সেলিনা জাহান প্রিয়ার ধারাবাহিক গল্প: ‘অ-মানব’-(৪২ তম পর্ব)
অ-মানব-৪২-তম-পর্ব
———————–সেলিনা জাহান প্রিয়া
বাহ ! আবার বৃষ্টি শুরু । রাত নয়টা বাজে । ময়না তার মাকে বলছে -মা দেখ মামা বলেছিল বৃষ্টি হবে তাই বৃষ্টি হচ্ছে । ডাক্তার এসে বলল বলল কই তুমি ।
—– এই তো আমি । কি ভাবে আসবে তাই চিন্তা করছিলাম ? ছাতা তো নেও নাই ।
—– কেন তোমার ভাই কে পাঠাতে । তাহলে ই তো হত ।
—– একবার চিন্তা করছিলাম । আর একটু দেরি হলেই পাঠাতাম । তা আসলে কিভাবে ?
—– কি ভাবে আর ? গেদু মিয়া ছাতা দিল । তোমার ভাইয়ের ভয়ে এখন সে আমার সাথে খুব ভাব দিচ্ছে । তা তোমার ভাই কোথায় ?
অ-মানব বলল আমি এখানে ডাক্তার ভাই । একটা জাল দরকার । তিন কোনা জাল । আর যদি না থাকে তাহলে একটা পুরাতন মশারী হলেও চলবে ?
ভাই তোমার যা লাগবে তোমার বোনের কাছে চাও । আমি ডাক্তার মানুষ । জাল দিয়ে কি করব ?
—– আচ্ছা আপা পুরাতন মশারী কি আছে ?
—– আছে তো কি করবা ?
—– কি করব সেটা পড়ে । আগে দাও ।
একটা পুরাতন মশারী একটা বড় ভাতের হারি নিয়ে বৃষ্টির মধ্যে অ-মানব বাড়ির বাহিরে চলে গেল । ময়না বলল মামা মাছ ধরতে গেল কিন্তু মা।
ডাক্তার বলল ভাই একটা তছ লাইট নিয়ে গেল ভাল হত । ডাক্তারের বউ বলল আরে তুমি চিন্তা কর না। ওর কি যে সাহস ? ডাক্তার বলল মানুষটার কোথায় বাড়ি , কোথায় ঘর , কেমন মায়ের সন্তান ? আল্লাহ্ ভাল জানে । আমার বাড়িতে সাপ আমি নিজেও জানি না। আল্লাহ্ আমাদের জন্য রহমত করেছে । যত দিন থাকতে চায় থাকুক।
গেদু মিয়া রাতের বেলা টয়লেট থেকে সাপ সাপ বলে এক চিৎকার !! হালকা বৃষ্টি হচ্ছে। গ্রামের বাড়িতে সাধারণত টয়লেট বাড়ির বাহিরে হয় । দুই তিন জন দৌড়ে যায় । গ্রদু মিয়া একরকম ভয়ে কাঁপছে । পায়ে কাদা মেখে ঘরে আসে । গেদুর বউ বলে ঐ বেটা হারাম জাতা ঐ সাপ আমার বাড়িতে ছেড়েছে । আজ রাত ঘুমাও । কাল আমি ওঝা এনে সাপ বের করে সব মেরে ফেলব । আর ঐ বয়েটা কে গ্রাম ছাড়া করব ।
—– গেদু মিয়া ভয়ে ভয়ে বলে ঐ ব্যাটার সাথে পারবা না । ডাক্তার ঐ ব্যাটার সাথে আছে । আর তোমার বাড়িতে সাপ ছারে নাই । গ্রামের মানুষ নিয়ে নদীর পাড়ে জঙ্গলে ছেড়ে আসছে । পাগলের মত কথা বল না। আলাহ আল্লাহ্ কর । যেই বড় সাপ দেখছি । তাতে মনে হয় ঘরেই পড়েই মরতে হবে । আমি আর টয়লেটে যাব না।গেদুমিয়ার বউ বলে আমার কিন্তু তোমার কথা শুনে ভয় ভয় লাগছে । ব্যাটা পাগল আমাদের ঘুম
হারাম করে এই মজার বৃষ্টির মধ্যে আরামে নাক ডেকে ঘুমাইতেছে ।
