অর্গানন ভিত্তিক চিকিৎসা জীবনীশক্তি- রোগ নির্ণয় ও ওষুধ খুঁজে পাওয়া
অর্গানন ভিত্তিক চিকিৎসা
জীবনীশক্তি- রোগ নির্ণয় ও ওষুধ খুঁজে পাওয়া
৩নং সূত্রই সূচীপত্র
রোগ সম্পর্কে জ্ঞান , ওষুধে আরোগ্য ক্ষমতা সম্পর্কে জ্ঞান, ঔষধ নির্বাচন , যথার্থ মাত্রা , পুন: প্রয়োগ , বাঁধাগুলো, বাঁধা অপসারণ , ন্যায় ও যুক্তিসঙ্গত চিকিৎসক।
ডা. আওলাদ হোসেন
জীবনীশক্তির প্রাথমিক ধারণা লাভ করার পর সূত্র ১৭২ থেকে রোগ নির্ণয় ও ওষুধ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি এসে যায়। কিন্তু যারা অর্গানন বুঝতে পারেন না বা প্রয়োজন মনে করেন না বলে প্রচার করে থাকেন তারা যে জ্ঞানের উপর নির্ভর করেন তা অবশ্যই কাকতালীয়ভাবে এই সকল সূত্রের উপর নির্ভর করেন এটাই প্রচলিত বিশ্বাস বা সংস্কার। এখন এই সমস্ত সূত্র ব্যাখ্যা করা আর একটি বই রচনা করা সমান। পড়ার ডরে যারা এই পথ বন্ধ করে দিয়েছেন তারা অবশ্যই এ লেখাকে গ্রহণ করতে রাজী হবেন না। কিন্তু ভবিষ্যৎ প্রজন্ম কি করবে। এটাইতো রোগী ভাল করার ব্যাপার ব্যবসা এখানে বেমানান। হোমিওতে মূল তত্ত্ব রোগের সাথে ঔষধের লাক্ষণিক সাদৃশ্য। যেমন সিষ্ট টিউমার পলিপাস ইত্যাদি উপজন্মগুলো দেহিক অসুস্থ্যতার ফলমাত্র। কিন্তু সেই অসুস্থতা এর ফল দ্বারা নিরূপন করা যায় না। রোগীর প্রকৃত অসুস্থতা বা ঝরপশহবংং প্রকাতি হয় রোগের সাধারণ এবং চরিত্রগত লক্ষনের মাধ্যমে। একমাত্র রোগের চরিত্রগত লক্ষণ আবিস্কারের উপর নির্ভর করে চিকিৎসার সফলতা এ সংকট নিরসন করতে পারলে আর কোন সংকট থাকে না যদি ঔষধ সংকট না থাকে। রোগ নির্ণয় পদ্ধতি খুবই জটিল এবং দেহ প্রকৃতির উপর নির্ভরশীল। জীবনীশক্তি যদি রোগটিকে যথাযথভাবে প্রকাশ করতে না পারে সে ক্ষেত্রে হোমিওপ্যাথি কোন সাহায্য দিতে পারে না। এইডস, ক্যান্সার এ জন্যেই দূরারোগ্য জীবনীশক্তি প্রতিপলে রূপ বদলায়। জীবনীশক্তি যখন কোন ড্রাগের অধীন হয়ে পড়ে তখন লক্ষণ প্রকাশে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায়। রোগীকে সর্বাবস্থায় পর্যবেক্ষণ না করে বলা যাবে না যে, রোগীর মধ্যে বৈশিষ্টপূর্ণ কোন লক্ষণ নেই। রোগের নামের উপর ভিত্তি করে কোন ওষুধ দেয়া যাবে না। যেমন ক্যান্সারে কার্বোএনিমেলিস দেয়া যাবে না। সদৃশ লক্ষণ না থাকলে ফল আরো খারাপ হবে। বর্তমানে কার্বোএনিমেলিস এর লক্ষণ না থাকায় কাজ হবে না, উপরন্ত পরবর্তীতে কার্বোএনিমেলিস এর লক্ষণ প্রকাশে বাধাগ্রস্ত করবে। বরং রোগীর ঘুম হয় না, ক্ষুধা, মান্দ্য, বাহ্য অপরিস্কার, খিটখিটে মেজাজ এ ক্ষেত্রে নাক্সভোম দিয়ে চিকিৎসা শুরু করলে কেসটি পরিস্কার হয়ে আসবে। অথবা শান্ত মেজাজ গরম কাতর, পিপাসা নেই রোগী পালস হতে পারে। কঠিন কোন ওষুধ না দিয়ে সাদৃশ্যের কারনে বেলেডোনা দিয়েও শুরু করা যেতে পারে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে চিকিৎসক মনোযোগ সহকারে রোগী পর্যবেক্ষণ করে না বলে প্রকৃতপক্ষে লক্ষণ বর্তমান থাকা সত্ত্বেও চিকিৎসক তা আবিস্কার করতে পারে না। রোগের লক্ষণ প্রকাশ সম্পূর্ণ রূপে জীবনীশক্তির সামর্থের উপর নির্ভর করে। সূত্র ৮৪ থেকে ৯৪ পর্যন্ত রোগ পর্যবেক্ষনের জন্য যে সব নির্দেশনা দিয়েছেন তা খুব মনোযোগ সহকারে অনুসরণ করতে হবে। অস্বচ্ছ ও অস্পষ্ট লক্ষণ দৃস্টিগোচর হওয়া কঠিন। মানুষকে রোগ থেকে প্রতিরক্ষা দেয়া, সুস্থরাখা, রোগে লক্ষণ প্রকাশ করা জীবনী শক্তির শাশ্বত দায়িত্ব এটা ঐশ্বরিক অন্যথায় চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হত না, সূত্র-১৪। এলোপ্যাথি ও হোমিওপ্যাথি দুই ডাক্তারই এই কাজটি করেন, এলোপ্যাথি প্যাথলজির সাহায্য নিয়ে থাকেন এবং হোমিও প্যাথলজি পড়েন বটে কিন্তু রোগীলিপি তৈরী করেন সূত্র ৮৩ থেকে ১০৪ পর্যন্ত এবং রোগীর অসাাধারণ ও চরিত্রগত বৈশিষ্টবের করেন সংশ্লিষ্ট রোগসহ জটিল রোগে সাধারণ ডাক্তারগণ Half homeopath রোগের প্রকৃত সুপ্তগুপ্ত লুক্কায়িত অভিজ্ঞতা ও চাতুর্যপূর্ণ বিষয়টি গোয়েন্দার মত জেনে নিতে পারেন বলেই একজন ঝঁষঢ়যধৎ দেন অপরজন চংড়ৎরহঁস দেন, একটি কাজ করে অপরটি করে না, একটি বাঁধা দূর করে অপরটি সাদৃশ্য হয়ে রোগ সারায় কারণ রোগে কি ওষুধ দিতে হবে ভেষজ পরীক্ষাকালে সুস্থ দেহে নিয়মিত ঔষধ সেবনে যে সমস্ত রোগ লক্ষণ দেখা দেয় অসুস্থ রোগীকে নিয়মমত সেই ঔষধ খাওয়ালে রোগী ভাল হবে এটাই ংরসরষধ ংরসরষরনঁং পঁৎবহঃবৎ তত্ত্ব যা ডাক্তার হ্যানিম্যানের (জার্মান) বিস্ময়কর আবিস্কার যা এলোপ্যাথগণ ডঐঙ সহ অবিশ্বাস এবং অস্বীকার করে বসে আছেন যা স্রষ্টার একটি অবদান যা স্বল্প খরচে রোগীর বর্ণনার উপর ভিত্তি করে দেয়া হয় যা বস্তুর গুণকে সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম স্বল্প মাত্রায় ঝাঁকির মাধ্যমে প্রস্তুত করা হয় এবং সেবন করতে দেয়া হয় এবং এটা অদৃশ্য শক্তি একমাত্র জীবন্ত মানুষের দেহ ও আত্মার জন্য প্রযোজ্য (গরহফ) যা জীবনী শক্তি হিসেবে এতক্ষণ পর্যন্ত উল্লেখ করা হয়েছে। বস্তুবাদীদের সংগে এখানেই পার্থক্য, সার্জারীর ব্যাপার হাজার হাজার টাকার অপারেশন যা D.H.M.S বা BHMS গণ ও বিদ্যা থাকলে করতে পারেন। রোগের নতুন লক্ষণ এবং আনুষঙ্গিক বৈশিস্ট সমূহ যা সদ্য প্রয়োগকৃত ঔষধের কারনে সৃষ্ট। সার্জারীর প্রয়োজনীয়তা ১৮৬ নং সূত্রে সুন্দরভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে যা সহজেই বুঝা যায়। সূত্র-২০৪
Organon aphorism 204:
If we deduct all chronic affections, ailments and diseases that depend on a persistent unhealthy mode of living (77), as also those innumerable medicinal maladies (V. (74)) caused by the irrational, persistent, harassing and pernicious treatment of diseases often only of trivial character by physicians of the old school, most the remainder of chronic diseases result from the development of these three chronic miasms, internal syphilis, internal sycosis, but chiefly and in infinitely greater proportion, internal psora. Each of these infections was already in possession of the whole organism, and had penetrated it in all directions before the appearance of the primary, vicarious local symptom of each of them (in the case of psora the scabious eruption, in syphilis the chancre or the bubo, and in sycosis the condylomata) that prevented their outburst; and these chronic miasmatic diseases, if deprived of their local symptom, are inevitably destined by mighty Nature sooner or later to become developed and to burst forth, and thereby propagate all the nameless misery, the incredible number of chronic diseases which have plagued mankind for hundreds and thousands of years, none of which would so frequently have come into existence had physicians striven in a rational manner to cure radically and to extinguish in the organism these three miasms without employing local remedies for their corresponding external symptoms, relying solely on the proper internal homeopathic remedies for each. (See note to (282).)
সামান্য ব্যাখ্যা- প্রকৃত চিররোগ তিনটি মায়াজম-সোরা, সিফিলিস, সাইকোসিস সংক্রামিত হয় গোটা দেহে। ২৭০: শক্তিবৃদ্ধিকরণ নতুন পদ্ধতি-৫০ সহস্রতমিক যা ঔষদের বস্তু অংশ ৫০,০০০ গুণ কমে যায়। আইনস্টাইনের বস্তু ও শক্তির যে সমীকরণ এখানে বস্তুর কোন অস্তিত্ব Dynamization এবং আলোড়ণ সৃষ্টির মাধ্যমে শক্তির সমীকরণ আবিস্কার করা হয়েছে যা অদৃশ্য সাধনার বিষয়। এর একটি