সেলিনা জাহান প্রিয়ার গল্প: ‘অ-মানব’-(৩৮ তম পর্ব)

 

অ-মানব-৩৮-তম-পর্ব

———————– সেলিনা জাহান প্রিয়া

জেলার সাব গাড়ি থেকে নেমে অ-মানব কে বলল আমার সাথে বাসায় চল । তোমার টাকা আমি দিব । কারন তুমি বাজিতে জিতে গেছ । অ-মানব একটু হেসে বলল স্যার এই ঠিকানায় টাকা গুলো পাঠিয়ে দিবেন । আসি স্যার মানুষ মাত্র ভুল হয় । যে ভুল গুলোর জন্য ক্ষমা চায় আর অনুতপ্ত হয় সেই মানুষ আর যে ভুলের জন্য ক্ষমা চায় না সেই ইবলিশ । ভাল কিছু করুন । আসি স্যার । বলে অ-মানব হাটতে থাকে । জেলার সাহেব ঠিকানা ভাল করে দেখে । অ-মানব হাটতে হাটতে চলে রেল ষ্টেশন । ময়মনসিংহ রেল ষ্টেশনে এসে একটা লম্বা টেবিলে ঘুম দেয় । খুব গরম পরেছে । মানুষ গরমে খুব অস্থির । একটা লম্বা ঘুম শেষ করে উঠল
অ-মানব । পাশে বসা একজন বলল সেই সকালে দেখলাম ঘুমালেন আর উঠলেন এখন । কয়টা বাজে জানেন ? কোথায় যাবেন ? আপনি মানুষ না পাগল ? এই গরমে একটা সুয়েটার পড়ে আছেন ? অ-মানব একটু হেসে বলল – ভাই আমার জুতা গুলো কে নিল?
—– দেখেন এটা রেল ষ্টেশন । যে সুযোগ পায় সেই সুযোগ কাজে লাগায় ।
—— অ-মানব বলল তাই । যাই হউক যে ছেড়ে যাবে তাকে কি রাখা যাবে ?
—— বাহ দারুন কথা । জুতা কি কাউকে ছেড়ে যায় । মানুষ নিয়ে যায় । কি বললেন না। কোথায় যাবেন ?
—– দেখুন আমি যে কোথায় থেকে এসেছি সেটাই জানি না। যেহেতু আগমনের ঠিকানা জানি না। তাই যাবার ঠিকানা খুঁজি না।
—- আপনি মনে হয় পাগল ?
—– দেখুন পাগল আমি এটা সত্য ? তবে আমি যে পাগল না এটা প্রমান দিতে পারব । কিন্তু আপনি ভাল মানুষ এটা কি ভাবে প্রমাণ দিবেন ?
—– ভাল মানুষের প্রমাণ লাগে না।
—– অহ আপনি বলতে চান যে ভাল মানুষ দেখলেই চেনা যায় ।
—— হ্যা ভাল মানুষ দেখলে চেনা যায় ।
—— তাই আপনি বিশ্বাস করেন ?
