খানসামায় পূর্ব হাসিমপুর-পাকেরহাট যাওয়ার পথে অপরিকল্পিত ব্রীজ নির্মাণ।
খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি । কাগজটোয়েন্টিফোরবিডিডটকম
খানসামা উপজেলার ৬ নং ইউনিয়ন পরিষদের উত্তর শেষ প্রান্ত পূর্ব হাসিমপুর এবং ৩ নং আঙ্গার পাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ প্রান্তে ঝাপুড়াবট নামক স্থানে ছোট বেলান নদীতে গ্রামীণ শহর পাকের হাট যাতায়াতের জন্য একটি অপরিকল্পিত কালভার্ট/ ছোট ব্রীজ নির্মাণ হচ্ছে। উল্লেখ্য, পূর্ব হাসিমপুরের এবং ৪ নং খামারপাড়া ইউনিয়নের গাঢ়পাড়া গ্রামের জন সাধারণের পাকেরহাট যাতায়াতের একমাত্র পথ হচ্ছে বেলান নদীর তীর ঘেষে মেঠো পথ। বর্ষা কিংবা খরা মৌসুমে উক্ত এলাকার বাসিন্দারা কষ্ট করে মেঠো পথ বেয়ে প্রতিদিনের বাজার খরচ এবং তাদের কৃষিজাত পণ্য দ্রব্য পাকেরহাটে নিয়ে যায়।
এছাড়াও এ এলাকার লোকজন জীবন ও জীবিকার খোঁজে বিশেষ করে স্থানীয় নাপিতদের প্রতিদিন কাঁচা রাস্তাটি অতিক্রম করে বাজারে যেতে হয়। পূর্ব হাসিমপুর এবং গাঢ়পাড়ার অর্ধেক লোককে প্রয়োজনের তাগিদে এ মেঠাপথটি নিত্যদিন পাড়ি দিতে হয়। বিশেষ করে খানসামার প্রতিটি গ্রাম কৃষি নির্ভর হওয়ার কারনে তাদের প্রতি হাটে মালামাল ভ্যানে করে পাকের হাট নিয়ে যেতে হয়। অন্যদিকে কোন লোক অসুস্থ হলেও ভ্যানে করে পাকের হাট হাসপাতালে কিংবা পুলেরহাট হয়ে রাণীরবন্দর কিংবা দিনাজপুরে যেতে হয়। এ অবস্থায় রাস্তাটি একেবারে ভাঙ্গা – কাঁচার কারনে ভ্যানের চালক ভ্যান চালিয়ে যেতে পারে না। তাকে পাকেরহাট কিংবা পুলেরহাট পাকা সড়ক পর্যন্ত পায়ে হেটে ঠেলে নিয়ে যেতে হয়। ফলে সময় এবং শ্রম উভয় বেশী খরচ হয়। এ কারনে অত্র এলাকাবাসী স্ব-উদ্যোগো সাময়িক বাঁশের তৈরি সাঁকো তৈরি করে যার উপর দিয়ে কোন রকম মানুষ ও গবাদী পশু পারাপার হতে পারে। কিন্তু সাময়িক সাঁকোটি এবং সংযোগ ছোট রাস্তাটিও প্রতিবছর বর্ষার মৌসূমে ভেঙ্গে যায়।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে এলাকার জগেন্দ্র নাথ, জীতেন, করুনা, নরেশ এবং আরো অনেকে উদ্যোগী হয়ে যথাক্রমে ৬ নং, ৩ নং, ৪ নং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদককে ব্যাপারটি মৌখিক ও লিখিত ভাবে অবহিত করে। ফলশ্রুতিতে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে বেলান নদীর উপর ঝাপুড়াবট (গুচ্ছগ্রাম) পাকা সড়কে ১৫ মিটার দৈর্ঘ্যের একটি ছোট্ট ব্রীজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয় এবং নির্মাণ হচ্ছে। কিন্তু ব্রীজটি পরিমাপে একেবারে অপ্রতুল হওয়ায় এলাকাবাসীর সংশয়ের অন্ত নাই। কারন বর্ষায় এ নদীতে স্রোতের প্রবল তোড়ে সাঁকোসহ বাঁধ রাস্তাটি ভেঙ্গে যায়। সেখানে মাত্র ১৫ মিটারের ছোট ব্রীজটি কিভাবে সংযোগ রক্ষা করবে তা নিয়ে এলাকাবাসীর হাজারো প্রশ্ন। প্রচন্ড পানির স্রোতে ব্রীজটি ভেঙ্গে না গেলেও বাঁধটি যে থাকবে না তা এলাকাবাসী নিশ্চিত।
অত্র এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা করুনা, কার্তিক, নরেশ, দীলিপ, নৃপেন প্রতিবেদককে জানান, ব্রীজটি নির্মাণ করেও যদি সংযোগ সড়কটি না থাকে, তাহলে এটি থেকে কি লাভ? ব্রীজটির নির্মাণ ঠিকাদার মেসার্স তসলিম ট্রেডার্স, পাহারপুর, দিনাজপুর এর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি। পরে নির্মাণ শ্রমিকদের সাথে কথা বললে তারা জানায়, তাদের যে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেই অনুপাতে তারা কাজ করছে। এর বেশী কিছু তারা জানাতে পারেনি।
এ ব্যাপারে স্থানীয়রা আশু পদক্ষেপ গ্রহন করার জন্য মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।