সংখ্যা লঘু রক্ষায় নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ

সংখ্যা লঘু রক্ষায় নিউজিল্যান্ড ও বাংলাদেশ
রণেশ মৈত্র (সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত)
সভাপতি মন্ডলীর সদস্য, ঐক্যন্যাপ

পৃথিবীটা ভালবাসার জায়গা। এ বিশ্ব মানুষে মানুষে বৈষম্য দূর করার ও সার্বিক ঐক্য প্রতিষ্ঠার জায়গা। শান্তির জায়গা। মানুষে মানুষে প্রেম, প্রীতি ও সৌহার্দ্য প্রতিষ্ঠার জায়গা। ধর্ম-বর্ণ-জাতীয়তা কদাপি যেমন সবার জন্যে এক হবে না-তেমনি আবার সেগুলি বৃহত্তম ঐক্য প্রতিষ্ঠার পথে কোন প্রতিবন্ধকতা ও সৃষ্টি করবে না।

নিউজিল্যান্ডের মানুষ, ধর্মবিশ্বাসে যাঁরা প্রধানত: খৃষ্টান এবং মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীরা যেখানে অতিমাত্রায় সংখ্যালঘু (প্রায় মাইক্রোস্কোপ দিয়ে দেখার মত) উপরের কথাগুলি যে অতীব সত্য তা বিশ্ববাসীকে চোখে আঙুল দিয়ে দেখালেন বিগত ২২ মার্চ স্ক্রাইষ্টাচার্চের রক্তঝরা দুটি মসজিদেই শুধু নয় গোটা নিউজিল্যান্ড জুড়ে। এমন পবিত্র, এমন মনোরম, এমন হৃদয়স্পর্শ, চির আকাংখিত ঘটনা দেখবার সৌভাগ্য ঘটলো ঐ দিন সকালে। বি.বি.সি, সি.এন.এন. আল জাজিরা প্রভৃতি বিশ্বখ্যাত টেলিভিশন চ্যানেলে। এ চ্যানেলগুলি আমি সচরাচর দেখি না। সম্ভবত: প্রথম কিছুটা দেখি ১৯৭১ এ, পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের পাবনা জেলার ন্যাপ-কমিউনিস্ট পার্টি-ছাত্র ইউনিয়ন পরিচালিত যুবশিবিরে। নদীয়া জেলার করিমপুরে। তবে সেটাও টেলিভিশনে নয়-রেডিও এবং বি.বি.সি.তে শুধুমাত্র। বাদ-বাকী যে সব মাধ্যমে আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিবরণী সঠিকভাবে প্রচারিত হতো ঐ দিনগুলিতে, সেগুলো দেখার সময়-সুযোগ আমাদের ঘটেনি।
যা হোক, বি.বি.সি, সি.এন.এম, আল জাজিরায় কি দেখলাম সেদিন ? নীচে ঐ বিশাল ঘটনার সংক্ষিপ্ত বিবরণী আমার প্রিয় পাঠক-পাঠিকার জন্যে তুলে ধরছি।

নিউজিল্যান্ডের ক্রাইষ্টচার্চের আল নূর, মসজিদের ইমাম জামাল ফাউদা এক সপ্তাহ আগে দেখেছেন বর্ণবাদী এক জঙ্গী খুনীর চোখের জিঘাংসা, দেখেছেন নামাজ আদায় রত মুসলিমদের রক্তের স্রোতধারা, দেখেছেন বন্ধু-স্বজনদের অসহায় মৃত্যু।

ওই ঘটনার ঠিক সাত দিন পর, বিগত ২২ মার্চে সেই ইমাম ফাউদা জুমার নামাজের আগে দেখলেন, বুলেটের আঘাতে জর্জরিত আল নূর মসজিদের বাইরে হ্যাগলি পার্কে শত শত নিউজিল্যান্ডবাসী সমবেত হয়ে অশ্রুসজল নয়নে ফুল দিয়ে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন। একই সাথে শিশু থেকে বৃদ্ধরাও এতে অংশ নেন। ফুল দিতে আসা মানুষ তাদের দেশের ইতিহাসের বর্বরতম এই হত্যালীলার তীব্র নিন্দা জানান নিহতদের পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। তাঁরা জানান সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের কোন ধর্ম নেই। যারা এমন কাজ করেছে তারা কাপুরুষ, তারা মানবতার শত্রু সব ধর্মের শত্রু।

