জেলখানায় ৩ ধর্ষকের যত ঈদ উপহার সামগ্রী

 

 

 

 

বনানী রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের মামলার আসামি সাফাত, নাঈম ও সাদমান এই তিনজন মিলে জীবনের প্রথমবারের মতো জেলখানাতেই ঈদ করছে।

ইতিমধ্যে সাফাতের জন্য ৪ টি নতুন পাঞ্জাবি পাঠানো হয়েছে। এছাড়া কয়েকটি টি-শার্ট ও নতুন কাপড় চোপড় পাঠানো হয়েছে। নাঈম আশরাফকেও তার এক বন্ধু গিয়ে ঈদের আগে নতুন কাপড় ও ১০ হাজার টাকা দিয়ে এসেছে। সাদমানের পরিবারের পক্ষ থেকেও তার সঙ্গে সাক্ষাত করে বিভিন্ন সামগ্রী দিয়ে এসেছে।

সকাল ৮ টায় কেনারিগঞ্জের কারাগারে ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে তারা অংশ নেন বলে জানিয়েছেন একজন ডেপুটি জেলার।

তিনি বলেন, ধর্ষকরা এখন কিছুটা স্বাভাবিক হয়েছেন। তারা সাধারণ কয়েদী ও হাজতীদের সঙ্গে মিলে মিশেই আছেন। ঈদ উপলক্ষ্যে জেলখানাতে উন্নত মানের খাবার পরিবেশন করা হচ্ছে। যদিও বেশির ভাগ সময়ই ধর্ষকরা নিজেদের টাকা দিয়ে ক্যান্টিনের ভালো মানের খাবার খেয়েছেন। কারা কর্তৃপক্ষের দেয়া খাবার তারা খুব একটা কমই গ্রহণ করেছেন।

উল্লেখ্য, বনানীর রেইনট্রি হোটেলে ধর্ষণের শিকার হওয়ার অভিযোগ এনে ৬ই মে বনানী থানায় মামলা করেন নির্যাতিত এক তরুণী।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, ২৮শে মার্চ পূর্বপরিচিত সাফাত আহমেদ তার জন্মদিনের দাওয়াত দেয় এই দুই তরুণীকে। এরপর বনানীর ‘কে’ ব্লকের ২৭ নম্বর সড়কের ৪৯ নম্বরে রেইনট্রি হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয় তাদের। হোটেলের একটি কক্ষে আটকে রেখে অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মামলার বাদীকে সাফাত ও তার বান্ধবীকে নাঈম ধর্ষণ করে।

এ সময় সাফাতের গাড়িচালক বিল্লালকে দিয়ে ভিডিও করানো হয়েছে বলেও এজাহারে উল্লেখ করা হয়। মামলায় আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ, র‌্যাগমান গ্রুপের মালিকের ছেলে সাদমান সাকিফ, সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল ও গানম্যান রহমতকে আসামি করা হয়।

মামলার পর পৃথক অভিযানে সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ মামলায় রহমত ছাড়া চার আসামিই ১৬৪ ধারায় অপরাধ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!