—— আপনি বললেন আমি পাগল । আচ্ছা তাহলে দেখি আপনি ভাল কি না। সকাল থেকে আপনি দুইটা ব্যাগ হাতে নিয়ে চলে গেলেন । দুই জন মানুষের আপনি চুরি করলেন । আমার জুতা গুলো পুলিশ কে দিলেন ।
—— আপনি বলতে চান আমি চোর ।
—— দেখেন রাগ করেন কেন ? পাগল কে পাগল বললে বিশ্বাস করে না। চোর কে চোর বললে বিশ্বাস করে না।
—– ধুর মিয়া আপনি পাগল । আমাকে চোর বললে আপনাকে পুলিশে দিব ।
—— তাই দেন ।
—— দাঁড়ান পুলিশ নিয়ে আসছি ।
—— নিয়ে আসতে হবে না। আমাকে সাথে নিয়ে চলেন ।
অ-মানব কে নিয়ে এই মানুষটা খুবই রাগ করে তাকে জি আর পি থানায় নিয়ে গেল । জি আর পি থানার দারগা নুরু মিয়া পান খাচ্ছে । মুখে পানের বুটা থেকে চুন মূখে দিচ্ছে । এমন সময় অ-মানব কে নিয়ে নুরু মিয়ার সামনে এসে বলে স্যার দেখুন এই লোকটা আমকে চোর বলছে । আমি নাকি স্টেশনের রেস্ট রুম থেকে দুইটা ব্যাগ চুরি করেছি । আর তার জুতা নাকি আমি নিয়েছি । নুরু দারগা অ-মানবের দিকে চেয়ে
বলে ঐ মিয়া কি নাম ? বাড়ি কোথায় ? এই খানে কি করতে আইছ ? এই লোক কে কি তুমি চেন ? অ-মানব বলল স্যার আপনি পুলিশ। একমাত্র পুলিশেই চোর চিনে ।
—- থাম মিয়া । তোমাকে জ্ঞান দিতে হবে না। এই খানে কে আছ ? এই লোক টাকে লকআপে নিয়ে যাও । অ-মানব একটু হেসে বলে আপনি আমার কথা না শুনেই আমাকে লকআপে নিচ্ছেন । এটা কি ঠিক ?
—– এই ব্যাটা তোর কথা কি শুনব ।আয়নায় মুখ দেখছস ? পাগল কোথাকার । একজন ভদ্রলোক কে জুতা চোর বলেন । এর মধ্যে ওসি সাব থানায় প্রবেশ করল । অ-মানব বলল স্যার আমার জুতা গুলো এই ভদ্রলোক চুরি করেছে । আপনার দারগা আমার কথা না শুনে আমাকে এরেস্ট করছে । ওসি বলল আপনি থামুন । একটা ব্যাগ চুরি হয়েছে । এক জর্জ সাহেবের । এটা নিয়ে খুব চিন্তায় আছি । কি করি ভেবে পাচ্ছি না।

