যৌন অপরাধ-নিয়ন্ত্রনে কতিপয় সুপারিশ
যৌন অপরাধ-নিয়ন্ত্রনে কতিপয় সুপারিশ
রণেশ মৈত্র
প্রিয় বাংলাদেশটা আজ কোথায় চলেছে? কোন গন্তব্যে? জানা কি আছে আমাদের কোন নিশানায় আমরা পথ চলছি? না কি গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসিয়ে দিয়ে মহাশূণ্যে তাকিয়ে তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি?
বাংলাদেশটাকে সম্ভবত: আমরা দেখছি না – দেখতে চাইছিও না হয়তো বা। চাইতাম যদি চুপ করে বসে আছি কেন সবাই ঘরে অমানিশাকে ওয়াক ওভার দিয়ে?
বাংলাদেশের মাঠে ময়দতানে, পাড়ায়-মহল্লায়, নগরে-বন্দরে তাকালে কোথাও কি আমরা সমাজ-চেতনায় দেশ-চেতনায় জাগ্রত নতুন প্রজন্মের তারুণ্যকে দেখি? তার অস্তিত্বের ন্যূনতম সন্ধান পাই? আজকের তরুণ-তরুণীরা কি উপলব্ধি করতে পারছে যে দেশের বিদ্যমান পরিস্থিতিকে আমূল বদলে দিতে না পারলে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে তারাই? ঐ যে ঘোর অমানিশার কথা হঠাৎ বলে ফেলা তা কিন্তু তাদেরকে ইতোমধ্যেই অনেকাংশে গ্রাস করে ফেলেছে এবং তা ঐ তারুণ্যের নিশ্চুপতার কারণেই। ধর্ষনেই মাহামারীতে দেশের যুবসমাজের একটি অংশ মারাত্মকভাবে আক্রান্ত উপেক্ষার অবকাশ নেই।একটু চোখ মেলে তাকালেই চোখে পড়ে ধর্ষণের বেপরোয়া রূপ। কোথায় ঘটছে না ধর্ষণ? দেশের সংবাদপত্রের পাতা উল্টালেই প্রতিদিনই তা পাঠক-পাঠিকাদের নজরে আসে। শুধু সংবাপত্র নয় টেলিভিশনের পর্দাতেও। এ যেন এক মহামারীর আবির্ভাব।
দেখছি সহপাঠিনীকে ধর্ষণ, প্রতিবেশী তরুণীকে ধর্ষণ, নিকট আত্মীয়াকে ধর্ষণ, বাস যাত্রী তরুণীকে ধর্ষণ এবং এমনতরো আরও অনেক- অনেক। যৌন লালসার শেষ নেই যেন। সীমা নেই যেন।
আর ধর্ষক কারা? কখনও বা শিক্ষক রুপে-কখনও বা সহপাঠি রুপে-কখনও বা সহকর্মী রুপে, কখনও বা অফিসের বস রুপে আবার কখনও বা ধর্ম প্রচারক- বা ডাক্তার রুপে। মহামারী নয়তো কি বলবো একে?
শেষ বিচারে নিশ্চিতই বলা যায় ধর্ষকেরা কুৎসিত প্ররবনতায় ভোগী তরুনেরা। আর ধর্ষিতা অসহায় দরিদ্র, সমাজে প্রভাব বর্জিত তরুণীরা। এদের মধ্যে যারা পরিচিত তরুণদেরকে সরল বিশ্বাসে নিয়ে তাদের আমন্ত্রনে কোথাও (হোটেলে, বাসায় বা রেষ্ট হাউসে) কোন অনুষ্ঠানের আমন্ত্রন পেয়ে উপস্থিত হয় সেখানে সেই সরল বিশ্বাসে লাথি মেরে তথাকথিত ঐ পরিচিত বা বন্ধুজন নিজে ও সঙ্গী সাথী সহ হুমকি ও অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ ও গণধর্ষণ করে যখন পৈশাচিক উল্লাসে মেতে ওঠে বাঙালির সহস্র বর্ষের লালিত সংস্কৃতি ও তার রুচিবোধ তখ চলে যেতে বাধ্য হয় পর্দার অন্তরালে।
শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রীর যৌন নির্য্যাতন প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে সুরু করে মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং বিশ্ববিদ্যালয় পর্য্যন্ত বিস্তার ঘটাতে সক্ষম হয়েছে। এমনকি, শিক্ষক কর্তৃক তাঁর সহ-কর্মী শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি অভিযোগ ও আজ গণমাধ্যমগুলিতে লজ্জার সাথে হলেও স্থান করে নিয়েছে।