গেদু মিয়া বলল — তোমার কথা শুনে ঐ ব্যাটারে পাগল বলব না ? পাগল বলব তোমারে । আমি সকালে থানায় যাব । দেখ ওরে কেমনে সাইজ করি । বৃষ্টি বাড়ছে । আকাশ থেকে মেঘের গর্জন আসছে । গ্রামের সবাই ঘুমিয়ে । ডাক্তার একটা পান মুখে দিয়ে বলছে রাত এখন একটা বাজে । কোথায় গেছে মানুষটা । বৃষ্টি ও কমছে না।ময়না বলল আব্বু ঐ দেখ মামা মাথায় আর হাতে করে কি জানি নিয়ে আসতেছে । ডাক্তার বোকার মত চেয়ে আছে অনেক মাছ নিয়ে আসছে । অ-মানব একটা হাসি দিয়ে বলল আপা তোমাদের এত জায়গা কিন্তু একটা ছোট পুকুর নাই । দেখ কত মাছ । ডাক্তারের বউ শুধু মাছ দেখছে । এত মাছ খুবই অবাক হয়ে বলল ভাই কোথায় পেলে এত মাছ । অ-মানব বলল- আপু এই দুনিয়ায় আজব কিছু নিয়ম আছে। অনেক দিন পড়ে বৃষ্টি হলে সাথে আকাশ ডাকলে বিল ঝিলের মাছ নতুন ঠিকানার জন্য উজাইতে থাকে । নতুন পানির যে লাইন বিলে নামবে সেই খানেই ঝাকে ঝাকে মাছ । অনেক দিন পড় মাছ ধরলাম । কই মাছ গুলো অনেক দিন বাচবে দেখ ।
ডাক্তার বলল তুমি কাপড় বদলে এসো । ডাক্তারের বউ বলল এত মাছ আমি কোথায় রাখি । অ-মানব বলল আপা আশপাশের কেউ জেগে থাকলে কিছু কিছু দিয়ে দাও ।
অ-মানব নিজ বিছানায় বসে আছে । রাত প্রায় দু টা বাজে । বাহিরে বৃষ্টি হচ্ছে । ডাক্তার এক কাপ চা নিয়ে অ-মানবের কাছে এসে বসল । অ-মানব বলল ভাই জান কিছু বলবেন ?
—– কিছু না। একটা কথা জানতে আসছি ।
—– কি কথা বলেন ভাই জান ?
—– তোমার নামটা তো বললে না ?
—– সবাই আমাকে পাগল বলে ? আসলেই আমি একটা পাগল । কারন আমি যাযাবর মানুষ । যাযাবরদের কোন নাম নেই । তবে আমাকে অ-মানব বলতে পারেন । আমি এখনো মানব হতে পারি নাই ? আর কি করে মানব হব ? তবে এই অবাক দুনিয়ায় আমি কিছু মানুষ পেয়েছে যারা আমাকে তাদের ভালবাসা দিয়ে মুগ্ধ
করেছে । এই যে আপনি আমাকে চিনেন না জানেন না। আপানার বাড়িতে নিয়ে আসলেন তবে সরল ও ভালমানুষের সংখ্যা কত আমি জানি না ? তবে তাদের দলে যারা আছে তরাই ভাল ।
—– কিন্তু ভাই অ-মানব আমি অন্য বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই । গেদু মিয়া মানুষটা ভাল না। তার বউ তার চেয়ে খারাপ ? তার সাথে কোন বিষয় না জড়ানো ভাল।
—- ঠিক আছে ডাক্তার ভাই ! আপনার অনুমতি ছাড়া তার সাথে কথা বলব না ।
—- তাহলে ভাল হয় । এখন হে অ-মানব আপনি ঘুমান । অ-মানব ঘুমেই গেল । সকাল বেলায় বৃষ্টি হচ্ছে । বৃষ্টিতে ভিজে ভিজে অ-মানব চলে আসলো আজগর আলির বাড়িতে । আজগর আলি চোখে দেখে না। বৃষ্টির মধ্যে অ-মানব তাকে নিয়ে ট্রেনে তুলে দিয়ে । আজগর আলি বলল বাবা আপনার কি মনে হয় চোখ ভাল হবে?
