সেলিনা জাহান প্রিয়ার গল্প: ‘অ-মানব’-(৩৪ তম পর্ব )
অ-মানব’-৩৪ তম পর্ব
———————- সেলিনা জাহান প্রিয়া
আমজাদ সাহেব আজ সারা রাত ঘুমাতে পারছে না। চিন্তায় পড়ে গেছে সে কি করবে। তার ছেলে জানতে চায় আজ মিতার পরিচয়। কিন্তু মিতার পরিচয় তাঁকে দেয়া যাবে না। রেবেকা বেগম বলল কি ঘুমাবে না। এত রাত তো কোনদিন জাগো না। আমার ঘুম আসছে না। তুমি ঘুমিয়ে যাও। আমার ছেলে আমার মেয়ে, মেয়ের জামাই সবাই বিষয়টা জানলে কি হবে? একবার ভাবছ!!
—- কেন ভাববো না। তুমি শুধু শুধু ভাবছ। আসো ঘুমাতে কিছুই হবে না।
—- রেবেকা মেয়েটা কে লিখা পড়া শিখানো উচিৎ ছিল।
—- যাক সে কথা। দূরে কোথাও একটা ছেলে দেখে বিয়ে দিয়ে দাও।
—- আচ্ছা তাই করতে হবে।
পারু তার বিছানায় শুয়ে শুয়ে পত্রিকা পড়ছে তার স্বামী দুলাল এসে বলল পারু একটা ভাল ব্যবসা হাতে পেয়েছি। কিছু টাকা ম্যানেজ করে দাও।
—- টাকা কত?
—- বড় ব্যবসা অনেক টাকা লাগবে। তুমি বাবার কাছ থেকে একটু ম্যানেজ কর
—- দেখ আব্বু তো এই পর্যন্ত অনেক টাকা দিয়েছে।
—- হ্যাঁ দিবে তোমার বাবার কি টাকার অভাব আছে।
—- আচ্ছা দুলাল টাকা থাকলেই দিতে হবে?
—- আরে এই টাকা থেকে যে ব্যবসা হবে তা তোমার আমার হবে।
—– না,আমি বাবার কাছ থেকে টাকা নিতে পারব না।
—- পারু টাকা আমার লাগবে।
— সরি আমি পারব না।
জানি তো কেন পারবে না। আজ কাল তো কোন কথা শুনা না। তোমাদের বাড়িটা দিন দিন ভুতের বাড়ি হতে চলছে।
—— যাই হউক আমি টাকার কথা বলতে পারব না।
দুলাল একটু চিন্তায় পড়ে গেল। কি করে টাকা নেয়া যায়। টাকা তার লাগবেই। রাজ সারারাত বাবার সব ডায়রি পরেছে কিন্তু মিতার কোন তথ্য নেই। গত দুই দিনে সে রাজ অবাক হচ্ছে যে মিতা মায়ের পাশে রুমে থাকে। জামা কাপড় এর সব কিছু মিলে একটা পরিবর্তন হয়েছে। তার বাবা মা কেন হটাৎ মিতার জন্য এত কেয়ারী হয়ে উঠল। যাই হউক রাজ মনে মনে চিন্তা করে বলল মিতা রহস্য বের করতে হবে। কিন্তু কি করে? লায়লা মায়ের রুমে এসে বলল মা তোমাকে খুব চিন্তিত মনে হচ্ছে। রেবেকা বেগম বলল না, কোন চিন্তা না মা। কি করছ? কিছু লাগবে? না মা কিছু লাগবে না। মনে হয় বাবা সারারাত ঘুমাই নাই। তাই না মা। হ্যাঁ রে লায়লা বয়স হলে যা হয়। রাজ কোথায় বলতে পারিস। নাস্তা খেয়েছে কিনা জানিস। না মা রাজ কিছুই খায় নাই। মনে হয় খুব রেগে আছে। আচ্ছা লায়লা যা পড়ে আসিস একটু অ-মানব কে ডেকে দে। লায়লা কোথাও অ-মানব না পেয়ে নিজের রুমে এসে দেখে তার স্বামী মোহন সাহেব আর অ-মানব কি নিয়ে জানি হাসছে।
—- এই যে কি হাসা হাসি হচ্ছে। অ-মানব বলল বড় আপা একটা বিষয় আপনি জানলেও হাসবেন।
—- আমার হাসা লাগবে না। মা তোমাকে ডাকছে। তুমি যাও। অ-মানব চলে যায় লায়লা তার স্বামী কে বলে কি নিয়ে হাসছ?