অফিস আদালতেও ঘটে চলেছে এর ক্রম প্রসার যার ব্যাপকতা আজও সংকিত বোধ করি এই ভেবে যে হয়তো বা আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তেমন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হবে আমাদের।
ঘটনাবলী যেন সংখ্যা গণনার অতীত হতে চলেছে। ফলে আমরা, আমাদের বাঙালী সমাজটা, বাঙালী সংস্কৃতিটা, বাঙালির দীর্ঘ লালিত সভ্যতাটা, সবার প্রিয় বাংলাদেশটা-রবীন্দ্রনাথ নজরুল সুকান্ত শামসুর রহমানের ঐতিহ্যের উত্তরাধিকার এই নতুন প্রজন্ম আজ কোন অন্ধকারের অতলে ডুবতে বসেছে-তা ভাবলে আঁতকে না উঠে পারা যায় না।
আমরা তো ভারতবর্ষ, অষ্ট্রেয়িা, রাশিয়া, বুলগেরিয়া, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর সহ নানা দেশ ঘোরার এবং সাধ্যমত ঘোরার সুযোগ হয়েছে বিভিন্ন সময়ে। ছোটখাট দু’চারটে ধর্ষনের ঘটনা যে চোখে পড়ে নি বা জানতে পারি নি তা নয় – তবে বেশীর ভাগ যা চোখে পড়েছে তা হলো তরুণ-তরুণীরা দিব্যি এক সঙ্গে হাঁটছে, বেড়াচ্ছে, ঘুরছে, অফিস-আদালতে মিলে মিশে কাজ করছে, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, পড়াচ্ছে কিন্তু কোন কুমতলব নিয়ে কেউ কারও দিকে তাকাচ্ছেও না। দুর্ঘটনা বা যৌন নিপীড়ন তো দূরের কথা।
এমন কি অষ্ট্রেলিয়ায় এবং অন্যান্য উন্নত দেশে দিব্যি মেয়েরা ফুলপ্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরে তাদের গ্রীষ্মকালে দিব্যি সর্বত্র যাতায়াত করলেও কেউ তাদের দিকে কোন অস্বাভাবিক চাহনি বা ইংগিত করতে কোথাও দেখি নি। সবাই একে স্বাভাবিক বলে গ্রহন করেছে-গ্রহণ করেছেন তরুণীদের অভিভাবকমন্ডলীও।
তেঁতুল হুজুররা যদি ওটা দেখতেন হয়তো তাঁদের নিজেদের জিভ দিয়ে লালা ঝরতো কিন্তু ঐ দেশগুলির লাখো লাখো কোটি কোটি মানুষের মনে অমন পোষাকে মেয়েদের দেখে বিন্দুমাত্র কুমতলবের উদয় ঘটে না। শাড়ী দিয়ে সারা দেহ ডেকে রেখে গরমে অস্থির হওয়া বা পুরুষের নজর এড়ানোর জন্য হেজাব, বোরকা প্রভৃতির কথা তারা কল্পনাতেও আনতে পারে না।
আমাদের দেশের এই চিত্র কিন্তু অতীতে তেমন একটা ঘটতো না। পঞ্চাশ, ষাট ও সত্তরের দশকে দেখেছি ছাত্র ও রাজনৈতিক আন্দোলনে দিব্যি ছেলে-মেয়েরা একত্রে দিবা-রাত নানা জেলায় ঘুরে সংগঠন গড়েছে, ছাত্র-যুব-রাজনৈতিক আন্দোলন গড়ে তুলেছে যার উল্লেখযোগ্য ও গৌরবোজ্জ্বল ফসল হলো ঐতিহাসিক রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধ। কৈ, তখন তো ছেলেমেয়েরা একত্রে যখন রাত জেগে ট্রেনে, ষ্টীমারেতে বা লঞ্চে জেলার থেকে জেলান্তরে ছুটে বেরিয়েছে তখন তো কৈ, একটিও এমন কুৎসিত ঘটনা কোথাও ঘটতে দেখি নি?
