রাষ্ট্রপতির বাসার সামনে কিশোরীকে রাস্তায় ফেলে পুলিশের নিষ্ঠুর নির্যাতন
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
সম্প্রতি একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে গেছে। যেখানে দেখা গেছে, রাষ্ট্রপতির বাসভবনের ঠিক সামনের রাস্তায় এক কিশোরীকে বেদম প্রহার করেছে পুলিশ সদস্যরা।
ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে দেখা যায়, ট্রাফিক সিগনালে আটকা অনেক মানুষজনের সামনেই এক মেয়েকে তিন জন পুলিশ মিলে মারছে। সিগনালের অনেকেই দাঁড়িয়ে তা দেখছে। কেউ এগিয়ে যাচ্ছে না। উৎসাহী এক জনতা সেটি ভিডিও করেছে।
তবে ভিডিওর শেষে দেখা যায়- সেই উৎসাহী জনতার দিকে পুলিশের এক সদস্য তেড়ে আসে। ভিডিওটি নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে।
একজন পথচারী ভিডিওটি করছিলেন, পরে পুলিশ সদস্যরা এসে তাকে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে।
এদিকে ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে তির্যক মন্তব্য আসতে থাকে।
সাইফুল ইসলাম সাইফ ফেসবুকে লিখেছেন, ‘এই সব পুলিশ বাহিনীতে কর্মরত সকল কে জানাই অন্তরের অন্তসস্থল থেকে তাদের সন্তান্দের প্রতি ভালবাসা(!) দোয়া করি আপনাদের সন্তানদের যেন এইভাবে জানোয়ারের মত কেউ না মারে!’
ড্রিফট কিং নামে একজন ফেসবুকে ভিডিওটি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘এদের বিরুদ্ধে এখনই রুখে দাঁড়ান, না হলে আজ অন্য কেউ, কাল আপনি আমি সবাই এর স্বীকার হতে পারি!’
খন্দকার তরিকুল ইসলাম লিখেছেন, ‘এদের মত পুলিশ যারা পেশাদার আচরণ করে না তাদের কে ফ্লাইং কিক মারবে না তো শুয়ে পড়ে কিক মারবে?’
শাহেদ শফিক লিখেছেন, ‘শিশুটির দোষ কি?’
ভিডিওটি কোথাকার বা মেয়েটিকে কেন মারা হচ্ছে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আর ভিডিওটিতে যে স্থানটি দেখা গেছে তা হচ্ছে ঠিক বঙ্গভবনের প্রবেশমুখ। মওলানা ভাসানী স্টেডিয়াম পেরিয়ে সোজা রাস্তাটি শিল্প ব্যাংকের সামনে চলে গেছে, একটি বঙ্গভবনের দিকে গেছে।
ঠিক এই টার্ন নেওয়ার জায়গায় এক অপ্রকৃতিস্থ কিশোরী রাস্তা অতিক্রম করার চেষ্টা করে। তাকে সেখানের দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা ক্রমাগত শারীরিকভাবে আঘাত করতে থাকে। একসময় কিশোরীটি রাস্তায় পড়ে গেলেও তার ওপর চড়াও হয় পুলিশ সদস্য।
তবে ভিডিওটিতে দেখা গেছে ঘটনার সময় দু’দিকের রাস্তার যান চলাচল স্বভাবিক ছিল। লোকজনও চলাচল করছিল।
এ বিষয়ে ডিসি (ট্রাফিক-পূর্ব) বলেন, ভিডিওটি আমিও দেখেছি। তবে ওই সদস্যরা আমাদের জোনের না। বঙ্গভবন ও গুলিস্তান এলাকার ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ঢাকা পূর্ব জোনের অনুকূলে। সম্ভবত সেই সময় রাষ্ট্রপতি মুভমেন্ট করছিলেন। উনারা সম্ভবত প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা ফোর্সের।