প্রকাশ্যে রিকশাচালককে পেটানো সেই সুইটিকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
তরুণ রিকশা চালককে প্রকাশ্যে মারধর করে দেশব্যাপী আলোচিত হওয়া সুইটি আক্তার শিনুকে রাজধানীর মিরপুরের ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের মহিলা সম্পাদিকার পদ থেকে তাকে বহিস্কার করা হয়েছে।
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে মঙ্গলবার রাতে দল তাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয় বলে নিশ্চিত করেন ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আব্দুল হারুন।
মুঠোফোনে তিনি বলেন, ‘সুইটি আক্তার শিনু বেশ কিছুদিন ধরেই উশৃঙ্খলভাবে চলাফেরা করতেন বলে অভিযোগ ছিল। দলীয় কর্মকাণ্ডে তার আচরণ প্রশ্নবিদ্ধ করছিল দলকে। আমরা সুইটিকে এর আগে বারবার সতর্ক করেছি কিন্তু তিনি সংশোধন হননি। বরঞ্চ একই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েই যাচ্ছিলেন।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘গতকাল রাস্তায় এক তরুণ রিকশা চালককে প্রকাশ্যে মারধর করেন সুইটি। যা মুহূর্তেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায় দেশ-বিদেশে। এতে দলের কিছুটা সুনাম ক্ষুণ্ণ হয়। একজন সুইটির জন্য পুরো দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ হবে সেটা মানা যায় না, তাই জরুরি মিটিং ডেকে সুইটিকে মহিলা সম্পাদিকা ও প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার এক তরুণ রিকশা চালককে রাস্তায় প্রকাশ্যে মারধরের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়লে আলোচনা-সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
ভিডিওতে দেখা যায় এক নারী, এক তরুণ রিকশাচালকের ওপর চড়াও হয়েছেন। তিনি নিজেই ওই রিকশার যাত্রী ছিলেন। দ্রুত রিকশা না চালানোর কারণে তিনি চটে যান। ভিডিওতে রিকশাচালকের ওপর মারমুখী অবস্থায় দেখা যায় তাকে।
এক পর্যায়ে প্রকাশ্য দিবালোকে সবার সামনে রিকশা থেকে নেমে চালকের গায়ে হাতও তোলেন তিনি। আবারো রিকশা উঠে হাতের ব্যাগ দিয়ে চালককে মারতে উদ্যত হন। ক্ষুব্ধ হয়ে তাকে লাথি ছুঁড়তেও দেখা যায়।
ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, অনেক পথচারী ওই নারীর আচরণের প্রতিবাদ করছেন। তবে কোনো প্রতিবাদেই নিজের অবস্থান থেকে সরেননি সুইটি। তথ্য-সময়ের কণ্ঠস্বর।
নিম্নে ভিডিও দেয়া হলো-