—- তোমাদের বাসার কাজের মেয়ের প্রমোশন দেখে। অ-মানব বলল মিতা যদি সঠিক প্রমোশন পায় তাহলে নাকি আমার ঘর জামাই থাকা শেষ।
—- কেন মিতার প্রমোশনের সাথে তোমার ঘর জামাই থাকার কি সাথে কি সম্পর্ক।
—- আরে অ-মানব রাতে নাকি আকাশের তারা দেখে। প্রতিটা তারা নাকি এক একটা
মানুষ। মিতা হল এমন এক তারা তাঁকে নাকি কালো একটা মেঘ ঢেকে রেখেছে।
—- তুমি ঐ পাগলের কথা বিশ্বাস কর। যে মানুষের থাকা খাওয়া ঘুম কোন নিয়ম নাই। ও কি কোন মানুষ।
—- হাঠাৎ তুমি ওর উপরে রাগ করছ কেন।
—- রাগের মত কথা বললে রাগ করব না। একটা কাজের মেয়ে। গায়ের রং একটু ফর্সা। খুব নরম গলায় কথা বলে দেখে সবাই তোমরা প্রেমে পড়ে যাও।
—- আমি তো প্রেমে পড়ি নাই। প্রেমে পরছিল তোমার ছোট দুলা ভাই।
—- থাক তোমার আর সাফাই গাইতে হবে না। আমি জানি তোমরা দুজনেই একের নায়ের মঝি। এক সাথে তাল মিলিয়ে চল। মোহন আর কোন কথা না বলে চুপ হয়ে যায়। কারন লায়লা রাগ হলে আবার সমস্যা।
অ-মানব কে রেবেকা বলল – তুমি আলি কে কিছু বলেছ।
—- জি আম্মা। আলি একটু লোভী কিসিমের মানুষ। মিতার দিকে কেমন কেমন করে নাকি তাকায়। আবার মিতা কে বিয়ে করতে চায়। আমি তার লোভ টাকে একটা ভাল কাজে লাগালাম।
—– কেমন কাজে লাগালে?
—– এই যে আমাদের দারোয়ান জাফর কে গাড়ি চালনা শিখালাম। এখন আর ও ছুটি নিলে কোন সমস্যা নাই।
—– ভাল। আচ্ছা রাজ আমার ছেলে তোমাকে কিছু বলে।
—- না। আম্মা জান। শুধু মিতা রহস্য বলে বের করবে বলে।
—- মিতা আবার কি রহস্য। মিতা কে সিলেট রেল স্টেশন থেকে পেয়ে আনি আমি আর তোমার খালু এটা তুমি ওকে বলে দিও। আর কিছু না। এই মিতা রহস্য পোকা ওর মাথা থেকে বের কর। ওকে অ-মানব।
— জি আম্মা জান। আচ্ছা বাগানের কাজ তো এখন তোমার খালু মাঝে মাঝে বাহির
থেকে লেবার এনে করতে পারবে। তাহলে ভীমরুল খাঁ কে দেশে পাঠিয়ে দাও।
আমার জমি আর খামার দেখার জন্য।
—- জি আম্মা।
যাও দেখ কি কাজ আছে আর রাজের দিকে খেয়াল রাখ?