ক্রাইস্ট চার্চের দুটি মসজিদে ১৫ মার্চ শুক্রবার স্থানীয় সময় ১.৩০ মি. এ (বাংলাদেশ সময় ভোর ৬.৩০ মি. এ) জুমার নামাজে আসা মুসুল্লিদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে ৫০ জনকে হত্যা করে উগ্র জাতীয়তাবাদী সন্ত্রাসী জঙ্গী ব্রেস্টন হ্যারিশন ট্যারেষ্ট নামধারী এক অষ্ট্রেলিয়ান যুবক।
২২ মার্চ দুপুরে দুই মিনিটের জন্য নীরবতা পালন করলেন শোকস্তবদ্ধ নিউজিল্যান্ডও। ঠিক তার আগে নিউজিল্যান্ডে বসবাসরত মুসলমানদের প্রতি সংহতি জানাতে ঐ দেশের সকল প্রচার মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হয় ২২ মার্চের যাবতীয় আয়োজন এবং সেগুলি লাইভ প্রচারণা পায় বিবিসি, সিএনএন, আলজাজিরাসহ তাবৎ আন্তর্জাতিক মিডিয়ায়।
গত ১৫ মার্চ ঐ হামলার পর থেকে প্রতিদিনই সব ধর্মের নানা বয়সী মানুষ ফুল হাতে ঐ মসজিদ দুটির বাইরে আসছিল সংহতি জানাতে। মাওবি অধিবাসীদের ঐতিহ্যবাহী রণনৃত্য পরিবেশন করে শ্রদ্ধা জানাচ্ছিল শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার (২২ মার্চ) জুমা’র নামাজের আগে মসজিদ দুটির ভেতরে বাইরে সমবেত নিউজিল্যান্ডবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে ইমাম জামাল ফাউদা বলেন ধন্যবাদ আপনাদের হাকার নৃত্যের জন্য, ধন্যবাদ ফুলের জন্য। নিউজিল্যান্ডকে ভেঙে ফেলা যাবে না। আমাদের হৃদয় ভেঙেছে কিন্তু আমরা ভেঙে পড়বো না।

জুমা’র নামাজ আদায় করতে যাওয়া মুসলমানদের উদ্দেশ্যে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জসিস্তা আরডার্ন সেখানে সমবেত হয়ে বলেন, আপনাদের সঙ্গে আজ পুরো নিউজিল্যান্ড কাঁদছে। আমরা সবাই আজ এক।

জুমা’র নামাজের সময় হ্যাগলি পার্কের সমাবেশে জড়ো হয়েছিলেন প্রায় দশ হাজার মানুষ। মুসলমান রীতিতে কালো কাপড়ে মাথা ঢেকে প্রধানমন্ত্রী সেখানে উপস্থিত ছিলেন প্রায় আধাঘন্টা। শ্রদ্ধা জানানোর ঐ আনুষ্ঠানিকতায় অকল্যান্ডের চারটি মসজিদে শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত সব ধর্মের মানুষের জন্য খোলা থাকবে এমন সিদ্ধান্তও নেওয়া হয়েছে। সন্ধ্যায় রাজধানী অকল্যান্ডের সবচেয়ে পুরোনো পার্ক-অকল্যান্ড ডোমেইনে হয় প্রদীপ প্রজ্বলন।

মুসলমানরা ঐদিন দেশজুড়ে সকলের প্রতি প্রার্থনা করার আহ্বান জানিয়েছিলেন, সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে ক্রাইস্ট চার্চের জুমা’র নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করে দেশটির সবগুলো সম্প্রচার মাধ্যম, রেডিও, টেলিভিশন ও অন্যান্য স্থানীয় গণমাধ্যম ওয়েব সাইটে। দেশের ৪৫ লাখ (সমগ্র জনসমষ্টি) একই সময়ে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করেন। আল নূর মসজিদের মুয়াজ্জিন মাথায় সাদা টুপি পরে আল্লাহু আকবর ধ্বনিতে সে দেশের বেলা ১.৩০ মিনিটে আজান দেন। আল নূর মসজিদের ইমাম বলেন, আমরা চারিদিকে তাকাচ্ছি দেখছি হাজার হাজার নিউজিল্যান্ডবাসীর চোখে। সারা বিশ্বের মানুষের মধ্যে আমি মানবিকতা দেখছি। খুনী সন্ত্রাসী আমাদের জাতীর চোখের জল ঝরিয়েছে। সে খারাপ মতাদর্শের মাধ্যমে আমাদের আলাদা করতে চেয়েছিল। কিন্তু তার পরিবর্তে আমরা দেখিয়ে দিয়েছি নিউজিল্যান্ডে সেটি করা অসম্ভব। নিউজিল্যান্ডের মুসলামান সম্প্রদায়ের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে অনেক নারী মাথায় ওড়না পেচিয়ে ঐ অনুষ্ঠানে যোগদেন। দু’জন বান্ধবীকে নিয়ে সেখানে যান ক্রিস্ট ট্রইল কিনসন। প্রত্যেকে মাথায় হিজাব পরেছিলেন।

