সড়কের ইট নিয়ে গেলেন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা!
অনলাইন ডেক্স । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
বগুড়ার ধুনট উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে সরকারি সড়কের ইট নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যার দিকে উপজেলার রঘুনাথপুর যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের সংযোগ সড়ক থেকে এই ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ধুনট উপজেলার ভান্ডাবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর মাদ্রাসা সংলগ্ন পাকা সড়ক থেকে যমুনা নদীর বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ পর্যন্ত প্রায় ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য একটি সংযোগ সড়ক রয়েছে। সড়কটি একসময় কাদাপানিতে চলাচলের অযোগ্য ছিল। এ কারণে ২০১৪-২০১৫ অর্থ বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) ব্যবস্থাপনায় সড়কটিতে প্রায় ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ব্যয়ে মাটি ভরাট করে ইট দিয়ে সোলিং নির্মাণ করা হয়। এ অবস্থায় প্রায় ৩ মাস আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ সংস্কারের সময় ওই সড়কের পূর্বভাগে ২০ মিটার অংশ থেকে সাড়ে তিন হাজার ইট তুলে বাঁধের পাশে স্তূপ করে রাখা হয়। সেখান থেকে ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গতকাল সন্ধ্যার দিকে স্তূপ করে রাখা ইটগুলো তুলে বাড়িতে নিয়ে যান।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, বাঁধের পাশে তুলে রাখা সড়কের ইটগুলো রাতের বেলা স্থানীয় লোকজন চুরি করে নিয়ে যেতেন। তাই সেখান থেকে ইটগুলো বাড়িতে নিয়ে সংরক্ষণ করা হয়েছে। কোনো অসৎ উদ্দেশ্যে এগুলো নেওয়া হয়নি। ওই সড়কের কাজের সময় প্রয়োজনে ইটগুলো ফেরত দেওয়া হবে।
ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল করিম বলেন, ‘মোয়াজ্জেম হোসেন সড়কের ইটগুলো বাড়িতে নিয়ে গেছেন। তবে কী উদ্দেশ্যে ইটগুলো নিয়ে গেছেন, তা আমার জানা নেই। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) জানানো হয়েছে।’
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ধুনট উপজেলা প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম বলেন, সড়ক থেকে ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তাঁর জানা নেই। ঘটনাটির তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধুনটের ইউএনও রাজিয়া সুলতানা বলেন, সরকারি সড়ক থেকে ইট তুলে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে তাঁকে কেউ জানায়নি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।