—- জি আম্মা।
রাজ খুব অবাক হয়ে অ-মানব কে। আমি জিবনে ভাবতেই পাড়ি না। আমাদের বাড়িতে কোন রহস্য আছে। অ-মানব হেসে বলল ছোট সাহেব ভীমরুল খাঁ কাল গ্রামে চলে যাবে।
—- কেন?
—- আপনার মা চাইছে। তবে মনে হয় গ্রামে পাঠানো আপনার আম্মুর কোন রহস্য আছে।
—- তাই মনে হয়। হ্যাঁ এই বাড়িতে মিতা আসার পড়েই ভীমরুল খাঁ আসে। এই ভীমরুল খাঁ এই বাড়িতে থাকে কিন্তু সে কারো সাথে কথা বলে না। প্রতিমাসে বাড়িতে যায়।
—- অ-মানব আমি মিতা কে জানতে চাই।
—– আপনি ভীমরুল খাঁ এর সাথে গ্রামে জান। তবে আপনার মা যেন না জানে। বলবেন ছবি তুলার কাজে বাহিরে যাচ্ছেন। গ্রামে গেলে একটা রহস্য বের হবেই মনে হয়।
—- অ-মানব আমি ভীমরুল খায়ের আগেই গ্রামে যাব। আর তুমি ঢাকা থাক। ভীমরুল কাল যাবে আমি আজ যাব। রাজ তার মায়ের কাছে গিয়ে বলল –মা আমি ছবি তুলার জন্য একটু ঢাকার বাহিরে যাচ্ছি কয়েক দিনের জন্য।
—- আচ্ছা যাও বাবা। কত টাকা দিব। লাগবে না। মা। কার্ড থেকে তুলে নিব।
—- তা অ-মানব কে নিয়ে যা।
—- অ-মানব কে নিলে তোমাদের রান্না কে করবে?
—- আরে সব এখন পাড়ি।
—- না মা পাগল নিয়ে কোথাও যায় না। আমি পাগল থেকে দূরে থাকতে চাই।
রাজের মা একটু হেসে বলল – এই তো আমার ভাল ছেলে। যাও বাবা। রাজ মিতা কে ডেকে বলল আমি বাহিরে যাব মিতা। আমার কাপড় ভ্যাগ গুছিয়ে দে।
— মিতা বলল আচ্ছা সব ঠিক পাবেন ভাইজান।।
খুব গরম পরেছে রাজ চলে গেল বের হয়ে, আমজাদ সাহেব একটু খুশি হল যে ছেলে
মিতা রহস্য থেকে বের হয়ে এসেছে। মিতা সন্ধ্যার সময় ছাদে চলে যায়। আলি বাগান থেকে মিতার দিকে চেয়ে আছে। মিতা আলি কে দেখে মনটা খুব খারাপ করে ফেলে। মিতা আলি কে মনে হয় মন থেকে পছন্দ করে না।
অ-মানব মিতা কে বলল — মিতা যে সুন্দর গরম পরেছে একটা গান গাও। তুমি গান শুরু করলেই বৃষ্টি শুরু হবে। মিতা হেসে বলল অ-মানব ভাই তুমি চাও আমি সব সময় একটু হাসি খুশি থাকি তাই না। অ-মানব একটু হেসে বলল হা তাই চাই। মিতা বলল আমি একটা বিষয় জানি কিন্তু অ-মানব।
— কি বিষয় জান মিতা।
— আপনি আসার পড় আমার ঘর বদল। দুই দিন আমাকে রক্ষা করা। এই গুলো কিন্তু আমি ইচ্ছা করে করি।
—- হ্যাঁ। সেটা আমি জানি মিতা।
—- তবে কেন আমাকে রক্ষা করতে আসেন।
—- এই জন্য আসি কারন আমি যে কোন সুন্দর গাছ কে নষ্ট হতে দেই না। আমি চাই প্রকৃতির নিয়মে গাছে ফুল আসুক ফল হউক।।
—- অ-মানব আসলে তুমি কে?
