ঘাটাইলের শিক্ষক সাময়িক বহিস্কার
এম.এস.এস.সৌরভ, ঘাটাইল (টাঙ্গাইল) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সন্তানের অপকর্মের কারণে শিক্ষক বাবা বর্তমানে জেল হাজতে রয়েছে এবং ২১ জুলাই শুক্রবার বিকেলে বিদ্যালয়ের পরিচালনা পরিষদ তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.হাসান আলী।
জানা যায়, ছেলের ৮ম শ্রেণি পড়ুয়া প্রেমিকার আত্মহত্যাকে কেন্দ্র মেয়ের নানার দায়ের করা মামলায় উপজেলার রামপুর হাসান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের ধর্মীয় শিক্ষক মো. আতোয়ার রহমান গত ১৯ জুন আদালতে আত্মসমর্পন করলে আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেন
এলাকাবাসী জানায়, আতোয়ার রহমানের অনার্স পড়ুয়া ছেলে আতিকুর রহমানের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে পার্শবর্তী গোপালপুর উপজেলার মহনপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শেণির ছাত্রী মীম এর সাথে। প্রেমের সম্পর্ক শেষে রুপ নেয় শারিরীক সম্পর্কে। এক পর্যায় মীম তিন মাসের অন্তঃসত্তা পড়ে। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে বিয়ের জন্য চাপ দেয় মীমের পরিবার। কিন্তু ছেলের পক্ষের কোন সারা না পেয়ে গত ১২ মে ঘরের আড়ের সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে মীম। পরে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গত ১৫ জুন মীমের নানা মো. মজিবর রহমান বাদী হয়ে গোপালপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আতিকুর রহমান কে প্রধান করে ৫ জন কে আসামী করা হয়। এরা হলেন, আতিকের বাবা আতোয়ার রহমান, চাচা সুজাত আলী, বন্ধু চান মিয়া ও ঘাটাইল ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নং ওয়র্ডের মেম্বার ওসমান গনি। এদের মধ্যে মেম্বার ওসমান ও চাচা সুজাত আলীকে ১৫ জুন রাতেই গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ২৩ দিন হাজতে থাকার পর জামিনে বের হয়ে আসেন তারা। এদিকে ছেলে এবং ছেলের বন্ধু এখনো পলাতক রয়েছে।
আতিকুর রহমানের বাড়ি ঘাটাইল উপজেলা রৌহা গ্রামে এবং মীম গোপালপুর উপজেলার শাহ মির্জাপুর গ্রামের মুক্তার হোসেন ও স্কুল শিক্ষিকা মমতাজ আক্তার দম্পতির বড় মেয়ে।
রামপুর হাসান পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. হাসান আলী জানান, যেহেতু শিক্ষক আতোয়ার সাহেব জেল হাজতে আছেন শিক্ষা আইন অনুসারে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
- কাগজ টুয়েন্টিফোর বিডি ডটকম এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।