সেলিনা জাহান প্রিয়ার কবিতা-হয়তো আমি
হয়তো আমি
সেলিনা জাহান প্রিয়া
এই তীব্র গতিটাকেই তোমার মাঝে আমাকে নিয়ে আসে
আমার শব্দগুলোও এক অদ্ভুত কম্পনে ঝরে পরে বৃষ্টি হয়ে
মনের বাক্য গুলো অনুভূতি ছড়িয়ে কথা বলে যায় গোপনে !
আমার গভীরতম কথা প্রকাশিত হয় তোমার জীবনের তরে ।।
আবেগের গহীন শব্দগুলো মাঝে মাঝে নয়নে ঝরে তোমায় ভেবে
এই জীবনে আমি হেরে যাই তোমার নয়নের মাঝে স্বপ্ন দেখে দেখে
কতবার বদলেছি মনের ভাবনা কিন্তু অজানা মায়ায় আবার দেখে
কেন বারবার তোমার কাছে ফিরে আসা হয় অসহায় হয়ে বলতো ?
পিঞ্জরের এপাশে আমার বলে কিছুই নেই সব নিয়েছ তুমি তোমার করে
এই ফেলে যাওয়া তোমার কত কথা বার বার ফুল হয়ে গন্ধ ছড়ায় মনে
এই ফাগুনের সন্ধ্যায় তোমায় ভেবে বিষাদের কবর দিয়েছি দুঃখ কে !!
এ জীবন খুবই ক্ষুদ্র, যে যায়, যারা যায় !! কিন্তু কেউ থাকে অপেক্ষায় ।।
বহতা নদীর পারে বসে কত ভেবেছি! জীবন তো বয়ে চলে যাবে নদীর মত !
আমার জীবনের মহাকাব্যের যেন শেষ নেই। প্রতিটি শব্দ বয়ে যায় নদীর মত
অশ্রুধারা আর পিঞ্জরের ভেতরে অগ্ন্যুৎপাতের লাভা সেও বয়ে যায় নদীর মত ।
এই তীব্র গতিটা আমার অনুভূতিমালা, আমার নিঃশব্দ নিশ্চুপ নদীর বয়ে চলা ।
আমার মনের ভিতরে বছরের পর বছর ধরে বলা শব্দগুলো এখন আমার জীবন
মনের বাক্য গুলো কেমন করে এতটা অর্থ বোধ হতে পারে বেঁচে থাকার জন্য ?
রাতের নক্ষত্রের কী গভীর যন্ত্রণা মেঘ মুক্ত আকাশে তাইতো নক্ষত্রের মেলা।
জিবনের আর নদীর পার ভাঙ্গা হিসাব মহা সমুদ্রের একেকটি জীবন্ত দ্বীপ।
জিবনে ভুলে যেতে হয় জীবনেরই জন্য তবুও জীবন ভুলে ভুলে ভাঙ্গে নদীর মতো।
এই জীবন রিক্ত ছিল আষাঢ় শ্রাবনের মতো ! আছি, থাকব, হয়ত আমার রিক্ততা,
তোমাকে হয়তো মনের অনুভবে শরতের বিকেলে মনের অজান্তে কাছে ডাকবো।
আমাকে করেছে কাব্যিক তাইতো আমি বেঁচে আছি ডানাহীন পাখীর মতন।
একদিন আমি সত্যি সত্যি তোমার হবো, তোমার মনের মতো মানুষ।
রক্ত মাংশের দেহের মানুষ হয়তো না আমার আত্মাটা ফিরে যাবে তোমার কাছে।
আমি শৈশবের মেঠোপথে ভেজা শিশিরে পা গলিয়ে ধান ক্ষেতে পাশে পাশে
আবার তোমার আঙ্গুল ধরে আনন্দে কেঁদে ফেলবো হয়তো এক সাথে।
হয়ত আমার সেই ভাবনা গুলো কেবলই আমার স্মৃতি,
অথবা আমার হাজার রাত্রের নক্ষত্রের সাথে সেই একাকী কথা বিভ্রম?
অথবা আমি নই! আমার আত্মা ফিরে আসে শৈশবের ধান ক্ষেতে একাকী
সে হয়ত অন্য কেউ না আমারি মতো কেউ অথবা আমিই!!!