—— আপনি ভাল হবেন ? কিন্তু আমাকে চিনবেন তো ? আমি ডাক্তারের বাড়িতে থাকি । আমার নাম অ-মানব ।
—— তুমি যেই মানব এই হও । আমার জন্য দোয়া কর । আমি কানা মানুষ চোখে দেখি না। যাচ্ছি ঢাকা । আল্লাহ জানে কপালে কি আছে ।
—– কপালে ভাল আছে । না হয় কি রেল গাড়ি বৃষ্টির মধ্য পাইতেন ? রেল গাড়ি ছড়েছে । আজগর আলির হাতে একটা লাঠি । চুপ চাপ বসে আছে । একজন বলল চাচা কোথায় যাবেন ?
—– আমি ঢাকা যাব । চোখের ডাক্তার দেখাতে ।
—– টাকা পয়সা আছে যে ডাক্তার দেখাবেন ?
—– আজগর আলি বলে বাবা আমি গরীব মানুষ যদি কারো দয়া হয় ? বিমান বন্দর ষ্টেশনে আজগর আলি কে একজন হাত ধরে নামিয়ে দিল । আজগর আলি একজন কে বলল তাকে যেন ফার্ম গেইট এর গাড়িতে তুলে দেয় । একজন লোক তাই তুলে দিল । আজগর আলির তিন ছেলে সকাল থেকে সারা গ্রামে তার বাবা কে খুঁজছে । বাড়ি ভরে গেছে মানুষে । এক ভাই চলে গেছে থানায় । এখন বেলা তিনটা বাজে । সারা গ্রামের মানুষ বলছে আজগর আলি নাই । একজন বলল সকালে নাকি বৃষ্টির মধ্যে সে স্টেশনের দিকে গেছে । আজগর আলির ছোট ছেলে এসে জানলো যে তার বাবা সত্যি সত্যি রেল গাড়ি করে চলে গছে । অন্ধু মানুষ কোথায় গেল ? তিন ছেলে কে গ্রামের মানুষ খুব খারাপ বলতে লাগলো । বিকালের বাজার বসেছে । অ-মানব হাটতে হাটতে এসে ডাক্তারের দোকানে বসল । গেদু মিয়া আড় চোখে দেখল অ-মানব কে। মনে মনে এখন ভয় পায় সে অ-মানব কে রাতে যেটা সাপ দেখেছিল দিনের বেলায় দেখে একটা দড়ি । তার পড় ও গেদু মিয়ার বউ উজা থেকে তাবিজ এনে সারা বাড়িতে পুতে দিয়েছে । গেদু মিয়া অ-মানব কে গ্রাম থেকে কি ভাবে তাড়ানো যায় সেই পথ বের কারার চেষ্টা করছে ।
গেদুমিয়া ডাক্তারের দোকানে এসে বলল ডাক্তার রাত থেকে খুব জ্বর অনেক ভয় পাইছিলাম । অ-মানবের দিকে চেয়ে বলল ভাই তুমি ভাল আছ ।
— অ-মানব কোন কথা না বলে দোকান থেকে উঠে বাহিরে দিকে বের হয়ে গেল । গেদুমিয়া বলল দেখছ ডাক্তার কত বড় সাহস আমি বললাম কেমন আছ কিন্তু সে উত্তর না দিয়ে চলে গেল । ডাক্তার একটু হেসে বলল মনে হয় খিচুড়ি খাওয়াও নাই তাই মাইন্ড করছে ।
—— আরে রাখ ওর মাইন্ড । আমি সন্ধ্যায় থানায় যাব । ওর বাড়ি কথায় আমার জানতে হবে । মনে হয় কোথাও খুন খারাপি করে এই গ্রামে এসে আশ্রয় নিয়েছে ।
—– ডাক্তার বলল গেদু ভাই খালি খালি থানায় গেলে কি হবে ? সে তো আপনার কোন ক্ষতি করে নাই ? বাদ দেন । আপনি শুধু শুধু বাজি ধরতে জান কেন ?
