সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা’র নির্দেশেই দুই যুবলীগ নেতাকে হত্যা করা হয়
আইন-আদালত ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের বিচারিক হাকিম আদালতে আসামি হিরন মিয়া (৩৮) আদালতে জবানবন্দি দেন, টাঙ্গাইল-৩(ঘাটাইল) আসনের সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা’র নির্দেশে যুবলীগের দুই নেতাকে হত্যা করা হয়।
হিরন মিয়া জবানবন্দিতে বলেন, মামুন ও শামীমকে সাংসদ আমানুর রহমান খান রানা’র নির্দেশেই মোর্শেদের নেতৃত্বে হত্যা করা হয়। গত মার্চে এ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া দুই আসামি সাহাদত হোসেন ওরফে সাধু (৪৫) এবং খন্দকার জাহিদুল ইসলাম (৩৮) আদালতে জবানবন্দি দেন। তাঁদের জবানবন্দিতেও সাংসদ আমানুর ও তাঁর ভাই জাহিদুর রহমান খান কাঁকনের এই হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এবং জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি অশোক কুমার সিংহ জানান, গত বুধবার(২৬ এপ্রিল) হিরন মিয়াকে বিশ্বাস বেতকা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি যুবলীগ নেতা মো. শামীম ও মামুন মিয়া হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং আদালতে জবানবন্দি দিতে রাজি হন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাঁকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম রুপম কান্তি দাস আসামি হিরন মিয়ার জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন। পরে তাঁকে টাঙ্গাইল জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। গ্রেপ্তারকৃত হিরন মিয়া (৩৮) শহরের বিশ্বাস বেতকার বাসিন্দা।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বাঘিল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোহাম্মদ শামীম (২৮) এবং সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন মিয়া (২৫) ২০১২ সালের ১৬ জুলাই নিখোঁজ হন। ওই দিনই দুজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যার পর লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশ সূত্র বলেছে, যুবলীগ নেতা বলে পরিচিতি পেলেও দলে মোর্শেদের কোনো পদ ছিল না। সাংসদ আমানুরের ঘনিষ্ঠ সহযোগী বলেও তিনি পরিচিত ছিলেন। তাঁর নামে চারটি হত্যাসহ অন্তত ১০টি মামলা রয়েছে।