—- আমি অ-মানব। মনে কর হাজার বছর আগে তুমি আমার মেয়ে ছিলে।
—- দিলে তো সব শেষ করে। তুমি তো জান না। আমি আজন্ম পাপি। আমি আমার শরীরে পাপের রক্ত বয়ে চলি।।
—- মিতা এভাবে বলে না। মানুষের জন্য তার নিজের ইচ্ছায় হয় না। জিনি মানুষ
সৃষ্টি করেছেন সেই ভাল জানে। আমাদের জন্ম আমাদের হাতে না। তবে আমাদের
জীবন কে সুন্দর ভাল করার দায়িত্ব আমাদের।
—- অ-মানব এই জীবন দিয়ে কি হবে, জন্মের পাঁচ বছরেই আমি জানি আমার পিতা
নেই। এই আমজাদ সাব আমাকে গ্রাম থেকে নিয়ে আসে। আজ গ্রামের কোন কিছুই মনে নেই। শুধু মনে আছে একটা গালি হারামজাদি ঘরের হারামজাদি।
— অ-মানব বলল তুমি ছাদে থাক। তুমি কে আমি জানি। কিন্তু আমার চেয়ে যার বেশি জানা যার দরকার সেই একদিন জানাবে।
অ-মানব ছাদ থেকে নিজের মত করে আস্তে আস্তে নিচে নেমে আসে। বাড়ির সামনে বাগানে যায়। রাত ৯ টা আমজাদ সাহেব আর রেবেকা বেগম বাগানে আসে। আমজাদ সাহেব বলে আরে অ-মানব তুমি বাগানে রাতে কি কর। এই যে ড্রেন একটু পরিষ্কার করে দিচ্ছি।
—- কেন পরিষ্কার করছ।
—- রাতে বৃষ্টি আসবে স্যার।
—- আমজাদ সাহেব একটু হেসে বলে আকাশ পরিষ্কার বৃষ্টি হবে কিভাবে।
—- স্যার মানুষের মন আর আকাশের রং এদের মধ্যে একটা দারুন মিল। এই মন আর প্রকৃতি এদের বুঝা খুব কষ্ট। রেবেকা বলল কাজ করছ ভাল তা ভীমরুল কে বললে তো করে দিত।
—- আম্মাজান ভিমরুলে তো একটু আগে চলে গেল।।
—- অহ আমি ভুলে গেছি। আমি তো যেতে বলেছি।
—- আমি বললাম ছাতা নিতে। আমাকে বলে মাথা নষ্ট লোকের সাথে কথা বলি না। তবে একটা কথা বলে গেছে। আমি নাকি তার অনেক বড় উপকার করেছি। তার মেয়েটা বড় হয়েছে। এখন তার গ্রামে থাকা দরকার।।
রেবেকা বেগম অ-মানব কে বলল আচ্ছা অ-মানব রাজ কোথায় গেছে বলে মনে হয় তোমার?
—- আম্মা জান মানুষ পাখি অপেক্ষা খারাপ। কারন পাখি ঠিকানা জানা যায় কিন্তু মানুষের না। মানুষ যদি বলে আমি পূর্বে যাব তবে যায় পশ্চিমে। এটা মানুষের একটা জন্ম থেকে একটা চরিত্র। আমজাদ সাহেব একটু হেসে বলল তোমার ছেলে কোথায় যায় কি করে এই সব এর কাজের ছেলের কাছে বলে। তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছ। অ-মানব একটু হেসে বলে মানুষের চিন্তার জন্ম স্বার্থ এর ভয় থেকে।
—- এটা কেমন কথা অ-মানব আমার ছেলের সাথে আমার কি স্বার্থ।
— আম্মা জান আপনার সন্তান এটাই তো আপনার স্বার্থ। কারন কোথায় গেল কি করল। সব সন্তানের জন্য সব পিতা মাতার চিন্তা হয়। আমজাদ সাহেব বলল ঠিক বলেছ অ-মানব। সন্তানের জন্য তো চিন্তা হবেই। তবে একটা চমৎকার কথা বলেছ অ-মানব মানুষের সকল চিন্তা স্বার্থ আর ভয় থেকে।
