রাডার দুর্নীতি মামলায় এরশাদসহ চারজনের রায় আগামীকাল
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
রাডার দুর্নীতি মামলায় প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদসহ চারজনের রায় আগামীকাল ঘোষণা করা হবে।
বুধবার বিকেলে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কামরুল হোসেন মোল্লা রায় ঘোষণা করবেন।
গত ১২ এপ্রিল রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন আদালত।
মঙ্গলবার ঢাকা দায়রা জজ আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি তাপস কুমার পাল বলেন, আগামীকাল বুধবার বেলা ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কামরুল হোসেন মোল্লা এ রায় ঘোষণা করবেন।
অপরদিকে এরশাদের প্রধান আইনজীবী শেখ সিরাজুল ইসলাম বলেন, হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ বুধবার বেলা ৩টার দিকে আদালতে উপস্থিত থাকবেন।
রায়ে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ খালাস পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন এ আইনজীবী।
উল্লেখ্য, মামলাটি এর আগে ঢাকার বিভাগীয় বিশেষ জজ আদালতে বিচারাধীন ছিল। ২০১৩ সালের ১১ জুন মামলাটিতে যুক্তিতর্কের শুনানি পর্যায়ে ওই আদালতের বিচারক বিব্রত বোধ করেন। এরপরই মহানগর দায়রা জজ মামলাটির বিচারের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের বিরুদ্ধে মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলাও ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য হয়েছিল। মামলাটিতে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে ফের তদন্তের নির্দেশ দেন আদালত। ফলে মামলাটির বিচার ঝুলে যায়।
প্রায় ৩২ বছর ধরে চলমান রাডার ক্রয়ে দুর্নীতির এই মামলায় ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়।
ওই বছর ১৫ মে আত্মপক্ষ শুনানিতে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদসহ সব আসামি নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। অপর দুই আসামি হলেন- সুলতান মাহমুদ ও মমতাজ উদ্দিন আহমদ। মামলার অপর আসামি এ কে এম মুসা মামলার শুরু থেকে পলাতক।
১৯৯২ সালের ৪ মে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরো মামলাটি দায়েরের পর ১৯৯৪ সালের ২৭ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
১৯৯৫ সালের ১২ আগস্ট এরশাদসহ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের পর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের আদেশে স্থগিত ছিল। মামলার ১৮ বছর পর ২০১০ সালের ১৯ আগস্ট শুরু হয় বাদীর সাক্ষ্যগ্রহণ।
আসামিরা অবৈধ আর্থিক সুবিধা নিয়ে ফ্রান্সের থমসন সিএসএফ কোম্পানির অত্যাধুনিক রাডার না কিনে বেশি দামে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়েস্টিং কোম্পানির রাডার কিনে সরকারের ৬৪ কোটি ৪ লাখ ৪২ হাজার ৯১৮ টাকা ক্ষতি করেন বলে অভিযোগ করা হয়।