শিক্ষিকাকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিল ভার্সিটি ছাত্র
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
স্কুল শিক্ষিকাকে বাঁচাতে গিয়ে জীবন দিলেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র। গতকাল রবিবার রাজধানীর টিকাটুলিতে ছিনতাইকারীদের শিকার হন বারিধারা সাউথ পয়েন্ট স্কুলের শিক্ষিকা সাদিয়া। তাকে বাঁচাতে এগিয়ে যান ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের ছাত্র খন্দকার আবু তালহা (২২)। এক পর্যায়ে তালহাকে কুপিয়ে জখম করে ছিনতাইকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিত্সাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
ওয়ারী থানার ওসি রফিকুল ইসলাম ইত্তেফাককে বলেন, ভোরে টিকাটুলি এলাকা দিয়ে রিক্সায় যাচ্ছিলেন স্কুল শিক্ষিকা সাদিয়া ও তার ভাই সানি। এ সময় তিনজন ছিনতাইকারী তাদের পথরোধ করে। পেছনের রিক্সায় ছিলেন তালহা। এক পর্যায় সে ছিনতাইকারীদের ধাওয়া করে। এতে একজন ছিনতাইকারী পড়ে যায়। তাকে ইট দিয়ে আঘাত করেন তালহা। একজন পড়ে গেছে দেখে ওই দু’জন আবার ফিরে তালহাকে ছুরি দিয়ে নির্দয়ভাবে কোপাতে থাকে। পরে তিন ছিনতাইকারীই দৌড়ে পালিয়ে যায়।
ওসি রফিকুল আরও জানান, তালহা স্থানীয় ছেলে। আবার যুবলীগ নেতার ভাগ্নে। ফলে এলাকায় তাদের একটা প্রভাব রয়েছে। এতে তালহার মনে হয়েছে তাদের বাড়ির সামনে এই ধরনের ছিনতাইকে কোনোভাবেই সহ্য করা যায় না। ফলে তিনি এগিয়ে যান। আর ছিনতাইকারীরাও নিজেদেরকে বাঁচাতে ছেলেটিকে নির্দয়ভাবে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘তালহার হাত, পা ও উরুতে ছুরিকাঘাতের জখম ছিল। রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিত্সকরা জানিয়েছেন।’ স্বজনদের বরাত দিয়ে এসআই বাচ্চু বলেন, সকালে ওয়ারীর বাসা থেকে রিকশায় করে যাত্রাবাড়ী যাচ্ছিলেন তালহা। বাসার খুব কাছেই এই ঘটনা ঘটেছে। তালহাদের বাড়ি কুমিল্লার বরুরার দেওড়া গ্রামে।