তিস্তার পানি বিপদসীমার ৬৫ সে.মি. উপরে : রেড অ্যালার্ট জারি
এস কে রায়, নীলফামারী প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
ভারতের উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও অবিরাম বর্ষণে তিস্তা ব্যারেজ পয়েন্টে বিপদসীমার ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে।
ফ্লাড বাইপাস তলিয়ে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়েছে ।
এদিকে তিস্তার উজানে ভারতের গজলডোবা বাধের সব গেট খুলে দেয়ার কারণে তিস্তা ব্যারেজ এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়েছে।
শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় নীলফামারীর ডিমলায় স্থানীয় প্রশাসন রেড অ্যালার্ট জারি করে। এর আগে মাইকিং করে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়। তিস্তার পানি যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। রবিবার ভোর থেকে তিস্তা নদীর চরাঞ্চল ও নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।
সন্ধ্যায় পানি বৃদ্ধির কারণে মাইকিং করে তিস্তায় বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয় বলে নিশ্চিত করেন উজানের পূর্ব ছাতনাই ও খগাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যান।
সব ইউপি চেয়ারম্যানকে মোবাইল ফোনে নদীতে অবস্থানরতদের সরিয়ে আনার নির্দেশ প্রদান করা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সকাল থেকে তিস্তা চরের বাসিন্দাদের সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়ে মাইকিং করেছেন বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ডালিয়া ডিভিশনের নিবার্হী প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি আরও জানান,ভারত গজলডোবা ব্যারেজের ৫৪টি গেট খুলে দেওয়ায় এবং দেশের অভ্যন্তরে ৫ দিনের ভারি বর্ষর্ণের কারণে তিস্তার পানি বিপদসীমার ৬৫ সে.মি. উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায়, পানির প্রবল স্রোতে ব্যারেজের ফ্লাড বাইপাস ভেঙে গিয়ে উজান ও ভাটির ৩৪টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজের সব (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।
নদীর শোঁ শোঁ শব্দ আর গর্জন তিস্তা অববাহিকা কাঁপিয়ে তুলেছে।
অপরদিকে বুড়ি তিস্তা নদীটি ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই এলাকায় বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে নাউতারা ইউনিয়নের সাতজান,শালহাটী,ডিমলা ইউনিয়নের নটাবাড়ী গ্রামগুলো প্লাবিত হয়েছে।
ভারী বর্ষণ ও বন্যার কারণে জেলা প্রশাসন ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।