মালয়েশিয়ায় ৩৫৪৬ বাংলাদেশির বাড়ি
অনলাইন ডেস্ক । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
মালয়েশিয়ায় গত ১৫ বছরে বিভিন্ন দেশের ৩৩ হাজারের বেশি মানুষ সেকেন্ড হোম (দ্বিতীয় বাড়ি) গড়ার অনুমতি পেয়েছে; যার মধ্যে সাড়ে তিন হাজারের বেশি বাংলাদেশি রয়েছে। সংখ্যার বিচারে এ তালিকায় বাংলাদেশ তৃতীয় সর্বোচ্চ স্থানে রয়েছে।
গত১৩ই জুলাই বুহস্পতিবার রাজধানী কুয়ালালামপুরে অনুষ্ঠেয় এমএম২এইচের জাতীয় কর্মশালায় দেশটির পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নাজরি আজিজ নিজেদের মাটিতে বিদেশিদের বাড়ি করে বসবাসের এই তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, ২০০২ সালে ‘মালয়েশিয়া মাই সেকেন্ড হোম’ (এমএম২এইচ) নামে বিশেষ কর্মসূচিটি চালুর পর থেকে ভালো সাড়া পাওয়া গেছে। এ পর্যন্ত ১২৬টি দেশের ৩৩ হাজার ৩০০ মানুষ এই সুবিধা নিয়েছে।
মন্ত্রী জানান, এই কর্মসূচিতে অংশীদার হিসেবে সবার শীর্ষ স্থানে রয়েছে চীন; দেশটির আট হাজার ৭১৪ জন এই সুবিধা পেয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জাপান; দেশটির চার হাজার ২২৫ জন এই সুবিধা নিয়েছে। আর তৃতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশের তিন হাজার ৫৪৬ জন এই সুযোগ নিয়েছে। এরপর যথাক্রমে যুক্তরাজ্য (দুই হাজার ৪১২ জন), ইরান (এক হাজার ৩৩৬ জন), সিঙ্গাপুর (এক হাজার ২৯৫ জন), দক্ষিণ কোরিয়া (এক হাজার ২৬৬ জন), তাইওয়ান (এক হাজার ২০৮ জন), পাকিস্তান (৯৭৩ জন) ও ভারতের (৮৯০ জন) অবস্থান।
পর্যটন ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী নাজরি আজিজ বলেন, সেকেন্ড হোম কর্মসূচির আওতায় অংশ নেওয়া মানুষরা স্থাবর সুবিধা ও রাজস্ব হিসাবে মোট এক হাজার ২৮০ কোটি মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত জাতীয় অর্থনীতিতে যোগ করেছে।
এমএম২এইচ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মুদ্রা পাচার হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে, যা দুর্নীতি দমন কমিশনের নজরে রয়েছে। দুদকের একটি সূত্র জানিয়েছে, অর্থ পাচার করে মালয়েশিয়ায় যারা সেকেন্ড হোম গড়ে তুলছে, তাদের মধ্যে রাজনীতিক, ব্যবসায়ী ও পেশাজীবী রয়েছে। বিষয়গুলো তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এক লাখ ডলার জমা দেওয়াসহ বিশেষ কিছু শর্ত পূরণ করে যেকোনো দেশের নাগরিকরা মালয়েশিয়ায় দীর্ঘ মেয়াদে বসবাসের সুযোগ পায়। প্রাথমিকভাবে ১০ বছর মেয়াদি সোশ্যাল ভিসা নবায়নযোগ্য। বিনিয়োগকারীদের আয়ের উৎস গোপন রাখে মালয়েশিয়া সরকার।
সূত্র : দ্য স্টার অনলাইন, দ্য সান ডেইলি।