লন্ডন বিএনপি সূত্র জানায়, আগামী ৩ অক্টোবর লন্ডন স্থানীয় সময় বিকাল ৩টায় বিমানযোগে দেশে ফেরার যাবতীয় প্রস্ততি গ্রহণ করছেন খালেদা জিয়া। এর আগে তিনি তার হাঁটুর চিকিৎসার জন্য আরো এক দফা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হাসপাতালে যাবেন।
সূত্র জানায়, বেগম খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডন আশার পর থেকে সকল পর্যায়ের নেতাকর্মী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছেন। নিজের চিকিৎসা আর পরিবারকে সময় দেয়ার মধ্য দিয়েই তিনি দিনপাত করছেন। আর এই সময়ে মধ্যে কঠোর গোপনীয়তায় মা-ছেলের মধ্যে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হচ্ছে। যার মধ্যে আগামী একাদশ নির্বাচনে দলের কৌশল, মনোনয়ন প্রার্থীদের বিষয়ে প্রাথমিক আলোচনা, সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর কর্মকৌশলসহ আন্তর্জাতিক মহলে নিজেদের সম্পর্ক বৃদ্ধি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। যার প্রতিফলন খালেদা জিয়া দেশে ফিরলে দৃশ্যমান হবে
এদিকে লন্ডনে অবস্থানকালীন সময়ে যুক্তরাজ্য বিএনপির কোনো অনুষ্ঠানে খালেদা জিয়া উপস্থিত না থাকায় নেতাকর্মীদের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। তারা জানান, খালেদা জিয়া লন্ডনে অবস্থান করার পর থেকেই তার সাথে ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাথে নেতাকর্মীদের স্বাক্ষাতে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়। খালেদা জিয়া কাউকে না ডাকলে কেউ যেতে পারছেন না। ১৫ আগস্ট নিজের জন্মদিনসহ ইউরোপিয় ইউনিয়নভূক্ত দেশ সমুহের বিএনপির নেতৃবৃন্দের সাথে সৌজন্য স্বাক্ষাত, দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভা এমনকি কোরবানি ঈদের শূভেচ্ছা কর্মসূচিও বাতিল করেছেন তিনি। যুক্তরাজ্য বিএনপিসহ বাংলাদেশ থেকে যাওয়া দলের নেতৃবৃন্দের সাথেও দেখা করেননি তিনি।
এর কারণ হিসেবে কয়েকজন নেতা জানান, লন্ডন বিএনপির আভ্যন্তরীন নানা কোন্দল আর কাদা ছোড়াছুড়ির কারনে তিনি সকল ধরনের অনুষ্ঠান বর্জন করেছেন। এর মধ্যে যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আবদুস সালামকে কয়েকদিন আগে দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করেছেন।
নেতাকর্মীরা জানান, সালাম বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত কয়েকজন নেতার পক্ষাবলম্বন করে তাদের সাথে আতাত করে দলের বিরুদ্ধে নানা আলোচনায় সম্পৃক্ত থাকছেন। এর মধ্যে কয়েকমাস আগে দল থেকে বহিষ্কৃত যুক্তরাজ্য বিএনপির সাবেক সহ সভাপতি শেখ শামীম ও যুগ্ম সম্পাদক আবদুল করিমের সাথে ঘনিষ্ঠতা নিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে গুঞ্জন রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় যুক্তরাজ্য বিএনপির আরেক সহ সভাপতি আকতার হোসেনকে সম্প্রতি বহিষ্কার করা হয়েছে।