ঐযুগে যখন ছেলেমেয়েরা একযোগে গান গেয়েছে, নেচেছে, নাটক করেছে-তখনও তো এমন কোন ঘটনা ঘটেনি।
তবে স্বভাবত:ই প্রশ্ন জাগে, আজ কেন এমন হচ্ছে? আমি কোন সমাজ বিজ্ঞানী নই তাই আমার জবাব বিজ্ঞান সম্মত হবে কি না জানি না। তবে প্রচলিত ধারণাগুলি -যা আমাদের দেশের সর্বত্র আলোচিত হয়-তা যে ঠিক না আমার দীর্ঘ প্রমাণ করে। আলোচিত হয় মেয়েদের পড়াশুনা করা উচিত কিনা, চাকুরী করা উচিত কি না, সাইকেল, কার প্রভৃতি চালানো ঠিক কি না, তাদের আঁট ষাঁট পোষাক পরা উচিত কিনা বা পুরুষদের সাথে মেলামেশা করা উচিত কিনা, বা রাত-বিরাতে একা বা মেয়ে বান্ধবীদের নিয়ে পথে ঘাটে চলাফেরা করা উচিত কি না তা নিয়ে। আমার জীবনের অভিজ্ঞতা হলো এর কোনটাতেই আপত্তি করার বিন্দুমাত্র কোন কারণ নই যে আব্রু নিয়ে সর্বাধিক কথাবার্তা হয়-সেই তথকথিত আব্রু নিয়ে যে হাজার হাজার মেয়ে বহু বহু প্রামাণ আছে। বোরকা-হিজাবকে তাা দিব্যি ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে।
অপরপক্ষে কানপ্রকার বাড়তি আবরণ ছাড়াই বা তথাকথিত টাইট বা প্যান্ট ও স্যান্ডো গেঞ্জি পরে এক বা অনেকে মিলে মেয়েরা দিনে রাতে চলাফেরা করলে, অফিস-আদালতে চাকুরী করলে বা ড্রাইভিং করলেও যে লক্ষ লক্ষ তরুণী যুবতী নানা দেশে দিব্যি নিরাপদ থাকছে বিন্দুমাত্র যৌন হয়রানির শিকার না হয়ে তার প্রমাণ এমন কি মুসলিম অদ্যুষিত দেশ মালয়েশিয়াতেও পাওয়া যায়। অপরাপর দেশগুলিতে তো তা আরও অনেক বেশী সংখ্যায় দেখা যায়।
কোথায় ঘটে এগুলি সে বিষয়টি লক্ষ্যনীয়। এগুলি ঘটছে মূলত: শহরে নগরে। তথাকথিত শিক্ষিত পরিবারেই বেশী। বিত্তশালী পরিবারগুলিতেই আরও বেশী ঘটতে দেখা যায়।
কিন্তু যদি গ্রামাঞ্চলের দিকে তাকাই? সেখানে তো আজও শিক্ষার প্রসার তেমন ঘটে নি সংবাদপত্রের প্রচার সংখ্যাও অত্যন্ত নিম্ন পর্য্যায়ে বিত্তশালীদের সংখ্যাও অনুল্লেখযোগ্য। সেই যে বিশাল এলাকা – যাকে আমরা গ্রাম-বাংলা বলতেই বেশী পছন্দ করি-সেখানে কিন্তু ধর্ষনে সংখা নেহায়েতই অনুল্লেখযোগ্য। একই সাথে বৃদ্ধা-মহলিাদের সামান্য অংশ বোরকা-হিজাবপলেও বাপক সংখ্যক নানা বয়সের বিবাহীত অবিবাহিত নারীকে তা পরতে দেখা যায় না কিন্তু তা সত্বেও যৌন অপরাধের মাত্রা অনুল্লখযোগ্য থাকার কারণ অবশ্যই প্রনিধানযোগ্য।
তেমনি হরের শ্রমিকদের দিকে তাকালে দেখা যাবে তাদের শিক্ষা-দীক্ষা পোষাক আষাক গ্রামীন মানুষদের তুলনায় বেশী। কিন্তু অবশ্যই তা শহুরে বিত্তশালী পরিবারগুলির চাইতে তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
কামনা করি, সামাজিক বিজ্ঞান এই বিষয়গুলিকেও তাঁদের বিবেচনায় নিয়ে বিশ্লেষণ পর্য্যালোচনা ও বিবেচনার মাধ্যমে সমাজ দেহে এই রোগের বিস্তৃতির কারণগুলি চিহ্নিত করে তার প্রতিরোধ পন্থার প্রতি সমাজের দৃষ্টি আকর্ষন করতে দ্রুতই এগিয়ে আসবেন।
আমার ক্ষুদ্র বিবেচায় বুঝি, আমরা অভিভাবকেরা আজকের এই ডিজিট্যাল যগের তরুণ-তরুণীদেরকে যুগোপযোগী স্বপ্ন দেখাতে বহুলাংশে কারণেই মূলত: এমনটি ঘটছে এবং পরিস্থিতির ক্রমোবনতি ঘটেই চলেছে। বিদ্যমান আইন আদালত ও পুলিশী ব্যবস্থা বা সকল ব্যাপারে অতিমাত্রায় ধর্মের দোহাই দিয়েও কিন্তু এই পরিস্থিতির উন্নতি ঘটানো যায় নি।
তা হলে এহেন পরিস্থিতিতে করনীয় কি হতে পারে?