—- খালু জান এই দুনিয়ায় যার যত ভয় তার মধ্যে তত সততা। যার মধ্যে যত ভয় কম তার মধ্যে লজ্জা কম। মানুষ সামজিক পরিবার আর ধর্মের কথা চিন্তা করে ৭০% খারাপ আজ কম করে। রেবেকা বেগম একটু ধমক দিয়ে বলল কথা কম বল অ-মানব। আমার কোন ভয় নাই। তোমাকে একটা কাজ করতে হবে।
—- কি কাজ আম্মা জান।
—- মিতার জন্য এমন একজন পাত্র দেখবে যে যার পিতা মাতা নাই। গরীব ও অল্প শিক্ষিত। গাজিপুর আমার একটা বাড়ি আছে। ঐ বাড়িতে ছেলে ম্যানেজার হিসাবে থাকবে। মিতা কে নিয়ে ঐখানেই সংসার করবে। এই সপ্তাহে মধ্যে একটা ছেলে লাগবে।
—- আম্মা জান গাড়ি চালক আলি ছেলে টা কি কোন সমস্যা। হ্যাঁ সমস্যা আছে। আলির বাড়ি আমাদের এলাকায়। আর আমি মিতা কে নিজ কন্যার মত মনে করি। আলির বাবা একজন ডাকাত। আমাদের এলাকায় গফুর ডাকাত হিসাবে চিনে। এখন ঐ ডাকাত আমার গ্রামের জমি দেখাশুনা করে। মিতা কে আলির কাছে বিয়ে দিলে পড়ে আমার গ্রামের জমি নিয়ে সমস্যা হবে। অ-মানব হাসতে লাগলো। আমজাদ সাহেব কি হাসছ কেন অ-মানব।
— এই যে ভয়ের একটা চরিত্র দেখলাম আম্মা জানের নিকট। আম্মা জান নিজের ভবিষ্যৎ আর সন্তানের কথা চিন্তা করে একটা পরিকল্পনা করেছে। এটাই স্বার্থ।
— তোমাকে আমি যা বললাম তাই কর অ-মানব। আর অন্য কোন চিন্তা কর না। আমজাদ সাহেব কে নিয়ে রেবেকা বেগম ঘরে চলে যায়।
ভিমরুলের ঘরে যায় অ-মানব। ভিমরুলের খাটে বসে। চোখ বন্ধ করে বসে থাকে। মিতা নিজ ঘর থেকে বের হয়ে রাতে ছাদে যায়। মনের সুখে একটা গান গাইতে থাকে——-
আজি ঝরো ঝরো মুখর বাদল দিনে
জানি নে, জানি নে
কিছুতেই কেন যে মন লাগে না।।
এই চঞ্চল সজল পবন-বেগে
উদ্ভ্রান্ত মেঘে মন চায়
মন চায় ঐ বলাকার পথখানি নিতে চিনে।।
মেঘমল্লারে সারা দিনমান
বাজে ঝরনার গান।
মন হারাবার আজি বেলা
পথ ভুলিবার খেলা
মন চায় …মন চায় …
হৃদয় জড়াতে কারো চির -ঋণে
আজি ঝর ঝর মুখর বাদল দিনে . . .
জানি নে জানি নে … কিছুতে কেন যে মন লাগে না।
তখন রাত প্রায় বার টা বাজে। মিতার গান শেষ হয় আর বৃষ্টি শুরু হয় বাতাস আর ঝড় হাওয়ার সাথে। অ-মানব ঘর থেকে বের হয়ে আকাশের দিকে চেয়ে বলে হে আকাশ আজ তুমি সত্যি মিতা মেয়েটির জন্য কান্না করছ আমি জেনে গেছি।।
চলমান ———-
অ-মানব-প্রথম পর্ব অ-মানব-দ্বিতীয় পর্ব অ-মানব-তৃতীয় পর্ব অ-মানব-চতুর্থ পর্ব