রূপা গণধর্ষণ হত্যা মামলার বিচার শুরু
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের মধুপুরে চলন্ত বাসে ঢাকার আইডিয়াল ল’ কলেজের ছাত্রী জাকিয়া সুলতানা রূপাকে গণধর্ষণ ও হত্যা মামলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বুধবার(২৫ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করেছেন। গ্রেপ্তার হওয়া বাসের পাঁচজনের বিরুদ্ধে রূপাকে ধর্ষণ ও হত্যার বিষয়টি এ মামলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। আদালত একই সাথে আসামি পক্ষে করা জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে দেন এবং চার্জ গঠন করে আগামি ১৩ নভেম্বর মামলার শুনানীর দিন ধার্য করেন।
টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বিশেষ পিপি মো. নাছিমুল আক্তার জানান, মামলাটির গুরুত্ব বিবেচনা করে বিচারিক আদালত সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালত(মধুপুর অঞ্চল) থেকে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে বদলী করা হয়। বুধবার মামলার অভিযোগপত্র গ্রহন করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান। একই সাথে আসামি পক্ষের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত।
এ মামলায় রাষ্ট্র পক্ষের সহায়তা করেন, বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার টাঙ্গাইল জেলার সমন্বয়কারি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান আজাদ। আসামি পক্ষে ছিলেন, আইনজীবী শামীম চৌধুরী দয়াল ও ঢাকা জর্জ কোর্টের অ্যাডভোকেট মো. দেলোয়ার হোসেন।
উল্লেখ্য, গত ২৫ আগস্ট বগুড়া থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে চলন্ত বাসে কলেজছাত্রী রূপাকে পরিবহন শ্রমিকরা ধর্ষণ করে এবং বাসেই তাকে হত্যার পর মধুপুর উপজেলায় পঁচিশ মাইল এলাকায় বনের মধ্যে তার মৃতদেহ ফেলে রেখে যায়। এলাকাবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে পুলিশ ওই রাতেই অজ্ঞাত পরিচয় মহিলা হিসেবে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন ময়নাতদন্ত শেষে বেওয়ারিশ লাশ হিসেবে টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় গোরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে মধুপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে।
পত্রিকায় প্রকাশিত ছবি দেখে তার ভাই হাফিজুর রহমান মধুপুর থানায় গিয়ে তাকে সনাক্ত করেন। গত ২৮ আগস্ট এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ময়মনসিংহ-বগুড়া রুটের ছোঁয়া পরিবহনের হেলপার শামীম (২৬), আকরাম (৩৫) ও জাহাঙ্গীর (১৯) এবং চালক হাবিবুর (৪৫) ও সুপারভাইজার সফর আলীকে (৫৫) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা প্রত্যেকেই আদালতে হাজির করা হয়ে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। মামলার আসামিরা প্রত্যেকেই এখন টাঙ্গাইল জেলহাজতে রয়েছে।