এক. আমাদের তরুণ-তরুনীদের পরস্পরের ম্েযধ অবাধ মেলামেশা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি তাদের মা-বাবার সান্নিধ্য যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে;
দুই. নবম শ্রেণী থেকে ডিগ্রী স্তর পর্য্যন্ত যৌন শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে;
তিন. পরিবার, শিক্ষাঙ্গন এবং সকল ক্ষেত্র থেকেই যাতে মানবিক মূল্যবাধ গড়ে ওঠে তার উপযুক্ত ব্যবস্থাদি রাখতে হবে।
চার. পারিবারিক পর্য্যায় থেকে বাঙালি সংস্কতির ইতিহাস শিক্ষার ববস্থাও ডিগ্রী স্তর পর্য্যন্ত চালু করতে হবে;
পাঁচ. স্কুল এবং কলেজ পর্য্যায়ে সংগীত , নৃত্য, চিত্রাংকন ও নানাবিধ শিল্পকলা শিক্ষা ও রুচিবোধ সম্পন্ন সাংস্কতক সংগঠন অধিক সংখ্যায় গড়ে তুলতে হবে ও প্রতি সপ্তাহের ছুটির দিনগুলি নৃত সংগীত নাট্যানুষ্ঠানাদি যাতে অনুষ্ঠিত হয় সে ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে;
ছয়. তরুণ-তরুণীদের ক্রিকেট, ফুটবল ও অন্যান্য ক্রীড়া শিক্ষার জন্য প্রতি জেলা-উপজেলায় ক্লাব গড়ে তুলে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে;
সাত. সূচী শিল্পের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও জরুরী ;
আট. প্রতিষ্ঠানিক শিক্ষা বিজ্ঞান ভিত্তিক হতে হবে;
নয়. স্কুল থেকে কলেজ পর্য্যায় পর্য্যন্ত বাৎসরিক সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, ক্রিকেট-ফুটবল প্রভৃতি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা বাধ্যতামূলকভঅবে চালু করতে হবে;
দশ. স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিধ্যালয় সহ সকল পর্য্যায়ে সকল শিক্ষক-শিক্ষিকার ন্যূনতম যৌন-স্থলের খবর পাওয়ার সাথে সাথে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারী মোকর্দমা দায়ের, গ্রেফতা ও চাকুরীচ্যুতির ব্যবস্থার প্রচলন ঘটাতে হবে। নিরপেক্ষ তদন্তে নির্দোষ প্রমাণিত হলে সব কিছুই সম্মানের সাথে ফিরিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থাও রাখতে হবে;
এগার. নারী নির্য্যাতনকারী তাদের সহযোগিদের কঠোরতর শাস্তি বিধান করতে হবে;
বার. সকল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে অবিলম্বে ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে এবং নির্বাচিত প্রতিনিধিরা যাতে ছাত্র সাধারণের কাছে জবাবদিহিতা করতে বাধ্য থাকে তেমন বিধি বিধান সংসদের গহঠনতন্ত্রে সন্নিবেশিত করতে হবে। এতে তারা মাদক ও যৌন অপরাধ বিােধী কার্য্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে যাতে সক্ষম হয় তার অনুকূল পরিবেশ রচনা করতে হবে। মনে রাখতে হবে-অতীতে এই সংসদ নির্বাচন ও প্রগতিশীল ছঅত্র আন্দোলন ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও অধিকার বোধ সম্পন্ন করে গড়ে তুলতো বলেই এ সকল অপরাধ প্রায় ছিলই না অর্থবা ন্যূনতম পর্য্যায়ে ছিল। এ ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলিকেও ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে হবে।
-লেখক-
রণেশ মৈত্র
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্য ন্যাপ।
- প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।