ভূপেন্দ্র নাথ রায়’র কবিতা- হনুমানের আত্মকথন
হনুমানের আত্মকথন
– ভূপেন্দ্র নাথ রায়
– ভূপেন্দ্র নাথ রায়
কোথায় বাড়ী কোথায় ঘর
কেবা আপন কেবা পর,
ঠাহর হয়না মনে-
ভয়ে কাটে প্রহর।
কেবা আপন কেবা পর,
ঠাহর হয়না মনে-
ভয়ে কাটে প্রহর।
রাতের পর দিন আসে
আমি থাকি গাছে গাছে,
খাবার খুঁজি শাখায় শাখায়,
পত্র-পল্লব, ফুলে ফলে।
আমি থাকি গাছে গাছে,
খাবার খুঁজি শাখায় শাখায়,
পত্র-পল্লব, ফুলে ফলে।
আজ হেথায় তো কাল সেথায়,
নিজেকে লুকোনোর আশায়,
পিতৃ আবাস হারিয়ে ব্যাকুল-
কাতরে উঠি অতি বেদনায়।
নিজেকে লুকোনোর আশায়,
পিতৃ আবাস হারিয়ে ব্যাকুল-
কাতরে উঠি অতি বেদনায়।
এইতো সেদিন
মনে হয় ক্ষীন,
চিরিরবন্দর হয়ে নাকি খানসামায়-
বাড়িয়েছি ঋণ।
মনে হয় ক্ষীন,
চিরিরবন্দর হয়ে নাকি খানসামায়-
বাড়িয়েছি ঋণ।
আমারে দেখিতে
উৎসুক নর-নারীতে,
কখনো ঢিল, কখনো কিল-
সারাক্ষন কাটাই হুমকি-ধমকিতে।
উৎসুক নর-নারীতে,
কখনো ঢিল, কখনো কিল-
সারাক্ষন কাটাই হুমকি-ধমকিতে।
ঠাঁই নাই, ঠাঁই চাই
এ মোর আকুতি ভাই,
কি পাপ করেছি-
পথ হারিয়ে তাই।
এ মোর আকুতি ভাই,
কি পাপ করেছি-
পথ হারিয়ে তাই।
ছিলেম কোথায় এলেম হেথায়,
পরিব্রাজন অপ্রত্যাশায়,
ভুলের মাশুল গুনি এখন-
ভাঙ্গা মনের মনিকোঠায়।
পরিব্রাজন অপ্রত্যাশায়,
ভুলের মাশুল গুনি এখন-
ভাঙ্গা মনের মনিকোঠায়।
আমার এ আত্নকথন
অব্যক্ত ভাষার আচ্ছাদন,
হারানো স্বাধীনতা বন্যতায়-
করি স্মৃতির রোমন্থন।
অব্যক্ত ভাষার আচ্ছাদন,
হারানো স্বাধীনতা বন্যতায়-
করি স্মৃতির রোমন্থন।