—– আরে ডাক্তার তুমি সরল মানুষ তাই তারে বাড়িতে জায়গা দিচ্ছ । এই লোকটা আমার গত দুই দিনে আমাদের গ্রামের মানুষের ক্ষতি করতাসে ।
——- একজন বলল আরে গেদু মহাজন কি বলেন ? মানুষটা পাগল কিসিমের । নদী থেকে মাছ ধরে সবাই কে দিল । বৃদ্ধা রমিজ মিয়া কে পায়ের জুতা দিয়া দিল । ডাক্তারের বাড়ি থেকে সাপ বের করলো । আপনি কেমনে এমন মানুষটা কে যা তা বলেন ? আপনি থানায় গেলে জান । আমারা পারলে থানা থেকে নিয়ে আসব ।
গেদু মহাজন বেশি সুবিধা করতে পারলো না। বাজারের সব মানুষ তার পক্ষে । গেদু মহা জন চলে যাইতেই অ-মানব আবার দোকানে এসে বসল । একজন আসলো প্রেসার মাপার জন্য । অ-মানব তার প্রেসার মেপে দিল । ডাক্তার বলল কি হে অ-মানব ডাক্তারি ও পার ? জি ভাই জান একটু একটু পাড়ি ।
—— তাহলে তো ভাল হল আমার উপকারে আসবে তুমি ।
—— আমি তো সব কিছু মানুষ কে ফ্রি দিয়ে দিব । আমাকে ব্যবসায় বসালে আপনার লস হবে । এমন সময় বাজারে রাজ্জাক মেম্বার এসে বলল – কি ডাক্তার ? তোমার বাড়িতে নাকি কোন পাগল মানুষ কে জায়গা দিস । সে নাকি সাপ চালান দিয়ে মানুষ মেরে ফেলে । এটা তো খুবেই খারাপ কথা । আমাকে থানা থেকে দারগা সাব বিষয়টা জানতে বলেছে ? ডাক্তার বলল কার কাছে মেম্বার কি শুনেছেন জানি না। যার কথা শুনেছেন সে আমার সামনে বসা এই যে । আপনি তার সাথে কথা বলেন ।
—– আচ্ছা ডাক্তার কি দরকার যাকে চিন না জান না তাঁকে বাড়িতে রাখ কেন ?
—– আরে তারে বাড়িতে রাখছি দেখেই তো সাপ থেকে রেহায় পেলাম ।
—– আরে ডাক্তার সেই বেটা আগে সাপ চালান দিয়েছে পড়ে বের করেছে । তোমাকে বোকা বানিয়েছে ।।
—— আমাকে বোকা বানালে ঠিক আছে । সে বোকার বাড়িতে থাকে তাতে অন্য মানুষের কি সমস্যা শুনি ?
—— আমি মেম্বার । গ্রামের ভাল মন্দ খবর নিতে হবে না। আচ্ছা তোমার লোকটা সাথে কথা বলি । এই মিয়া আমার কাছে এসো । অ-মানব দোকান থেকে বের হয়ে মেম্বারের সামনে গিয়ে বলল সালাম মেম্বার সাব।
——– ওয়ালাইকুম আসসালাম । কি নাম তোমার ?
——– দেখুন আমার সাথে তো আই ডি কার্ড নাই । তাই নাম বললে কি বিশ্বাস করবেন ।
—— আরে আই ডি কার্ড ছাড়া কি কোন মানুষ আছে ।
—— জি মেম্বার সাব আছে । পাবনা পাগলা খানায় । সেই খানে কোন পাগলের আই ডি কার্ড নাই ।
—— তুমি কি পাবনার পাগল ?
