“সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন” শ্লোগানে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় ও জোরদার করার লক্ষ্যে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত।
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
গত ০১ অক্টোবর ২০১৯ ইং তারিখ রোজ মঙ্গলবার বিবাল ৪:০০ টায় সভাপতি পূরবী মৈত্র সভাপতিত্বে¡ পাবনা প্রেসক্লাব’র সামনে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এর উদ্যোগে, “সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখুন” শ্লোগানে আসন্ন দূর্গাপূজা উপলক্ষে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় ও জোরদার করার লক্ষ্যে মানববন্ধন কর্মসূচী অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক,কামরুন নাহার জলি, আন্দোলন সম্পাদক, জিনাত সুলতানা, কার্যকরী সদস্য, রওশন আক্তার মিন্টু, বাঁচতে চাই’র নির্বাহী পরিচালক, আব্দুর রব মন্টু, পাবনা সদর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাভাপতি ও রোটা: প্রভাস ভদ্র ও সাধারণ সম্পাদক, কোমল চন্দ্র, এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, পাবনা জেলা শাখার, সহ-সাধারণ সম্পাদক, রোজী খাতুন, অর্থ-সম্পাদক, রোহানা করিম, লিগ্যাল এইড সম্পাদক, শরিফা খাতুন সূখী, শ্রী শ্রী মঙ্গলাময়ী বারোয়ারি মন্দিরের সদস্য, আশিক দাস, কৃঞ্চ দাস, রতন দাস, সুভাষ দাস, রুধী কুমার দাস ও সেন্ট্রাল গার্লস স্কুলের ছাত্রী, এনজিওর প্রতিনিধিগন, সুশীল সমাজের প্রতিনিধী ও বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের জেলা, থানা ও পাড়া কমিটির নেত্রী বৃন্দসহ প্রায় ২০১ জন অংশগ্রহন করেন। সমগ্র মানববন্ধন কর্মসূচী সঞ্চালন করেন আন্দোলন সম্পাদক জিনাত সুলতানা ও সমন্বয় করেন, জেলা প্রকল্প সমন্বয় করেন এ এম এস কিবরিয়া প্রিন্স।
মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তাগন বলেন, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ একটি অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমতা ভিত্তিক সমাজ এবং রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে ৪৯ বছরের অধিক সময় যাবৎ ধারাবাহিক ,বহুমূখী প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আমাদের এই দেশে হিন্দু, মুসলিম, খ্রীষ্টান, বৌদ্ধ,আদিবাসী সকলের বসবাস। সকলের অংশগ্রহণে মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল ১৯৭১ সালে। এর মাধ্যমে অর্জিত হয় ৭২ এর সংবিধান। স্বাধীনতার পর ধর্মনিরপেক্ষতাকে আমাদের সংবিধানের মূল স্তম্ভ হিসাবে ঘোষনা করা হয়। তাই আসুন সকলে সাম্প্রদায়ীক সম্প্রীতি বজায় রাখি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বন্ধন আরো দৃঢ় ও জোরদার করি। সেই সাথে আসন্ন শারদীয় দূর্গাপূজা উপলক্ষে যেনো কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেই লক্ষ্যে প্রশাসনকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানানো হয়।