—— অ-মানব বলল স্যার ব্যাগটা কি লাল আর চামড়ার ?
—– হ্যা
—– স্যার এইটা এই লোক নিয়েছে । আমাকে নিয়ে এই লোকের বাসায় জান আমি বের করে দিচ্ছি । ওসি বলল সত্য । হ্যা স্যার ।
—– দারগা বলল স্যার আপনি একটা পাগলের কথা বিশ্বাস করছেন ।
—– ওসি বলল এই লোক পাগল আপনার কাছে কি প্রমাণ আছে ? আর এই ভদ্রলোক যে চোর না । আপনি কি করে জানেন ।
—- অ-মানব বলল স্যার ওকে নিয়ে চলেন । জংগল ও খালি না পাগল ও খালি না।
—– ওসি সাহেব পুলিশ লিয়ে বলল ভদ্রলোক চলেন । ভদ্রলোক বলল স্যার ব্যাগটা দারগা সাহেবের কাছে । দারগা বলল স্যার রেস্ট রুমে পেয়ে আমার কাছে দিয়েছে ।
—- কই আপনি তো আমাকে বলেন নাই । আর ব্যাগ পেয়েছেন কন জি ডি করেছেন ।
—– অ-মানব বলল স্যার ব্যাগ তো পেয়েছেন কিন্তু আমার জুতা । স্যার জুতা গুলো সিলেট থেকে কিনা ?
—– ওসি বলল ঐ মিয়া জুতা কোথায় ।
—— স্যার জুতা গুলো আপনাদের এক সেপাই কে দিয়েছি ।
——- ওসি সাব বলল আচ্ছা নিয়ে আসেন দারগা সাহেব জুতা গুলো । আর জুতা চুরির অপরাধে ভদ্রলোকে চালান করেন ।আপনার বিষয়টা এস পি সাহেব কি জানাইতেছি ।
অ-মানব জুতা গুলো নিয়ে আবার থানা থেকে বের হয়ে আগের জায়গায় যেয়ে শুয়ে পরেছে । কিছু ক্ষণ পড়ে দেখে ঐ লোক তার সামনে এসে বলছে । এই যে কি দেখলেন ? বের হয়ে গেলাম তো ?
—- অ-মানব বলল জেল থেকে বের হলেই মিষ্টি খাওয়াতে হয় ।
—- আমি কিন্তু আপনার উপর চরম রেগে আছি । কারন আপনার জন্য আজ আমার নগদ ১০ হাজার টাকা লস ।
—- দেখুন যেই কাজে অন্য মানুষের ক্ষতি হয় । সেই কাজের সকল লাভই ক্ষতি ।
—- আচ্ছা আপনি কি করে দেখলেন যে আমি চুরি করলাম ।
—- আমি ফ্রি কোন কথা বলি না। যদি জানতে চান তাহলে এক কাপ চা আর একটা বন রুটি নিয়ে আসেন ।
—– চোরের টাকা খাবেন ।
—- আপনার টাকা চুরির কিনা সেটা আমার জানার বিষয় না। বিষয় হল আমি আমার কাজের মুল্য নিব ।
—- বাহ !সুন্দর কথা
—– একটু বসেন আমি চা নিয়ে আসছি ।
অ-মানব চা আর রুটি খেয়ে বলে । দেখুন সারা দিন কিছু খাই নাই । আপনার রুটি আমাকে শান্তি দিল ।এখন বলুন কি জানতে চান ।
—- আমি যে চুরি করলাম আপনি কি করে জানলেন । জিনিস কোথায় রাখলাম কি করে জানলেন ?
—— দেখুন আপনি আকাশ দেখেন আর আমি দেখি দূর আকাশের নক্ষত্র । আপনি বৃষ্টি দেখেন আর আমি দেখি গাছ গুলির খাবার ।
—– আপনার কথা বুঝলাম না।
—– আপনি যখন চুরি করেন তখন শুধু আপনি আপানার লাভ দেখেন । কিন্তু যার ক্ষতি হল তার কি দুঃখ তা বুঝেন না। হয়ত ঐ চুরির ব্যাগে কত সুখ দুঃখ লুকিয়ে থাকে । কত রোগী ছাত্রের কত কি থাকে । আপনার চুরির জন্য হয়ত কোন না কোন মানুষ তার জীবন হয়ত শেষ হয় । আপনি চুরি না করে ভাল কিছু করুন । ভাল কাজে কষ্ট কিন্তু মিষ্টি বেশি ।
—– চুরি না করলে খাব কি ?
—– গাছের জন্য পানি দরকার । তাহলে কোটি কোটি গাছের জন্য কে পানি দেয় ।
—– কেন আল্লাহ্‌ পানি দেয় ।
—- হ্যা বৃষ্টি হয়ে পানিতে ভরে যায় মাঠ ঘাট । বাতাসে ভেসে এসে মেঘ । আর বৃষ্টি হয়ে ঝড়ে পড়ে । ঠিক আপনি যদি আপনার রব কে বিশ্বাস করেন তবে সে আপানকে মেঘের মত খাবার এনে দিবে।