——- জি আমি আর আপনার চাচা একেই রুমে থাকতাম ?
—— আরে আমার কোন চাচা ?
—— কেন ভুলে গেছন ?
—— আরে আমার চাচা তো মারা গেছে
—— মেম্বার সাব আপনার চাচা মারা যায় নাই । যার লাশ এনে মাটি দিয়েছেন সেটা কিন্তু আপনার চাচা না। বাজারের সব মানুষ ভিড় করলো । আরে আজ আবার কি কথা বলে এই লোকে এমন সময় থানা থেকে গেদু মিয়ার বউ পুলিশ নিয়ে এসেছে ।
অ-মানব বলল আচ্ছা সব কথা থানায় গিয়ে বলব । মেম্বার আপনার কথায় কিন্তু গেদু মিয়ার বউ পুলিশ এনেছে । সৃষ্টি কর্তা যা করে ভালই করে । এক সাথে আজ তিনটা মুখোশ খুলে দিব । পুলিশ বলল আপনি পাগল আপনার কথা কে বিশ্বাস করবে ?
পুলিশ কে বলল – কে পাগল থানায় যাই বের হবে নে ?
—– গেদু মিয়া বলল আগে থানায় যাও তার পড় জেলে যাও । বুঝবে কত ধানেও কত চাউল । এমন সময় চেয়ারম্যান এসে বলল বাজারে পুলিশ এসেছে কেন ?
——- ডাক্তার বলল চেয়ারম্যান সাব একটা পাগল মানুষ আমি আমার বাড়িতে জায়গা দিয়েছি । এতে গেদুমিয়া আর গেদুমিয়ার বউ রাজ্জাক মেম্বারের দিয়ে
পুলিশ নিয়ে এসেছে । পুলিশ এসে আমার পাগল কে থানায় নিয়ে যাচ্ছে ।
—– ও তাই । গেদুর ছোট বউ বিষয়টা আমাকে না জানিয়ে থানায় গেছে । এটা তো আমাকে আপমান করার সমান । দারগা সাব আপনি জান তাঁকে আমি আমার জিম্মায় রাখলাম । রাতে আমি ওসি সাবের সাথে দেখা করব । এই কে আছিস দারাগা সাবরে চা আর বিস্কুট খেতে দে । অ-মানবের কাছে এসে চেয়ারম্যান বলল
তুমি নাকি বলেছ রাজ্জাক মেম্বারের চাচার সাথে পাবনা ছিলে ? তা তুমি কি তার চাচার নাম বলতে পার ?
—— অ-মানব বলল চেয়ারম্যান সাব আমি মিথ্যা বলি না। থানা পুলিশ ভয় পাই না। জিবনে খালি খালি পুলিশ আমাকে ৪২ বার এরেস্ট করেছে । কিন্তু সব মিলে সাত দিনের বেশি রাখতে পাড়ে নাই । একবার আমাকে কোট পাগল মনে করে পাবনা পাঠিয়ে দেয় । সেই সময় এই গ্রামের দিলাল মিয়ার সাথে আমার পরিচয় হয় । এখন বলুন মেম্বারের চাচার নাম কি দিলাল মিয়া ঠিক আছে কি না ?
—– চেয়ারম্যান বলল হ্যা ঠিক আছে ?
রাজ্জাক মেম্বার বলল চেয়ারম্যান সাব অনেক দিনের পুরানা জিনিস । আমার চাচা মারা গেছে লাশ মাটি দেয়া শেষ , যারা মেরেছে তারা এখন জেলে । আপনি কি এই পাগলের কথা বিশ্বাস করছেন ? চেয়ারম্যান বলল – মেম্বার সে যদি মিথ্যা বলে তার বিচার হবে আর যদি সত্য বলে কিছু নিরহ মানুষ বাচবে ?
চলমান——