নামাজ শুরুর আগে ক্রিষ্টি বলেন, আমি যে বার্তাটি দিতে চাইছি তা হলো ঘৃণা কখনো জিততে পারে না। আমরা সবাই মানুষ। শুক্রবারের জুমা’র নামাজের সময় এক বিবৃতিতে ফেডারেশন অব ইসলামিক এসোসিয়েশন অব নিউজিল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট মুশুকা ফারুক বলেন, আমরা খুব খুশী যে এই নামাজ সরাসরি সম্প্রচার করা হলো- যার মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ এতে শরিক হতে পারছেন।

ওয়েলিংটনের শিক্ষার্থী কেট মিলস ওয়ার্কম্যান (১৯) ট্যুইটারে সেলফি পোষ্ট করে দেখিয়েছেন তিনি সবুজ রং এর হিজাব পরেছেন। তিনি বলেন, আমার হিজাব পরার বিষয়টি ক্রাইষ্টাচার্চের ভয়ানক হত্যাযজ্ঞের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ। এটি এমন একটি সহিংসতা বা ধর্মের নামে কুসংস্কার কখনোই সঠিক পথ নয়। নিউজিল্যান্ডবাসী হিসেবে আমরা সেই বাস্তব সত্যটি নিরোপণ করতে সক্ষম হয়েছি।

পরের খবর : প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি, এর পরের খবর হলো নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন ও সেখানকার পুলিশকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে সামাজিক যোগাযোগগের মাধ্যমে। মসজিদে হত্যালীলা ঘটানোর খবরও হত্যাকান্ডের কয়েক মিনিট আগে খুনীরা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমেই সরকার ও সংশ্লিষ্টদেরকে জানিয়েছিল। প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির বিষয়টি তদন্ত করছে ঐ দেশের পুলিশ।
অর্ধশত মুসলিম নিহত হওয়ার পর নিহত ও সকল মুসলিমের প্রতি সহমর্মিতা ও ঐক্য প্রকাশের জন্য ব্যাপকভাবে প্রশংশিত হয়েছেন নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হামলার পর পরই একে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি। শপথ নিয়েছেন ঘৃণাবশত: হত্যাকরীর নাম কখনও মুখে না আনার। হামলায় হতাহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে মাথায় হিজাব পরতেও দেখা গেছে তাঁকে। এবার সেই জেসিদ্ধাকেই হত্যার হুমকি দিয়ে ট্যুইটারে পোষ্ট দেওয়া হয়েছে।

নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে দেওয়া ট্যুইটার পোষ্টে একটি বন্দুকের ছবি যুক্ত করে লেখা হয়েছে “এর পর আপনি।”

দ্বিতীয় একটি পোষ্টে প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি পুলিশকে অনুরূপভাবে বলা হয় “এর পর আপনারা”। এই পোষ্টেও একই রকম বন্দুকের ছবি দেওয়া হয়।
ওই টুইটার একাউন্টটিতে মুসলিম বিরোধিী ও স্বাতঙ্গ আধিপত্যবাদী বিদ্বেষমূলক বক্তব্য ছিল। সামগ্রিক বিষয়াবলী নিয়ে নিউজিল্যান্ডের পুলিশ বাহিনী ব্যাপক তদন্ত পরিচালনা করছেন।

কিন্তু এ কথাটি পরিস্কার নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী সে দেশের সরকার, পুলিশ ও জনগণ কোন প্রকার সাম্প্রদায়িকতা বর্ণবাদ বা উগ্র জাতীয়তাবাদী ও সন্ত্রাসী জঙ্গীদের কাছে নতি স্বীকার বা আপোষ করতে বিন্দু মাত্র রাজী নন।

সার্বিক পরিস্থিতি লক্ষ্য করে বিগত ১৫ মার্চে অনুষ্ঠিত নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে প্রার্থনারত মুসল্লিদের উপর অতর্কিতে নৃসংশ সন্ত্রাসী হামলা, উগ্র সাম্প্রদায়িক বর্ণবাদী সন্ত্রাসী ঘটনার পর থেকে ঠান্ডা মাথায় প্রধানমন্ত্রী জেসিন্তা ও সে দেশের সকল ধর্মে বিশ্বাসী মানুষ একের পর এক এ যাবত যতগুলি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন পুঁজিবাদী বিশ্বে তার নজির বিরল। তাঁদের সাহস, নিষ্ঠা ও ঐকান্তিকতার বিজয় অনিবার্য্য। অভিনন্দন প্রধানমন্ত্রী জেসিন্তা আরবার্ন, ধন্যবাদ সে দেশের সরকারি ও অসম্প্রদায়িক সকল ধর্মের অনুসারী মানুষ।