—- বলেন কি ?
—- আজ দুটা ব্যাগ চুরি করেছেন । একটা ফেরত দিলেন । অন্য ব্যাগটা তো আপনার কাছে ।
—— হ্যা । কিন্তু ঐ ব্যাগে তেমন কিছু নাই ।
—— দেখেন ভিতরে একটা ফাইল আছে । কাল আগামী দুই দিন পড়ে একটা বাচ্চা ছেলের অপারেশন । কিন্তু ঐ ব্যাগে তার সব চেকআপের কাগজ । এই সব চেকাপ করতে আরও পনের দিন লাগবে । কিন্তু আগামী পরশু তার অপারেশন না করালে ছেলেটা মারা যাবে । যদি মারা যায় তার পিতা মাতার অভিশাপ লাগবে আর আপনি সেই অভিশাপে৬র কি কোন উত্তর দিতে পারবেন ?
—- আপনি কি করে জানলেন ।
—– সেটা আপনার জানার দরকার নাই । আপনি ব্যাগটা নিয়ে ঢাকা জান , ফাইলের মধ্যে ঠিকানা আছে । আপনি সত্য বলবেন যে আপনি চুরি করেছিলেন
—– তারা যদি আমাকে পুলিশে দেয় । আগেই কেন ভয় । সামনে যা হবে হয়ত আপনার ভালেই হবে যান । পরের ট্রেন যান ।
অ-মানব আবার শুয়ে পড়ল । মনে হয় কত দিন যেন ঘুমাই নাই । চোর ভাল করে অ-মানব কে দেখল । মাথায় লম্বা চুল , মুখ ভর্তি দাড়ি । খুব সুন্দর চেহারা । দেখে মনে হয় গভীর ঘুম । চোর আবার অ-মানবের জুতার কাছে গেল । জুতা গুলো হাতে নিল । ঠিক অ-মানব বলল ঘুমের মধ্যে বলছে আবার জুতা গুলো কেন ধরলেন । ভাবছেন মুখ ফিরিয়ে ঘুমিয়ে আছি । অ-মানব রা কোন দিন ঘুমাতে পাড়ে না। তার ঘুমের মধ্যে আপনাদের চরিত্র দেখে । চোর জুতা গুলো রেখে চুপচাপ রেস্ট রুম থেকে বের হয়ে গেল । চোর চুরি করা ব্যাগটা হাতে নিয়ে অ-মানব সত্য বলেছে । ব্যাগটা নিয়ে সে ট্রেনে উঠে পড়ল । জীবনের প্রথম সে চুরির কোন কিছু ফেরত দিতে যাচ্ছে । ৩০ বছর যাবত সে চুরি করে । যে কোন জায়গায় চুরি করতে গেলে পুলিশ ম্যানেজ করে চুরি করে । কোন কাজ না পেয়ে একদিন ষ্টেশনে পকেট কাঁটা শুরু করে । কত বার যে পাবলিকের ধুলাই খেয়েছে জেল কেটেছে ঠিক মনে নাই । ধীরে ধীরে সে চুরি করে । আজ সে পাকা চোর । এখন ভদ্রলোক সেজে চুরি করে ।
কমলা পুর নেমে একটা রিক্সা নেয় মালিবাগ । ফাইল মতো ঠিকানা টা মিলায় । দেখে ঠিকানা ঠিক আছে । বাড়ির দারোয়ান কে বলে তিন তলায় যাব একটা জরুরি ফাইল দিতে । ফ্ল্যাট বাসা দারোয়ান ফোনে বলে একজন মানুষ একটা ফাইল নিয়ে এসেছে । বলছে শান্তনুর জরুরি ফাইল । তিন তলায় চোর যায় । কলিং বেল বাজাবার আগেই দরজা খুলে একজন বলে ভিতরে আসুন । চোর সালাম দিয়ে বলে আমার নাম গফুর । এই ব্যাগটা দিতে এসেছি। সবাই গফুরের দিকে চেয়ে আছে । একজন বয়স্ক লোক ব্যাগটা খুলে , হে আল্লাহ্‌ বলে কেঁদে দেয় । বলে বাবা গফুর আপনি বসুন। আরে গফুর সাহেব কে আগে খেতে দাও । অনেক দূর থেকে এসেছে । চার পাঁচ জন এসে বলল ভাই খেতে আসুন । আপনি যে উপকার করেছেন । এর মুল্য আমাদের জীবন দিয়ে দিতে পারব না। আপনি আল্লাহর ফেরেস্তা হয়ে এসেছেন । গফুর ভাত খায় এর চেয়ে দেখে সবার দিকে । মনে হয় সবাই কান্না করছিল । সবার চোখ মুখ ফুলা । একজন ফাইল নিয়ে হাসপাতালে চলে গেল ।

