নওগাঁর নিয়ামতপুরে এক পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) এর দৃঢ়তায় বেঁচে গেল শিশু প্রশান্ত
ভূপাল চন্দ্র রায়, নওগাঁ জেলা প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
নওগাঁর নিয়ামতপুরে ট্রাক ও মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেনের দৃঢ়তায় বেঁচে গেল শিশু প্রশান্ত রবিদাস (১০)।
গতকাল শুক্রবার রাত ৮টার দিকে শিশু প্রশান্ত রবিদাস তার দোকান মালিকের সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে নিজ বাড়িতে যাচ্ছিল। উপজেলার সদর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া ও মাদারীপুরের মাঝখানে তালগাছ ও বোরোধানের খড় হাইওয়ে রাস্তার ধারে রাখার কারনে মোটরসাইকেল ও ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। প্রশান্ত রবিদাস উপজেলার সদর ইউনিয়নের ধর্মপুর গ্রামের সিমাই রবিদাসের ছেলে।
ঘটনাস্হলে উপস্হিত বিকাশের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন ট্রাক ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ হলে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। নুরুল ইসলাম ও প্রশান্ত রবিদাস ট্রাকের নিচে পড়ে চিৎকার করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি। সেখানে ৪ থেকে ৫শত মানুষ উপস্থিত ছিল। তিনি আরও বলেন প্রায় বিশ মিনিট পরে একজন মানুষ এসে সবাইকে বলে আপনারা দাঁড়িয়ে না থেকে সবাই মিলে ট্রাকে ধাক্কা দিলে তাদের বের করা সম্ভব হবে। তার কথা শুনে অনেকেই ধাক্কা দিলে তাদের বের করে তিনি ভ্যানে উঠিয়ে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
গ্রামবাসীর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে তাঁর পরিচয় পাওয়া যায় তিনি নিয়ামতপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেন।
উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা হয় তিনি বলেন, আমি সেই সময় থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার রুমে ছিলাম। উপজেলার চান্দইল গ্রামের ব্যবসায়ী মাসুদ ইকবাল এসে থানায় খবর দেয় যে, ডাঙ্গাপাড়া গ্রামের পাশে ট্রাক মোটরসাইকেল সংঘর্ষ হয়েছে। ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিষয়টি আমাকে দেখতে বলেন।আমি সঙ্গে সঙ্গে মোটরসাইকেল যোগে সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়। সেখানে গিয়ে আমি তো অবাক দুইটা মানুষ ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে আছে অথচ সবাই চুপ। কেউ এগিয়ে আসে না। আমি সকলকে ট্রাক সরানোর জন্য হাত লাগাতে বলি। ট্রাক সরিয়ে দুজনকে বের করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসি। আসার পরে নুরুল ইসলাম মারা গেলে শিশু প্রশান্ত রবিদাসকে সঠিক সময়ে রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো সম্ভব হয়েছে।
দায়িত্বরত চিকিৎসক ডাঃ প্রনব কুমার সাহা বলেন, সঠিক সময়ে নিয়ে আসাতে শিশু প্রশান্ত রবিদাসকে যথাসময়ে রাজশাহী মেডিকেল স্থানান্তর করা সম্ভব হয়েছে।