হিলারিকে হারাতে পুতিনের গুপ্তচর হয়েছিলেন ইনি!
আন্তর্জাতিক ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডি.কম
মার্গারিটা গ্রিটুইডা জেল্যে। তবে বিশ্বব্যাপী তাঁর পরিচিতি মাতাহারি নামেই। অপূর্ব সুন্দরী নর্কতী মাতাহারিকে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানির হয়ে গুপ্তচর বৃত্তির অভিযোগে ফরাসি ফায়ারিং স্কোয়াডের হাতে প্রাণ দিতে হয়েছিল। যদিও তিনি আদতে গুপ্তচর ছিলেন কিনা, তার সত্যাসত্য নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গিয়েছে! তার পর বহু বছর কেটে গিয়েছে। পাল্টেছে প্রেক্ষাপট। বদলেছে এক দেশের সঙ্গে অন্য দেশের রসায়ন। কিন্তু এক দেশের অন্য দেশের উপর নজরদারি চলে আসছে একই ভাবে। আর এই চরবৃত্তিতে এখনও কাজে লাগানো হয় মনমোহিনী সুন্দরীদের। আলোচনায় নবতম সংযোজন আলিসা শেভচেঙ্কো। সুন্দরী এই রুশ যুবতী নাকি বড় ভূমিকা নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভোটের আগে হ্যাকিং কাণ্ডে। এমনই বলছে মার্কিন গোয়েন্দাদের রিপোর্ট। তবে ফারাক একটা আছে। রূপে ভুলিয়ে তিনি গোপন তথ্য হাতিয়ে নেননি। বরং মস্তিষ্ক কাজে লাগিয়ে ভেঙে ফেলেছেন আমেরিকার বহু গুরুত্বপূর্ণ গোপন কোড।
কে এই আলিসা শেভচেঙ্কো?
রিপোর্ট বলছে, আলিসা একজন দক্ষ হ্যাকার। বড় বড় কোম্পানি তাদের অনলাইন নিরাপত্তার দুর্বলতা খুঁজে বের করতে তাঁর শরনাপন্ন হয়। জোর (ZOR) নামে একটি কোম্পানি রয়েছে আলিসা শেভচেঙ্কোর। রুশ ফেডারেশনের গোয়েন্দা সংস্থার জন্য নাকি ‘টেকনিক্যাল রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট’ প্রতিষ্ঠান হিসাবে কাজ করে ‘জোর’।
আমেরিকার সাম্প্রতিক নির্বাচনে হিলারিকে হারাতে, বা ট্রাম্পকে জেতাতে, রুশ গুপ্তচরেরা কোমর বেঁধে নেমেছিলেন বলে অভিযোগ। মার্কিন গোয়েন্দাদের দাবি, স্বয়ং পুতিনের নির্দেশে এই কাজে নেমেছিল রুশ গোয়েন্দা সংস্থাগুলি। হ্যাক করা হয় বহু মার্কিন সাইট, ইমেল। এ ভাবেই ফাঁস হয়েছিল ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিন্টনের ব্যক্তিগত ইমেল।
বিদায়ী মার্কিন প্রশাসনের মতে, হিলারির ইমেজকে কালিমালিপ্ত করতেই এ সব হয়েছিল এবং মার্কিন ভোটারদের মনে এর প্রভাবও পড়েছে। রাশিয়ার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন বারাক ওবামাও। এই হ্যাকিং-এর জন্য মার্কিন প্রেসিডেন্ট ৩৫ জন রুশ কূটনীতিককে আমেরিকা থেকে বহিষ্কার করেছেন। নিউ ইয়র্ক ও মেরিল্যান্ডে রাশিয়ার দূতাবাসের দু’টি কেন্দ্র বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। বেশ কিছু তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার উপর গত সপ্তাহে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ওবামা প্রশাসন। এর মধ্যে আছে আলিসার সংস্থাও।
যদিও আলিসার দাবি, তাঁকে ও তাঁর কোম্পানিকে টার্গেট বানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। বড় অঙ্কের অর্থ বা বড়সড় কোনও ধরনের ক্ষমতার সঙ্গে তাঁর কোনও যোগসূত্র নেই- এমনই বলছেন তিনি।