বাংলাদেশে সংখ্যলঘু নির্য্যাতন প্রতিরোধ সংহতি ? নিউজিল্যান্ডে যেমন একই দিনে একই সময়ে দুটি মসজিদে প্রার্থনারত ৫০ জন ধর্মীয় সংখ্যা লঘুকে নিমেষে গুলি করে হত্যা ও অনুরূপ সংখ্যককে আহত করা হলো-বাংলাদেশে ঠিক এ জাতীয় সংখ্যালঘু নিধনের খবর আমার জানা নেই। তবে এ দেশে সংখ্যালঘু নির্য্যাতন একটি নৈমিত্তিক ঘটনা, চলমান ঘটনা, দৃশ্যমান ঘটনাও বটে। এবং তা চলে আসছে দশকের পর দশক ধরে। বাংলাদেশের ঘটনাগুলি নিউজ্যিান্ডের ঘটনার মত আকর্ষ্কিক ও নয় দিব্যি ঘটে চলেছে অহরহ-নির্বিবাদে এবং নির্বিঘ্নে। চলছে হামলা, মামলা, জবরদখল, নারী নির্যাতন, মন্দির ভাংচুর। সংখ্যায় তা কত হবে ? কোন হিসাব নেই তার। তবে বলতেই পারি অগণিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতা ও সংখ্যালঘু নিধন, উচ্ছেদ ও বিতাড়ন ঘটেই চলেছে।

এ যাবত কোটিরও অধিক (আজকের ১৬ কোটি জনসংখ্যার ৩০ শতাংশ হিসেব করলে কয়েক কোটি) সংখ্যালঘু দেশান্তরিত যাঁদের সয়-সম্পত্তি লুট পাট করা অথবা গর্হিত সম্পত্তি হিসেবে সরকারি ভাবে গণ্য করা হয়েছে ১৯৬৫-৬৬ সালে তা আজও বহাল তবিয়তে অর্পিত সম্পত্তি নামে। ২০০১ সালে অর্পিত সম্পত্তি (প্রত্যর্পণ) আইন সংসদে পাশ করা হলেও তার কোন প্রয়োগ নেই।

২০০১ সালের নির্বাচনের আগে-পরে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক সহিংসতামূলক বিপুল সংখ্যক ঘটনা ঘটলেও এবং তার আগে ও পরে অহোরহ এমন ঘটনা ঘটতে থাকলেও একটি মোকর্দ্দমাও কোন সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে দায়ের হয় নি।
বাঙালি জাতি ধর্মীয় সংখ্যাগুরু সংখ্যালঘু নির্বিশেষে একত্রে সম্মিলিত ভাবে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আহ্বানে। বিজয়ের পর বাহাত্তর সালের সংবিধানে গৃহিত চার মৌলনীতি ছিল, গণতন্ত্র, জাতীয়তাবাদ, ধর্ম নিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্র। আজ সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতা বিতাড়িত। স্থান দেওয়া হয়েছে তার পরিবর্তে “বিসমিল্লাহ” ধর্মাশ্রয়ী দলগুলির (জামায়াতে ইসলামীসহ) বৈধতা এবং রাষ্ট্র ধর্ম ইসলাম। এগুলি সবই বাহাত্তর সংবিধানের মৌলিকত্ব ও মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ সমূহের পরিপন্থী। তাই সমাজে সাম্প্রদায়িকতা স্থান করে নিচ্ছে-পাঠ্য পুস্তুকের সাম্প্রদায়ীকীকরণ করা হয়েছে।

সংখ্যালঘু নিগ্রহের বিরুদ্ধাচরণ করা তার প্রতিরোধে ছুটে যাওয়া সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা এ দেশের সংখ্যালঘুরা দেখেনি আজও-দেখবে কি কোন দিন? জয়তু নিউজিল্যান্ড-জয়তু প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আরডার্ন।


  • প্রকাশিত মতামত লেখকের একান্তই নিজস্ব। কাগজ২৪-এর সম্পাদকীয় নীতি/মতের সঙ্গে লেখকের মতামতের অমিল থাকতেই পারে। তাই এখানে প্রকাশিত লেখার জন্য কাগজ২৪ কর্তৃপক্ষ লেখকের কলামের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে আইনগত বা অন্য কোনও ধরনের কোনও দায় নেবে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!