cpa add
বয়স্ক লোকটা সোফায় বসে বার বার আল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌ করছে । গফুর চোরের খাবার শেষ করে সোফায় বসল । এর মধ্যে আরেক জন মানুষ এসে গফুর কে ধরে খুব জুরে কান্না করে দিয়ে বলল আজ থেকে আপনি আমার ভাই । যে উপকার করেছেন তা রক্ত দিয়ে শেষ করা যাবে না।
—– গফুর চোর বলল আমাকে আপনারা মাপ করেন । আমাকে সাজা দেন ।
—– বয়স্ক মানুষ টা বলল এটা কি বলছেন গফুর সাহেব ।আপনি মহত মানুষ ও আমার ছেলে মাসুদ যার ফাইল নিয়ে এসেছেন সে আমার একমাত্র নাতি । আজ ফাইল না পেলে কাল তার অপারেশন করতে পারত না। ডাক্তার । নাতির মাথায় টিউমার । মাসুদ বলল দেখুন আপনি কেন নিজেকে অপরাধী মনে করছেন । মাসুদের স্ত্রী এসে বলল আপনি খুবেই ভাল মানুষ ।
—– গফুর বয়স্ক লোকের পায়ের কাছে গিয়ে বলল স্যার আমাকে কঠিন শাস্তি দিন না হয় আমি আপনার পা ছারব না। আমি একটা খারাপ মানুষ । চোর আমি সারা জীবন চুরি করেছি । কোন ভাল কাজ করি নাই । আমি আপনাদের এই ব্যাগটা চুরি করেছিলাম । তাই আপনাদের পায়ে ধরে মাপ চাই ।
—– মাসুদ সাহেব গফুর মিয়া কে টেনে তার কাছে এনে বলল । আপনি চুরি করেছেন এটা আমি বিশ্বাস করি না । আপনি আজ থেকে আমার ভাই । আমার ছেলের অপারেশন শেষ হক । দোয়া করেন । আপনি আমাদের সাথে দুই দিন থাকেন । আমি আপানকে যা দিব সারা জীবন এর চুরি করতে হবে না।
—- বয়স্ক মানুষ বলল বাবা গফুর আমরা খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম । ব্যাগটা হারিয়ে । তুমি যে চুরি করেছ এটা আমারা বিশ্বাস করি না। কারন চুরি করতে আমারা দেখি নাই । আমরা দেখছি একজন সাদা মানুষ যে আমাদের জন্য একটা আশার খবর নিয়ে এসেছে । আমারা আমাদের নাতির আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম । আল্লাহর কাছে বার বার বলছিলাম হে আল্লাহ্‌ যে কোন কিছুর বিনিময়ে আমারা যেন ব্যাগটা পাই । ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ গাড়ি করে আবার আমার বউ মায়ের দুই ভাই যায় কিন্তু ব্যাগ আর পাওয়া যায় না। আমি ফোনের পড় ফোন করে যাই । এমন সময় একটা আদ পাগল মানুষ আমার বউ মায়ের ভাই কে বলে । কি মিয়া ব্যাগ খুঁজ । যাও খুজতে হবে না। ব্যাগ ঢাকা যাচ্ছে । ছেলেটা বাজবে । কাল অপারেশন হবে । যাও যাও । ওরা দুই জন অবাক হয় । লোকটা বলে যে নিয়ে যাচ্ছে তাকে তোমরা একটা ভাল কাজ দিও । তোমাদের তো মেইল কারখানা আছে । যাও যাও । বিশ্বাসে মিলাই বস্তু তর্কে বহু দূর । বাবা ঐ পাগলের কথা ঠিক । আমরা তোমাকে বিশ্বাস করি । এখন ঐ পাগলের কথা যে রাখতে হয় ………।

চলমান ——

অ-মানব-প্রথম পর্ব    অ-মানব-দ্বিতীয় পর্ব    অ-মানব-তৃতীয় পর্ব    অ-মানব-চতুর্থ পর্ব

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

error: Content is protected !!